মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)
২৬- আদাব - শিষ্টাচার অধ্যায়
হাদীস নং: ৫১৩১
২১. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - অত্যাচার
৫১৩১। হযরত আব্দুল্লাহ্ ইবনে মাসউদ (রাঃ) বলেন, যখন এই আয়াত নাযিল হইল—“ঐ সমস্ত লোক যাহারা ঈমান আনিয়াছে এবং কোন যুলমের সহিত তাহাদের ঈমানকে মিশ্রিত করে নাই....” শেষ পর্যন্ত, তখন রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর সাহাবীদের নিকট এই বিষয়টি অত্যন্ত কঠিন অনুভূত হইল এবং তাহারা আরয করিলেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ্ ! আমাদের মধ্যে এমন কে আছে, যে নিজের উপরে যুলম করে নাই? উত্তরে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিলেনঃ ইহার অর্থ তাহা নহে, (যাহা তোমরা বুঝিয়াছ, এখানে ফুল দ্বারা শিরক বুঝান হইয়াছে। তোমরা কি হযরত লোকমান (আঃ)-এর (উপদেশ) বাণীটি শুন নাই যাহা তিনি স্বীয় পুত্রকে দিয়াছিলেন? হে বৎস! আল্লাহর সহিত কাহাকেও শরীক করিও না। কেননা, শিরক হইল বিরাট যুলম। অপর এক বর্ণনায় আছে; প্রকৃতপক্ষে উহা তাহা নহে যাহা তোমরা ধারণা করিয়াছ; বরং উহা হইল অনুরূপ, যাহা হযরত লোকমান (আঃ) তাঁহার পুত্রকে বলিয়াছিলেন। — মোত্তাঃ
الْفَصْل الثَّالِث
عَن ابْن مَسْعُود قَالَ: لَمَّا نَزَلَتْ: (الَّذِينَ آمَنُوا وَلَمْ يَلْبِسُوا إِيمانهم بظُلْم)
شَقَّ ذَلِكَ عَلَى أَصْحَابِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَقَالُوا: يَا رَسُول اله: أَيُّنَا لَمْ يَظْلِمْ نَفْسِهِ؟ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: لَيْسَ ذَاكَ إِنَّمَا هُوَ الشِّرْكُ أَلَمْ تَسْمَعُوا قَوْلَ لُقْمَانَ لِابْنِهِ: (يَا بني لَا تُشْرِكْ بِاللَّهِ إِنَّ الشِّرْكَ لَظُلْمٌ عَظِيمٌ؟)
فِي رِوَايَةٍ: «لَيْسَ هُوَ كَمَا تَظُنُّونَ إِنَّمَا هُوَ كَمَا قَالَ لُقْمَان لِابْنِهِ» . مُتَّفق عَلَيْهِ
شَقَّ ذَلِكَ عَلَى أَصْحَابِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَقَالُوا: يَا رَسُول اله: أَيُّنَا لَمْ يَظْلِمْ نَفْسِهِ؟ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: لَيْسَ ذَاكَ إِنَّمَا هُوَ الشِّرْكُ أَلَمْ تَسْمَعُوا قَوْلَ لُقْمَانَ لِابْنِهِ: (يَا بني لَا تُشْرِكْ بِاللَّهِ إِنَّ الشِّرْكَ لَظُلْمٌ عَظِيمٌ؟)
فِي رِوَايَةٍ: «لَيْسَ هُوَ كَمَا تَظُنُّونَ إِنَّمَا هُوَ كَمَا قَالَ لُقْمَان لِابْنِهِ» . مُتَّفق عَلَيْهِ
হাদীসের ব্যাখ্যা:
সাহাবায়ে কেরামগণ যুমের আভিধানিক অর্থ ধারণা করিয়া ভীত-সন্ত্রস্ত হইয়াছিলেন। কেননা, মানুষ মাত্রই কিছু না কিছু যুলম করিয়া থাকে। অথচ উহা ঈমানের পরিপন্থী নহে। আর হুযূর (ﷺ) বুঝাইয়া দিলেন, এখানে যুলম অর্থ শিরক, যাহা ঈমানের সম্পূর্ণ বিপরীত।
