মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)

২৮- ফিতনাসমূহ ও কিয়ামতের আলামতের বর্ণনা

হাদীস নং: ৫৩৮৫
- ফিতনাসমূহ ও কিয়ামতের আলামতের বর্ণনা
প্রথম অনুচ্ছেদ
৫৩৮৫। হযরত আবু বকরা (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেন : অচিরেই বিভিন্ন ধরনের ফিতনা দেখা দিবে। জানিয়া রাখ, ইহার পর বিভিন্ন ধরনের ফিতনা দেখা দিবে। জানিয়া রাখ, অতঃপর এমন এক বিরাট ফিতনা আসিয়া পড়িবে, সেই সময় বসা অবস্থায় থাকা ব্যক্তি চলমান ব্যক্তি অপেক্ষা হইতে উত্তম এবং চলমান ব্যক্তি উক্ত ফিতনার দিকে দ্রুতগামী ব্যক্তি অপেক্ষা হইতে উত্তম। সাবধান! যখন সেই ফিতনা সংঘটিত হইবে তখন যাহার কাছে উট আছে সে যেন তাহার উট লইয়া থাকে। আর যাহার বকরী আছে সে যেন তাহার বকরী লইয়া থাকে। আর যাহার ভূসম্পত্তি আছে, সে যেন উক্ত জমি-ভূমি লইয়াই থাকে। এই সময় জনৈক ব্যক্তি বলিল—ইয়া রাসুলাল্লাহ্! যদি কাহারও উট, বকরী ও ভূসম্পত্তি না থাকে (তখন সে কি করিবে? তিনি বলিলেন; তখন সে যেন নিজের তলোয়ারের প্রতি লক্ষ্য করে এবং উহার ধার-পার্শ্ব দিয়া পাথরে আঘাত করিয়া তাহা ভাঙ্গিয়া ফেলে, অতঃপর সম্ভব হইলে উক্ত ফিতনার স্থান হইতে পালাইয়া আত্মরক্ষা করিবে। (অতঃপর তিনি বলিলেন) হে আল্লাহ্ ! আমি কি তোমার আহকামসমূহ পৌঁছাইয়া দিয়াছি? এই কথাটি তিনি তিনবার বলিলেন। এই সময় এক ব্যক্তি বলিল, ইয়া রাসূলাল্লাহ্। যদি কোন ব্যক্তি জোরপূর্বক আমাকে নিয়া দুই দলের কোন এক কাতারে দাঁড় করাইয়া দেয়, অতঃপর কোন ব্যক্তি তলোয়ারের আঘাতে আমাকে হত্যা করে অথবা একটি তীর আসিয়া আমাকে বিধে এবং উহাতে আমার মৃত্যু ঘটে, তখন (আমার পরিণাম সম্পর্কে) আপনার কি অভিমত? উত্তরে তিনি বলিলেন; সে তাহার নিজের এবং তোমার পাপ বহন করিবে এবং জাহান্নামীদের অন্তর্ভুক্ত হইবে। —মুসলিম
كتاب الفتن
وَعَنْ أَبِي بَكْرَةَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِنَّهَا سَتَكُونُ فِتَنٌ أَلَا ثُمَّ تَكُونُ فِتنٌ أَلا ثمَّ تكونُ فتنةٌ القاعدُ خَيْرٌ مِنَ الْمَاشِي فِيهَا وَالْمَاشِي فِيهَا خَيْرٌ مِنَ السَّاعِي إِلَيْهَا أَلَا فَإِذَا وَقَعَتْ فَمَنْ كَانَ لَهُ إِبل فَلْيَلْحَقْ بِإِبِلِهِ وَمَنْ كَانَ لَهُ غَنَمٌ فَلْيَلْحَقْ بغنمه وَمن كَانَت لَهُ أرضٌ فَلْيَلْحَقْ بِأَرْضِهِ» فَقَالَ رَجُلٌ: يَا رَسُولَ اللَّهِ أَرَأَيْتَ مَنْ لَمْ يَكُنْ لَهُ إِبِلٌ وَلَا غَنَمٌ وَلَا أَرْضٌ؟ قَالَ: «يَعْمِدُ إِلَى سَيْفِهِ فَيَدُقُّ عَلَى حَدِّهِ بِحَجَرٍ ثُمَّ لِيَنْجُ إِنِ اسْتَطَاعَ النَّجَاءَ اللَّهُمَّ هَلْ بَلَّغْتُ؟» ثَلَاثًا فَقَالَ: رَجُلٌ: يَا رَسُولَ اللَّهِ أَرَأَيْتَ إِنْ أُكْرِهْتُ حَتَّى ينْطَلق بِي إِلَى أحدالصفين فَضَرَبَنِي رَجُلٌ بِسَيْفِهِ أَوْ يَجِيءُ سَهْمٌ فَيَقْتُلُنِي؟ قَالَ: «يَبُوءُ بِإِثْمِهِ وَإِثْمِكَ وَيَكُونُ مِنْ أَصْحَابِ النَّار» رَوَاهُ مُسلم

হাদীসের ব্যাখ্যা:

হক ও বাতিল নির্ণয় করা যখন মুশকিল হইয়া পড়িবে তখন উহা হইতে দূরে সরিয়া থাকাই সমীচীন। তবে যদি কোথাও সরিয়া যাওয়া সম্ভব না হয়, তখন সাধ্যানুযায়ী ফিতনাসমূহে জড়াইয়া যাওয়া হইতে নিষ্ক্রিয় থাকার চেষ্টা করা উচিত।
tahqiqতাহকীক:তাহকীক চলমান
মিশকাতুল মাসাবীহ - হাদীস নং ৫৩৮৫ | মুসলিম বাংলা