আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ
৫০- নবীজীর সাঃ যুদ্ধাভিযানসমূহ
হাদীস নং: ৪০১২
আন্তর্জাতিক নং: ৪৩৫০
২২২৫. হুজ্জাতুল বিদা- এর পূর্বে আলী ইবনে আবু তালিব এবং খালিদ ইবনে ওয়ালিদ (রাযিঃ)- কে ইয়ামানে প্রেরণ
৪০১২। মুহাম্মাদ ইবনে বাশশার (রাহঃ) .... বুরায়দা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আলী (রাযিঃ)- কে খুমুস (গনীমতের এক পঞ্চমাংশ) নিয়ে আসার জন্য খালিদ (রাযিঃ)- এর কাছে পাঠালেন। (রাবী বুরায়দা বলেন, কোন কারণে) আমি আলী (রাযিঃ)- এর প্রতি নারাজ ছিলাম, আর তিনি গোসলও করেছেন।(রাবী বলেন) তাই আমি খালিদ (রাযিঃ)-কে বললাম, আপনি কি তার দিকে দেখছেন না? এরপর আমরা রাসূলুল্লাহ (ﷺ)- এর কাছে ফিরে আসলে আমি তাঁর কাছে বিষয়টি উল্লেখ করলাম। তখন তিনি বললেন, হে বুরায়দা! তুমি কি আলীর প্রতি অসন্তুষ্ট? আমি উত্তর করলাম, জ্বী, হ্যাঁ। তিনি বললেন, তার উপর অসন্তুষ্ট থেকো না। কারণ খুমুসের ভিতরে তার প্রাপ্য অধিকার এ অপেক্ষাও বেশী রয়েছে।*
*বুরায়দা (রাযিঃ) আলী (রাযিঃ)-এর প্রতি নারাজ হয়ে যাওয়ার কারণ ছিলঃ তিনি দেখেছেন যে, আলী কয়েদীদের মধ্য থেকে একজন বাঁদীকে নিজের জন্য নির্বাচন করে নিয়েছিলেন। এবং আলীর শেষ রাতের গোসল এবং বাঁদীর চুল থেকে পানির ফোঁটা টপকানো দেখে তিনি উভয়ের একত্রে রাত্রি যাপনেরও সন্দেহ করলেন । অথচ এখনো নবী কারীম (ﷺ) সেই গনীমত মুজাহিদদের মধ্যে বন্টন করে দেননি। পরে বিষয়টি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-কে জানানো হলে তিনি বুরায়দাকে বুঝিয়ে দিয়েছেন যে, আলীকে গনীমত বন্টন করে দেয়ার হুকুমও দেয়া হয়েছিল।
*বুরায়দা (রাযিঃ) আলী (রাযিঃ)-এর প্রতি নারাজ হয়ে যাওয়ার কারণ ছিলঃ তিনি দেখেছেন যে, আলী কয়েদীদের মধ্য থেকে একজন বাঁদীকে নিজের জন্য নির্বাচন করে নিয়েছিলেন। এবং আলীর শেষ রাতের গোসল এবং বাঁদীর চুল থেকে পানির ফোঁটা টপকানো দেখে তিনি উভয়ের একত্রে রাত্রি যাপনেরও সন্দেহ করলেন । অথচ এখনো নবী কারীম (ﷺ) সেই গনীমত মুজাহিদদের মধ্যে বন্টন করে দেননি। পরে বিষয়টি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-কে জানানো হলে তিনি বুরায়দাকে বুঝিয়ে দিয়েছেন যে, আলীকে গনীমত বন্টন করে দেয়ার হুকুমও দেয়া হয়েছিল।
بَابُ بَعْثُ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ وَخَالِدِ بْنِ الْوَلِيدِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا إِلَى الْيَمَنِ قَبْلَ حَجَّةِ الْوَدَاعِ
4350 - حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا رَوْحُ بْنُ عُبَادَةَ، حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ سُوَيْدِ بْنِ مَنْجُوفٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ بُرَيْدَةَ، عَنْ أَبِيهِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، قَالَ: بَعَثَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلِيًّا إِلَى خَالِدٍ لِيَقْبِضَ الخُمُسَ، وَكُنْتُ أُبْغِضُ عَلِيًّا وَقَدِ اغْتَسَلَ، فَقُلْتُ لِخَالِدٍ: أَلاَ تَرَى إِلَى هَذَا، فَلَمَّا قَدِمْنَا عَلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ذَكَرْتُ ذَلِكَ لَهُ، فَقَالَ: «يَا بُرَيْدَةُ أَتُبْغِضُ عَلِيًّا؟» فَقُلْتُ: نَعَمْ، قَالَ: «لاَ تُبْغِضْهُ فَإِنَّ لَهُ فِي الخُمُسِ أَكْثَرَ مِنْ ذَلِكَ»


বর্ণনাকারী: