মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)
৩১- সাহাবায়ে কিরামের রাঃ মানাকিব ও ফাযায়েল
হাদীস নং: ৬০৮২
তৃতীয় অনুচ্ছেদ - উসমান (রাঃ)-এর মর্যাদা ও বৈশিষ্ট্য
৬০৮২। হযরত আবু হাবীবা হইতে বর্ণিত আছে যে, একদা তিনি হযরত ওসমান (রাঃ)-এর গৃহে প্রবেশ করিলেন। এই সময় ওসমান গৃহে বন্দী ছিলেন। তখন তিনি (আবু হাবীবা) শুনিতে পাইলেন, হযরত আবু হোরায়রা (রাঃ) কিছু কথা বলিবার জন্য হযরত ওসমানের নিকট আসিবার অনুমতি চাহিতেছেন। সুতরাং তিনি তাহাকে অনুমতি দিলেন। তখন আবু হোরায়রা (রাঃ) উঠিয়া দাড়াইলেন এবং প্রথমে আল্লাহর হামদ ও সানা পাঠ করিলেন। অতঃপর বলিলেন, আমি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)কে বলিতে শুনিয়াছি, তিনি বলিয়াছেনঃ নিশ্চয় তোমরা অচিরেই আমার ওফাতের পরে বিরাট ফেতনা ও মতানৈক্যে পতিত হইবে। অথবা বলিয়াছেন, ভয়ানক মতানৈক্য ও বিপর্যয়ে লিপ্ত হইয়া পড়িবে। তখন উপস্থিত লোকদের মধ্য হইতে জনৈক ব্যক্তি বলিল; ইয়া রাসূলাল্লাহ্! তখন আমরা কি করিব ? অথবা বলিল, তখন আমাদিগকে কি করিতে আদেশ করেন? উত্তরে তিনি বলিলেন, তখন তোমরা আমীর ও তাঁহার সঙ্গীদের আনুগত্য দৃঢ়ভাবে করিতে থাকিবে। “আমীর” শব্দটি বলিবার সময় তিনি (ﷺ) হযরত ওসমানের প্রতি ইশারা করিলেন। —হাদীস দুইটি বায়হাকী দালায়েলুন নবুওত গ্রন্থে বর্ণনা করিয়াছেন।
وَعَن أبي حبيبةَ أَنَّهُ دَخَلَ الدَّارَ وَعُثْمَانُ مَحْصُورٌ فِيهَا وَأَنَّهُ سَمِعَ أَبَا هُرَيْرَةَ يَسْتَأْذِنُ عُثْمَانَ فِي الْكَلَامِ فَأَذِنَ لَهُ فَقَامَ فَحَمِدَ اللَّهَ وَأَثْنَى عَلَيْهِ ثُمَّ قَالَ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: إِنَّكُمْ سَتَلْقَوْنَ بَعْدِي فِتْنَةً وَاخْتِلَافًا - أَوْ قَالَ: اخْتِلَافًا وَفِتْنَةً - فَقَالَ لَهُ قَائِلٌ مِنَ النَّاسِ: فَمَنْ لَنَا يَا رَسُولَ اللَّهِ؟ أَوْ مَا تَأْمُرُنَا بِهِ؟ قَالَ: «عَلَيْكُمْ بِالْأَمِيرِ وَأَصْحَابِهِ» وَهُوَ يُشِيرُ إِلَى عُثْمَانَ بِذَلِكَ. رَوَاهُمَا الْبَيْهَقِيّ فِي «دَلَائِل النبوَّة»
হাদীসের ব্যাখ্যা:
সম্ভবত উক্ত আলোচনা মজলিসে হযরত ওসমানও উপস্থিত ছিলেন, তাই তো নবী (ﷺ) তাহার দিকে ইশারা করিয়াছিলেন। মোটকথা, হাদীসগুলিতে স্পষ্টভাবে বুঝা গেল যে, হযরত ওসমান শাহাদত পর্যন্ত ন্যায়ের উপরই ছিলেন।
