মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)
৩১- সাহাবায়ে কিরামের রাঃ মানাকিব ও ফাযায়েল
হাদীস নং: ৫৯৮১
প্রথম অনুচ্ছেদ - কুরায়শ ও অন্যান্য গোত্রসমূহের গুণাবলি
৫৯৮১। হযরত ইবনে ওমর (রাঃ) হইতে বর্ণিত, নবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেন এই দায়িত্ব (শাসন-কর্তৃত্ব) কোরাইশদের মধ্যে থাকিবে, যতদিন (দুনিয়াতে) তাহাদের দুইজন লোকও অবশিষ্ট থাকে। মোত্তাঃ
وَعَنِ ابْنِ عُمَرَ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «لَا يَزَالُ هَذَا الْأَمْرُ فِي قُرَيْشٍ مَا بَقِيَ مِنْهُمُ اثْنَان» . مُتَّفق عَلَيْهِ
হাদীসের ব্যাখ্যা:
অর্থাৎ, তাহাদের দুইজনের একজন হইবে শাসক এবং অপরজন হইবে শাসিত। আল্লামা নববী বলিয়াছেন, আলোচ্য হাদীস এবং এই মর্মের অন্যান্য হাদীস ইহাই প্রমাণ করে যে, খেলাফত কোরাইশদের জন্য নির্দিষ্ট। সুতরাং কোরাইশদিগকে উপেক্ষা করিয়া অন্যকে খলীফা বানান জায়েয নহে। সাহাবা ও পরবর্তী যুগে এই কথার উপরেই ইজ্মা সংঘটিত হইয়াছে। “চিরকাল কোরাইশদের হাতে কর্তৃত্ব থাকিবে” – অধিকাংশ ওলামাদের মতে ইহা নির্দেশ নহে, বরং ভবিষ্যদ্বাণী, তবে সহীহ হাদীসের মাধ্যমে ইহার সহিত তুমা টা শর্ত আরোপ করা হইয়াছে। অর্থাৎ, কোরাইশগণই খেলাফতের হকদার, যতক্ষণ তাহারা দ্বীনের উপর প্রতিষ্ঠিত থাকিবে। দ্বীন হইতে বিচলিত হইয়া গেলে তাহাদের এই হক থাকিবে না এবং এমতাবস্থায় অন্য উপযুক্ত লোককে খলীফা নিযুক্ত করা নিষিদ্ধ নহে।
