আল মুওয়াত্তা - ইমাম মালিক রহঃ
৩. নামাযের অধ্যায়
হাদীস নং: ১৮৪
৯. নীরবে যে নামাযে কিরা’আত পড়া হয় সেই নামাযে ইমামের পিছনে কুরআন পড়া
রেওয়ায়ত ৩৯. হিশাম ইবনে যোহরার মাওলা’ আবুস সায়িব (রাহঃ) হইতে বর্ণিত, তিনি আবু হুরায়রা (রাযিঃ)-কে এইরূপ বর্ণনা করিতে শুনিয়াছেনঃ আমি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-কে বলিতে শুনিয়াছি, যে ব্যক্তি নামায পড়িয়াছে, কিন্তু সে নামাযে উম্মুল কুরআন পড়ে নাই, তাহার নামায অসম্পূর্ণ, অসম্পূর্ণ, অসম্পূর্ণ।
আবুস সায়িব (রাহঃ) বলিলেনঃ আমি প্রশ্ন করিলাম, হে আবু হুরায়রা (রাযিঃ)! আমি অনেক সময় ইমামের পিছনে (নামায পড়িয়া) থাকি (তখন কিভাবে পড়িব?)। তিনি আমার বাজুতে চিমটি কাটিয়া বলিলেনঃ হে পারস্যের অধিবাসী! তুমি উহা মনে মনে পড়। কেননা আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-কে বলিতে শুনিয়াছিঃ আল্লাহ তাআলা বলিয়াছেন- আমি নামাযকে (সূরা ফাতিহাকে) আমার বান্দা ও আমার মধ্যে আধা-আধি ভাগ করিয়াছি। উহার অর্ধেক আমার, অর্ধেক আমার বান্দার। আর আমার বান্দার জন্য তাহাই যাহা সে চায়। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ তোমরা পাঠ কর; (الْحَمْدُ لِلَّهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ) (বিশ্ব জগতের প্রতিপালক আল্লাহরই প্রাপ্য সমস্ত প্রশংসা), আল্লাহ (ইহার উত্তরে) বলেনঃ আমার বান্দা আমার প্রশংসা করিয়াছে। বান্দা বলে (الرَّحْمَٰنِ الرَّحِيمِ) (যিনি দয়াময়, পরম দয়ালু) আল্লাহ বলেনঃ আমার বান্দা আমার গুণ বর্ণনা করিয়াছে। বান্দা বলে (مَالِكِ يَوْمِ الدِّينِ) (কর্মফল দিবসের মালিক), আল্লাহ বলেনঃ আমার বান্দা আমার শ্রেষ্ঠত্ব বর্ণনা করিয়াছে। বান্দা বলে (إِيَّاكَ نَعْبُدُ وَإِيَّاكَ نَسْتَعِينُ) (আমরা শুধু তোমারই ইবাদত করি, শুধু তোমারই সাহায্য প্রার্থনা করি), আল্লাহ বলেনঃ এই আয়াতটি আমার ও আমার বান্দার মধ্যে আধা-আধি বিভক্ত। আর আমার বান্দার জন্য তাহাই যাহা সে চায়। বান্দা বলেঃ (اهْدِنَا الصِّرَاطَ الْمُسْتَقِيمَ صِرَاطَ الَّذِينَ أَنْعَمْتَ عَلَيْهِمْ غَيْرِ الْمَغْضُوبِ عَلَيْهِمْ وَلَا الضَّالِّينَ) (আমাদিগকে সরলপথ প্রদর্শন কর, যাহাদিগকে তুমি অনুগ্রহ দান করিয়াছ, যাহারা ক্রোধ-নিপতিত নহে, পথভ্রষ্ট নহে।) আল্লাহ্ বলেনঃ এই আয়াতগুলি আমার বান্দারই। (অর্থাৎ এই প্রার্থনা আমার বান্দার পক্ষ হইতে) এবং তাহার জন্য উহা যাহা সে চায়।
আবুস সায়িব (রাহঃ) বলিলেনঃ আমি প্রশ্ন করিলাম, হে আবু হুরায়রা (রাযিঃ)! আমি অনেক সময় ইমামের পিছনে (নামায পড়িয়া) থাকি (তখন কিভাবে পড়িব?)। তিনি আমার বাজুতে চিমটি কাটিয়া বলিলেনঃ হে পারস্যের অধিবাসী! তুমি উহা মনে মনে পড়। কেননা আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-কে বলিতে শুনিয়াছিঃ আল্লাহ তাআলা বলিয়াছেন- আমি নামাযকে (সূরা ফাতিহাকে) আমার বান্দা ও আমার মধ্যে আধা-আধি ভাগ করিয়াছি। উহার অর্ধেক আমার, অর্ধেক আমার বান্দার। আর আমার বান্দার জন্য তাহাই যাহা সে চায়। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ তোমরা পাঠ কর; (الْحَمْدُ لِلَّهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ) (বিশ্ব জগতের প্রতিপালক আল্লাহরই প্রাপ্য সমস্ত প্রশংসা), আল্লাহ (ইহার উত্তরে) বলেনঃ আমার বান্দা আমার প্রশংসা করিয়াছে। বান্দা বলে (الرَّحْمَٰنِ الرَّحِيمِ) (যিনি দয়াময়, পরম দয়ালু) আল্লাহ বলেনঃ আমার বান্দা আমার গুণ বর্ণনা করিয়াছে। বান্দা বলে (مَالِكِ يَوْمِ الدِّينِ) (কর্মফল দিবসের মালিক), আল্লাহ বলেনঃ আমার বান্দা আমার শ্রেষ্ঠত্ব বর্ণনা করিয়াছে। বান্দা বলে (إِيَّاكَ نَعْبُدُ وَإِيَّاكَ نَسْتَعِينُ) (আমরা শুধু তোমারই ইবাদত করি, শুধু তোমারই সাহায্য প্রার্থনা করি), আল্লাহ বলেনঃ এই আয়াতটি আমার ও আমার বান্দার মধ্যে আধা-আধি বিভক্ত। আর আমার বান্দার জন্য তাহাই যাহা সে চায়। বান্দা বলেঃ (اهْدِنَا الصِّرَاطَ الْمُسْتَقِيمَ صِرَاطَ الَّذِينَ أَنْعَمْتَ عَلَيْهِمْ غَيْرِ الْمَغْضُوبِ عَلَيْهِمْ وَلَا الضَّالِّينَ) (আমাদিগকে সরলপথ প্রদর্শন কর, যাহাদিগকে তুমি অনুগ্রহ দান করিয়াছ, যাহারা ক্রোধ-নিপতিত নহে, পথভ্রষ্ট নহে।) আল্লাহ্ বলেনঃ এই আয়াতগুলি আমার বান্দারই। (অর্থাৎ এই প্রার্থনা আমার বান্দার পক্ষ হইতে) এবং তাহার জন্য উহা যাহা সে চায়।
بَاب الْقِرَاءَةِ خَلْفَ الْإِمَامِ فِيمَا لَا يُجْهَرُ فِيهِ بِالْقِرَاءَةِ
حَدَّثَنِي يَحْيَى، عَنْ مَالِكٍ، عَنِ الْعَلاَءِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ يَعْقُوبَ، أَنَّهُ سَمِعَ أَبَا السَّائِبِ، مَوْلَى هِشَامِ بْنِ زُهْرَةَ يَقُولُ سَمِعْتُ أَبَا هُرَيْرَةَ، يَقُولُ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " مَنْ صَلَّى صَلاَةً لَمْ يَقْرَأْ فِيهَا بِأُمِّ الْقُرْآنِ فَهِيَ خِدَاجٌ هِيَ خِدَاجٌ هِيَ خِدَاجٌ غَيْرُ تَمَامٍ " . قَالَ فَقُلْتُ يَا أَبَا هُرَيْرَةَ إِنِّي أَحْيَانًا أَكُونُ وَرَاءَ الإِمَامِ قَالَ فَغَمَزَ ذِرَاعِي ثُمَّ قَالَ اقْرَأْ بِهَا فِي نَفْسِكَ يَا فَارِسِيُّ فَإِنِّي سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " قَالَ اللَّهُ تَبَارَكَ وَتَعَالَى قَسَمْتُ الصَّلاَةَ بَيْنِي وَبَيْنَ عَبْدِي نِصْفَيْنِ فَنِصْفُهَا لِي وَنِصْفُهَا لِعَبْدِي وَلِعَبْدِي مَا سَأَلَ " . قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " اقْرَءُوا يَقُولُ الْعَبْدُ (الْحَمْدُ لِلَّهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ) يَقُولُ اللَّهُ تَبَارَكَ وَتَعَالَى حَمِدَنِي عَبْدِي وَيَقُولُ الْعَبْدُ (الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ) يَقُولُ اللَّهُ أَثْنَى عَلَىَّ عَبْدِي وَيَقُولُ الْعَبْدُ (مَالِكِ يَوْمِ الدِّينِ) يَقُولُ اللَّهُ مَجَّدَنِي عَبْدِي يَقُولُ الْعَبْدُ (إِيَّاكَ نَعْبُدُ وَإِيَّاكَ نَسْتَعِينُ) فَهَذِهِ الآيَةُ بَيْنِي وَبَيْنَ عَبْدِي وَلِعَبْدِي مَا سَأَلَ يَقُولُ الْعَبْدُ (اهْدِنَا الصِّرَاطَ الْمُسْتَقِيمَ صِرَاطَ الَّذِينَ أَنْعَمْتَ عَلَيْهِمْ غَيْرِ الْمَغْضُوبِ عَلَيْهِمْ وَلاَ الضَّالِّينَ ) فَهَؤُلاَءِ لِعَبْدِي وَلِعَبْدِي مَا سَأَلَ " .


বর্ণনাকারী: