মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)

২৮- ফিতনাসমূহ ও কিয়ামতের আলামতের বর্ণনা

হাদীস নং: ৫৪৮২
- ফিতনাসমূহ ও কিয়ামতের আলামতের বর্ণনা
প্রথম অনুচ্ছেদ - কিয়ামতের পূর্বলক্ষণসমূহ এবং দাজ্জালের বর্ণনা
৫৪৮২। হযরত ফাতেমা বিনতে কায়স (রাঃ) বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ঘোষককে এই ঘোষণা দিতে শুনিতে পাই الصلوة جامعة - (অর্থাৎ, নামাযের জন্য উপস্থিত হইয়া যাও) সুতরাং আমি মসজিদে চলিয়া গেলাম এবং রাসূলুল্লাহ্ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সঙ্গে নামায আদায় করিলাম। নামায শেষ করিয়া তিনি মিম্বরে উপবিষ্ট হইলেন এবং মৃদু হাসিয়া বলিলেন : প্রত্যেক ব্যক্তি নিজ নিজ নামাযের স্থানে বসিয়া থাক। অতঃপর বলিলেন; তোমরা কি জান, আমি তোমাদিগকে কেন একত্রিত করিয়াছি ? সাহাবাগণ বলিলেন, আল্লাহ্ ও তাঁহার রাসূলই অধিক জানেন। তিনি বলিলেন; আল্লাহর কসম। আমি তোমাদিগকে কিছু দেওয়ার জন্য বা কোন ভয়-ভীতি প্রদর্শনের জন্য সমবেত করি নাই : বরং 'তামীমে দারীর' বর্ণিত একটি ঘটনা শুনানোর জন্যই তোমাদিগকে একত্রিত করিয়াছি। তামীমে দারী ছিলেন একজন খৃষ্টান, তিনি (আমার নিকট) আসিয়া ইসলাম গ্রহণ করিয়াছেন। তিনি আমাকে এমন একটি ঘটনা শুনাইয়াছেন, উহা ঐ কথারই সঙ্গে মিল রাখে যাহা আমি তোমাদিগকে মাসীহে দাজ্জাল সম্পর্কে বলিয়াছিলাম। তিনি বলিয়াছেন, একবার তিনি 'লাখম ও জুযাম গোত্রের ত্রিশ জন লোকের সঙ্গে একটি সামুদ্রিক নৌকায় সফরে বাহির হইয়াছিলেন। সাগরের তরং্গ তাহাদিগকে দীর্ঘ একমাস পর্যন্ত এদিক সেদিক ঘুরাইতে ঘুরাইতে অবশেষে একদিন সূর্যাস্তের সময় একটি দ্বীপের কাছে নিয়া পৌঁছাইল। অতঃপর তাহারা (উক্ত বড় নৌকার গায়ের সহিত বাধা) ছোট ছোট নৌকাযোগে দ্বীপটির অভ্যন্তরে প্রবেশ করিলেন এবং তথায় তাহারা এমন একটি জানোয়ারের সাক্ষাৎ পাইলেন যাহার সারা দেহ বড় বড় পশমে ঢাকা। অধিক পশমের কারণে উহার অগ্র-পশ্চাত কিছুই নির্ণয় করা যায় নাই। তখন তাহারা উহাকে লক্ষ্য করিয়া বলিলেন, তোর অমঙ্গল হউক। তুই কে? উহা বলিল, আমি 'জাস্সাসা' (অর্থাৎ গুপ্ত সংবাদ অন্বেষণকারিণী)। তোমরা এই গির্জায় (আব্দ্ধ) লোকটির নিকট যাও, সে তোমাদের তথ্যাদি শুনার ও জানার প্রত্যাশী। তামীম দারী বলেন, উক্ত জন্তুর কাছে লোকটির কথা শুনিয়া উহার প্রতি আমাদের অন্তরে ভীতির সঞ্চার হইল যে, উহা পেত্নী হইতে পারে। তখন আমরা দ্রুত তথায় গেলাম এবং গির্জায় প্রবেশ করিয়া সেখানে এমন একটি প্রকাণ্ড দেহবিশিষ্ট মানুষ দেখিতে পাইলাম, ইতিপূর্বে যাহা আমরা আর কখনও দেখিতে পাই নাই। সে ছিল খুব শক্তভাবে বাধা অবস্থায়, তাহার হাত ঘাড়ের সাথে এবং হাঁটুদ্বয় নীচের উভয় গিটের সাথে লৌহশিকল দ্বারা একত্রে বাঁধা ছিল। আমরা তাহাকে বলিলাম, তোর অমঙ্গল হউক। তুই কে? সে বলিল, নিশ্চয় তোমরা আমার সম্পর্কে জানিতে পারিবে, (আমি তাহা গোপন করিব না,) তবে তোমরা প্রথমে আমাকে বল দেখি তোমরা কে? তাহারা বলিলেন, আমরা আরবের লোক। আমরা সমুদ্রে একটি নৌকায় আরোহী ছিলাম, দীর্ঘ একমাস সাগরের ঢেউ আমাদিগকে এদিক সেদিক ঘুরাইয়া এখানে আনিয়া পৌঁছাইয়াছে অতঃপর আমরা অত্র দ্বীপে প্রবেশ করার পর সারা দেহ ঘন পশমে আবৃত এমন একটি জন্তুর সহিত আমাদের সাক্ষাৎ হইল। উহা বলিল, আমি 'জাস্সাসা', উহা আমা দিগকে এই গির্জায় আসিতে বলায় আমরা দ্রুত তোমার নিকটে আসিয়া উপস্থিত হইয়াছি। সে বলিল, আচ্ছা তোমর! আমাকে বল দেখি। 'বায়সান' এলাকার খেজুর বাগানে ফল আসে কি? ('বায়সান' হেজাযের একটি জায়গার নাম।) আমরা বলিলাম, হ্যাঁ, আসে। সে বলিল, অদুর ভবিষ্যতে সেই বাগানের গাছে ফল ধরিবে না। অতঃপর সে বলিল, আচ্ছা বল দেখি। 'তাবারিয়া' -এর নদীতে কি পানি আছে? আমরা বলিলাম, হ্যাঁ, উহাতে প্রচুর পরিমাণে পানি আছে। সে বলিল, অচিরেই উহার পানি শুকাইয়া যাইবে। এইবার সে জিজ্ঞাসা করিল, আচ্ছা বল দেখি ! 'যোগার' ঝরনায় পানি আছে কি? এবং সেখানকার অধিবাসীগণ কি উক্ত ঝরনার পানি দ্বারা তাহাদের ক্ষেত-খামারে ফসলাদি উৎপাদন করে? আমরা বলিলাম, হ্যাঁ, উহাতে প্রচুর পানি আছে -এবং সেখানকার বাসিন্দাগণ উহার পানি দ্বারা ক্ষেত-খামারে চাষাবাদ করে। অতঃপর সে জিজ্ঞাসা করিল, আচ্ছা বল দেখি। উম্মীদের নবীর সংবাদ কি ? আমরা বলিলাম, তিনি মক্কা হইতে হিজরত করিয়া বর্তমানে ইয়াসরেব (মনীনায়) অবস্থান করিতেছেন। সে জিজ্ঞাসা করিল, বল দেখি। আরবরা কি তাহার সহিত লড়াই করিয়াছিল ? আমরা বলিলাম, হ্যাঁ, করিয়াছে। সে জিজ্ঞাসা করিল, তিনি (সেই নবী) তাহাদের সহিত কি আচরণ করিয়াছেন। ইহার উত্তরে আমরা বলিলাম যে, তাঁহার আশে-পাশের আরবদের উপরে তিনি বিজয়ী হইয়াছেন এবং তাহারা তাঁহার আনুগত্য স্বীকার করিয়াছে। এতদশ্রবণে সে বলিল, তোমরা জানিয়া রাখ। তাঁহার আনুগত্য করাই উহাদের পক্ষে মঙ্গলজনক হইয়াছে।
আচ্ছা, এবার আমি আমার অবস্থা বর্ণনা করিতেছি—আমি মাসীহে দাজ্জাল, অদূর ভবিষ্যতে আমাকে বাহির হওয়ার অনুমতি প্রদান করা হইবে। আমি বাহির হইয়া যমীনে বিচরণ করিব। মক্কা-মদীনা ব্যতীত এমন কোন জনপদ বাকী থাকিবে না, যেখানে আমি চল্লিশ দিনের মধ্যে প্রবেশ করিব না। সেই দুই স্থানে প্রবেশ করা আমার উপরে নিষিদ্ধ করা হইয়াছে। যখনই আমি উহার কোন একটিতে প্রবেশ করিতে চাহিব, তখন মুক্ত তরবারি হাতে ফিরিশতা আসিয়া আমাকে প্রবেশ করা হইতে বাধা প্রদান করিবে। বস্তুতঃ উহার প্রতিটি প্রবেশ পথে ফিরিশতা পাহারারত রহিয়াছে। বর্ণনাকারী বলেন, এই পর্যন্ত বর্ণনা করিয়া রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আপন লাঠি দ্বারা মিম্বরে টোকা দিয়া বলিলেন; ইহা তাইবাহ্, ইহা তাইবাহ্, ইহা তাইবাহ্। অর্থাৎ ‘মদীনা'। অতঃপর তিনি বলিলেন; বল দেখি, ইতিপূর্বে আমি কি তোমাদিগকে এই হাদীস বর্ণনা করি নাই? লোকেরা বলিল, জি, হ্যাঁ। অতঃপর তিনি বলিলেন; দাজ্জাল সিরিয়ার কোন এক সাগরে অথবা ইয়ামনের কোন এক সাগরে আছে। পরে বলিলেন, না, বরং সে পূর্বদিক হইতে আগমন করিবে। এই বলিয়া তিনি হাত দ্বারা পূর্বদিকে ইশারা করিলেন।
كتاب الفتن
وَعَن فَاطِمَة بنت قيس قَالَتْ: سَمِعْتُ مُنَادِي رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَلَمَّا قَضَى صَلَاتَهُ جَلَسَ عَلَى الْمِنْبَرِ وَهُوَ يَضْحَكُ فَقَالَ: «لِيَلْزَمْ كُلُّ إِنْسَانٍ مُصَلَّاهُ» . ثُمَّ قَالَ: «هَلْ تَدْرُونَ لِمَ جَمَعْتُكُمْ؟» . قَالُوا: اللَّهُ وَرَسُولُهُ أَعْلَمُ. قَالَ: إِنِّي وَاللَّهِ مَا جَمَعْتُكُمْ لِرَغْبَةٍ وَلَا لِرَهْبَةٍ وَلَكِنْ جَمَعْتُكُمْ لِأَنَّ تَمِيمًا الدَّارِيَّ كَانَ رَجُلًا نَصْرَانِيًّا فَجَاءَ فَبَايَعَ وَأَسْلَمَ وَحَدَّثَنِي حَدِيثًا وَافَقَ الَّذِي كُنْتُ أُحَدِّثُكُمْ بِهِ عَنِ الْمَسِيحِ الدَّجَّالِ حَدَّثَنِي أَنَّهُ رَكِبَ فِي سَفِينَةٍ بَحْرِيَّةٍ مَعَ ثَلَاثِينَ رَجُلًا مِنْ لَخْمٍ وَجُذَامَ فَلَعِبَ بِهِمُ الْمَوْجُ شَهْرًا فِي الْبَحْر فأرفؤُوا إِلَى جَزِيرَةٍ حِينَ تَغْرُبُ الشَّمْسُ فَجَلَسُوا فِي أقرب سفينة فَدَخَلُوا الْجَزِيرَةَ فَلَقِيَتْهُمْ دَابَّةٌ أَهْلَبُ كَثِيرُ الشَّعَرِ لَا يَدْرُونَ مَا قُبُلُهُ مِنْ دُبُرِهِ مِنْ كَثْرَةِ الشَّعَرِ قَالُوا: وَيْلَكِ مَا أَنْتِ؟ قَالَتْ: أَنَا الْجَسَّاسَةُ قَالُوا: وَمَا الْجَسَّاسَةُ؟ قَالَتْ: أَيُّهَا الْقَوْمُ انْطَلِقُوا إِلَى هَذَا الرَّجُلِ فِي الدَّيْرِ فَإِنَّهُ إِلَى خَبَرِكُمْ بِالْأَشْوَاقِ قَالَ: لَمَّا سَمَّتْ لَنَا رَجُلًا فَرِقْنَا مِنْهَا أَنْ تَكُونَ شَيْطَانَةً قَالَ: فَانْطَلَقْنَا سِرَاعًا حَتَّى دَخَلْنَا الدَّيْرَ فَإِذَا فِيهِ أعظمُ إِنسان مَا رَأَيْنَاهُ قطُّ خَلْقاً وأشَدُّهُ وَثَاقاً مجموعةٌ يَده إِلَى عُنُقِهِ مَا بَيْنَ رُكْبَتَيْهِ إِلَى كَعْبَيْهِ بِالْحَدِيدِ. قُلْنَا: وَيْلَكَ مَا أَنْتَ؟ قَالَ: قَدْ قَدَرْتُمْ عَلَى خَبَرِي فَأَخْبِرُونِي مَا أَنْتُمْ؟ قَالُوا: نَحن أُناس من العربِ ركبنَا فِي سفينةٍ بحريّة فلعِبَ بِنَا الْبَحْر شهرا فَدَخَلْنَا الجزيرة فَلَقِيَتْنَا دَابَّةٌ أَهْلَبُ فَقَالَتْ: أَنَا الْجَسَّاسَةُ اعْمِدُوا إِلَى هَذَا فِي الدَّيْرِ فَأَقْبَلْنَا إِلَيْكَ سِرَاعًا وَفَزِعْنَا مِنْهَا وَلَمْ نَأْمَنْ أَنْ تَكُونَ شَيْطَانَةً فَقَالَ: أَخْبِرُونِي عَنْ نَخْلِ بَيْسَانَ قُلْنَا: عَنْ أَيِّ شَأْنِهَا تَسْتَخْبِرُ؟ قَالَ: أَسْأَلُكُمْ عَنْ نَخْلِهَا هَلْ تُثْمِرُ؟ قُلْنَا: نَعَمْ. قَالَ: أَمَا إِنَّهَا تُوشِكُ أَنْ لَا تُثْمِرَ. قَالَ: أَخْبِرُونِي عَنْ بُحَيْرَةِ الطَّبَرِيَّةِ قُلْنَا: عَنْ أَيِّ شَأْنِهَا تَسْتَخْبِرُ؟ قَالَ: هَلْ فِيهَا مَاءٌ؟ قُلْنَا هِيَ كَثِيرَةُ الْمَاءِ. قَالَ: أَمَا إِنَّ مَاءَهَا يُوشِكُ أَنْ يَذْهَبَ. قَالَ: أَخْبِرُونِي عَنْ عَيْنِ زُغَرَ. قَالُوا: وَعَنْ أَيِّ شَأْنِهَا تَسْتَخْبِرُ؟ قَالَ: هَلْ فِي الْعَيْنِ مَاءٌ؟ وَهَلْ يَزْرَعُ أَهْلُهَا بِمَاءِ الْعَيْنِ؟ قُلْنَا لَهُ: نعم هِيَ كَثِيرَة المَاء وَأَهله يَزْرَعُونَ مِنْ مَائِهَا. قَالَ: أَخْبِرُونِي عَنْ نَبِيِّ الْأُمِّيِّينَ مَا فَعَلَ؟ قُلْنَا: قَدْ خَرَجَ مِنْ مَكَّةَ وَنَزَلَ يَثْرِبَ. قَالَ: أَقَاتَلَهُ الْعَرَبُ؟ قُلْنَا: نَعَمْ. قَالَ: كَيْفَ صَنَعَ بِهِمْ؟ فَأَخْبَرْنَاهُ أَنَّهُ قَدْ ظَهَرَ عَلَى مَنْ يَلِيهِ مِنَ الْعَرَبِ وأطاعوهُ. قَالَ لَهُم: قد كانَ ذلكَ؟ قُلْنَا: نعم. قَالَ: أَمَا إِنَّ ذَلِكَ خَيْرٌ لَهُمْ أَنْ يُطِيعُوهُ وَإِنِّي مُخْبِرُكُمْ عَنِّي: إِنِّي أَنَا الْمَسِيحُ الدَّجَّالُ وَإِنِّي يُوشِكُ أَنْ يُؤْذَنَ لِي فِي الْخُرُوجِ فَأَخْرُجَ فَأَسِيرَ فِي الْأَرْضِ فَلَا أَدَعُ قَرْيَةً إِلَّا هَبَطْتُهَا فِي أَرْبَعِينَ لَيْلَةً غَيْرَ مَكَّةَ وَطَيْبَةَ هُمَا مُحَرَّمَتَانِ عَلَيَّ كِلْتَاهُمَا كُلَّمَا أَرَدْتُ أَنْ أَدْخُلَ وَاحِدَةً أَوْ وَاحِدًا مِنْهُمَا استقبلَني ملَكٌ بيدهِ السيفُ صَلْتًا يَصُدُّنِي عَنْهَا وَإِنَّ عَلَى كُلِّ نَقْبٍ مِنْهَا مَلَائِكَةً يَحْرُسُونَهَا. قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - وَطَعَنَ بِمِخْصَرَتِهِ فِي الْمِنْبَرِ -: «هَذِه طَيْبَةُ هَذِهِ طَيْبَةُ هَذِهِ طَيْبَةُ» يَعْنِي الْمَدِينَةَ «أَلَا هَلْ كُنْتُ حَدَّثْتُكُمْ؟» فَقَالَ النَّاسُ: نَعَمْ فَإِنَّهُ أَعْجَبَنِي حَدِيثُ تَمِيمٍ أَنَّهُ وَافَقَ الَّذِي كُنْتُ أُحَدِّثُكُمْ عَنْهُ وَعَنِ الْمَدِينَةِ وَمَكَّةَ. أَلَا إِنه فِي بَحر الشَّأمِ أَو بحرِ اليمنِ لَا بل من قبل الْمشرق ماهو من قبل الْمشرق ماهو من قبل الْمشرق ماهو وَأَوْمَأَ بِيَدِهِ إِلَى الْمشرق. رَوَاهُ مُسلم
tahqiqতাহকীক:তাহকীক চলমান
মিশকাতুল মাসাবীহ - হাদীস নং ৫৪৮২ | মুসলিম বাংলা