মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)
২৯- সৃষ্টির সূচনা ও কিয়ামত পরবর্তী বর্ণনা
হাদীস নং: ৫৬৫৫
প্রথম অনুচ্ছেদ - আল্লাহ তাআলার দর্শনলাভ
৫৬৫৫। হযরত জারীর ইবনে আব্দুল্লাহ্ (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেন: অচিরেই তোমরা নিশ্চিত তোমাদের পরওয়ারদিগারকে স্বচক্ষে প্রকাশ্যে দেখিতে পাইবে এবং অপর এক রেওয়ায়তে আছে— জারীর (রাঃ) বলেন, আমরা রাসূলুল্লাহ্ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে বসা ছিলাম। তিনি পূর্ণিমার রাত্রে চাঁদের দিকে তাকাইয়া বলিলেন, তোমরা অচিরেই তোমাদের প্রভুকে দেখিতে পাইবে, যেমন তোমরা এই চাঁদকে দেখিতেছ। তাহার দীদারে তোমরা কোনরূপ বাধাপ্রাপ্ত হইবে না। সুতরাং তোমরা সাধ্যমত চেষ্টা করিবে সূর্য উদয়ের পূর্বের নামায সূর্যোদয়ের পূর্বে এবং সূর্যাস্তের পূর্বের নামায সূর্যাস্তের পূর্বে আদায় করিতে যেন ব্যর্থ না হও। (অর্থাৎ, ফজর ও আসরের নামায যথাসময়ে আদায় করিবে।) অতঃপর তিনি এই আয়াতটি পাঠ করিলেন (অর্থাৎ) "সূর্যোদয়ের পূর্বে এবং সূর্যাস্তের পূর্বে আপন পরওয়ারদিগারের প্রশংসা ও স্তুতি বর্ণনা কর।” —মোত্তাঃ
بَاب رؤيةالله تَعَالَى: الْفَصْل الأول
عَن جَرِيرِ بْنِ عَبْدُ اللَّهِ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِنَّكُمْ سَتَرَوْنَ رَبَّكُمْ عِيَانًا» . وَفِي رِوَايَةٍ: قَالَ: كُنَّا جُلُوسًا عِنْدَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَنَظَرَ إِلَى الْقَمَرِ لَيْلَةَ الْبَدْرِ فَقَالَ: «إِنَّكُمْ سَتَرَوْنَ رَبَّكُمْ كَمَا تَرَوْنَ هَذَا الْقَمَرَ لَا تُضَامُونَ فِي رُؤْيَتِهِ فَإِنِ اسْتَطَعْتُمْ أَنْ لَا تُغْلَبُوا عَلَى صَلَاةٍ قَبْلَ طُلُوعِ الشَّمْسِ وَقَبْلَ غُرُوبِهَا فَافْعَلُوا» ثُمَّ قَرَأَ (وَسَبِّحْ بِحَمْدِ رَبِّكَ قَبْلَ طُلُوعِ الشَّمْسِ وَقَبْلَ غُرُوبهَا) مُتَّفق عَلَيْهِ
হাদীসের ব্যাখ্যা:
অপর এক হাদীসে বর্ণিত হইয়াছে যে, বেহেশতবাসীগণ সকাল-সন্ধ্যা আল্লাহকে দেখিতে পাইবে, তাই বিশেষভাবে এই দুই ওয়াক্তের নামাযের প্রতি তাকিদ করা হইয়াছে। এই দুই ওয়াক্তের নামাযের ফযীলত অনেক বেশী এবং এই দুই নামাযের যে ব্যক্তি পাবন্দী করিবে, অন্যান্য নামায সম্পাদন তাহার জন্য সহজ হইয়া পড়িবে। কাজেই প্রকারান্তরে সকল নামাযই এই আদেশের অন্তর্ভুক্ত।
