মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)
৩১- সাহাবায়ে কিরামের রাঃ মানাকিব ও ফাযায়েল
হাদীস নং: ৬০৬৯
প্রথম অনুচ্ছেদ - উসমান (রাঃ)-এর মর্যাদা ও বৈশিষ্ট্য
৬০৬৯। হযরত আয়েশা (রাঃ) বলেন, একদা রাসূলুল্লাহ্ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উরু অথবা গোড়ালি হইতে কাপড় খোলা অবস্থায় নিজ গৃহে শুইয়া ছিলেন। এমন সময় হযরত আবু বকর ঘরে প্রবেশের অনুমতি চাহিলেন। তাহাকে প্রবেশের অনুমতি দিলেন এবং তিনি ঐ অবস্থায় ছিলেন এবং তাহার সাথে কথাবার্তা বলিলেন। অতঃপর হযরত ওমর আসিয়া অনুমতি চাহিলেন। তাহাকেও অনুমতি দিলেন। তখনও তিনি ঐ অবস্থায়ই তাহার সহিত কথাবার্তা বলিলেন। ইহার পর হযরত ওসমান আসিয়া অনুমতি চাহিলেন। এইবার রাসূলুল্লাহ্ ছাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম বসিয়া পড়িলেন এবং কাপড় ঠিক করিয়া লইলেন। ইহার পর যখন ওসমান চলিয়া গেলেন, তখন আয়েশা (রাঃ) রাসুলুল্লাহ্ (ছাঃ)-কে জিজ্ঞাসা করিলেন, আবু বকর আসিলেন, তখন আপনি তাহার জন্য একটুও নড়েন নাই এবং তাহার প্রতি ভ্রূক্ষেপও করেন নাই। তারপর ওমর আসিলেন, তখনও আপনি তাহার জন্য নড়েন নাই এবং তাহার প্রতি ভ্রূক্ষেপও করেন নাই। অতঃপর ওসমান আসিলে আপনি বসিয়া পড়িলেন এবং নিজ কাপড়-চোপড় ঠিক করিলেন? উত্তরে তিনি বলিলেন: আমি কি সেই ব্যক্তি হইতে লজ্জাবোধ করিব না, যাহাকে দেখিলে ফিরিশতাগণও লজ্জাবোধ করেন ?
অপর এক রেওয়ায়তে আছে, রাসূলুল্লাহ্ (ছাঃ) বলিয়াছেনঃ ওসমান হইলেন একজন অত্যধিক লাজুক ব্যক্তি। সুতরাং আমি আশংকা করিলাম, যদি আমি তাহাকে এই অবস্থায় প্রবেশের অনুমতি প্রদান করি, তাহা হইলে তিনি লজ্জায় আগমনের উদ্দেশ্য আমার কাছে ব্যক্ত করিতে পারিবেন না। মুসলিম
অপর এক রেওয়ায়তে আছে, রাসূলুল্লাহ্ (ছাঃ) বলিয়াছেনঃ ওসমান হইলেন একজন অত্যধিক লাজুক ব্যক্তি। সুতরাং আমি আশংকা করিলাম, যদি আমি তাহাকে এই অবস্থায় প্রবেশের অনুমতি প্রদান করি, তাহা হইলে তিনি লজ্জায় আগমনের উদ্দেশ্য আমার কাছে ব্যক্ত করিতে পারিবেন না। মুসলিম
بَاب مَنَاقِب عُثْمَان: الْفَصْل الأول
عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ: كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مُضْطَجِعًا فِي بَيْتِهِ كَاشِفًا عَنْ فَخِذَيْهِ - أَوْ سَاقَيْهِ - فَاسْتَأْذَنَ أَبُو بَكْرٍ فَأَذِنَ لَهُ وَهُوَ عَلَى تِلْكَ الْحَالِ فَتَحَدَّثَ ثُمَّ اسْتَأْذَنَ عُمَرُ فَأَذِنَ لَهُ وَهُوَ كَذَلِكَ فَتَحَدَّثَ ثُمَّ اسْتَأْذَنَ عُثْمَانُ فَجَلَسَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَسَوَّى ثِيَابَهُ فَلَمَّا خَرَجَ قَالَتْ عَائِشَةُ: دَخَلَ أَبُو بَكْرٍ فَلَمْ تَهْتَشَّ لَهُ وَلَمْ تُبَالِهِ ثُمَّ دَخَلَ عُمَرُ فَلَمْ تَهْتَشَّ لَهُ وَلَمْ تُبَالِهِ ثُمَّ دَخَلَ عُثْمَان فَجَلَست وسوَّيت ثِيَابك فَقَالَ: «أَلا أستحي من رجل تَسْتَحي مِنْهُ الْمَلَائِكَةُ؟» وَفِي رِوَايَةٍ قَالَ: «إِنَّ عُثْمَانَ رَجُلٌ حَيِيٌّ وَإِنِّي خَشِيتُ إِنْ أَذِنْتُ لَهُ عَلَى تِلْكَ الْحَالَةِ أَنْ لَا يَبْلُغَ إِلَيَّ فِي حَاجته» . رَوَاهُ مُسلم
হাদীসের ব্যাখ্যা:
রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) ঊরু বা গোড়ালির কাপড় খুলিয়া রাখিয়াছিলেন—ইহা বর্ণনাকারীর সন্দেহ; কিন্তু যেহেতু অন্য হাদীসে রানকে সতরে গণ্য করা হইয়াছে; সুতরাং তাঁহার হ্যাঁটুর নীচের গোড়ালির কাপড় খোলা ছিল কথাটি সঠিক। তবে অত্র হাদীসের শব্দের আশ্রয় লইয়া মালেকী মাযহাবের অনুসারীগণ বলেন, “রান” সতর নহে।
