মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)

২৬- আদাব - শিষ্টাচার অধ্যায়

হাদীস নং: ৪৮২৯
১০. প্রথম অনুচ্ছেদ - জিহ্বার হিফাযাত, গীবত এবং গালমন্দ প্রসঙ্গে
৪৮২৯। হযরত আয়েশা (রাঃ) হইতে বর্ণিত, একদা এক ব্যক্তি নবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট সাক্ষাতের অনুমতি চাহিল। তখন হুযুর ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলিলেনঃ তোমরা তাহাকে অনুমতি দাও। লোকটি হইল স্বীয় গোত্রের মন্দ ব্যক্তি। যখন সে বসিল, তখন নবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হাসি-খুশী চেহারায় তাহার সাথে সাক্ষাৎ করিলেন এবং মৃদু হাস্যে কথাবার্তা বলিলেন। অতঃপর লোকটি যখন চলিয়া গেল তখন হযরত আয়েশা (রাঃ) জিজ্ঞাসা করিলেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ্! এই লোকটি সম্পর্কে প্রথমে আপনি এমন এমন উক্তি করিলেন। আবার আপনি হাসি-খুশী চেহারায় মৃদুহাস্য সহকারে তাহার সহিত কথা বার্তাও বলিলেন। (ইহার কারণ কি।) তখন রাসূলুল্লাহ্ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিলেনঃ আচ্ছা, তুমি কখন আমাকে অশ্লীলভাষী পাইয়াছ? কিয়ামতের দিন আল্লাহর নিকট মর্যাদায় সেই ব্যক্তিই মন্দ বলিয়া সাব্যস্ত হইবে যাহার অনিষ্টের ভয়ে লোকেরা তাহাকে ত্যাগ করিয়াছে। অপর এক বর্ণনায় আছে, যাহার অশ্লীলতার ভয়ে লোকেরা তাহাকে পরিত্যাগ করিয়াছে। – মোত্তাঃ
وَعَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا أَنَّ رَجُلًا اسْتَأْذَنَ عَلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. فَقَالَ: «ائْذَنُوا لَهُ فَبِئْسَ أَخُو الْعَشِيرَةِ» فَلَمَّا جَلَسَ تَطَلَّقَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي وَجْهِهِ وَانْبَسَطَ إِلَيْهِ. فَلَمَّا انْطَلَقَ الرَّجُلُ قَالَتْ عَائِشَةُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ قُلْتَ لَهُ: كَذَا وَكَذَا ثُمَّ تَطَلَّقْتَ فِي وَجْهِهِ وَانْبَسَطْتَ إِلَيْهِ. فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَتى عهدتني فحاشا؟ ؟ إِن شَرّ النَّاس مَنْزِلَةً يَوْمَ الْقِيَامَةِ مَنْ تَرَكَهُ النَّاسُ اتِّقَاءَ شَرِّهِ» وَفِي رِوَايَةٍ: «اتِّقَاءَ فُحْشِهِ» . مُتَّفَقٌ عَلَيْهِ

হাদীসের ব্যাখ্যা:

আগন্তুক লোকটির নাম ছিল উয়াইশা ইবনে হোছাইন। সে ইসলাম গ্রহণ করে নাই। তাহার বাহ্যিক চরিত্র ও আভ্যন্তরীণ স্বভাব এক ছিল না। তাহার বাহ্যিক চরিত্র দেখিয়া যেন লোকেরা প্রতারিত না হয়, তাই তিনি লোকদিগকে সতর্ক ও সাবধান করার উদ্দেশ্যে উক্ত মন্তব্য করিয়াছেন। কোন ব্যক্তি তাহার সমাজে মন্দ হইলেও আমাদের কাছে আসিলে তাহার সাথে সদাচরণ করিতে হইবে। যেমন হুযূর (ﷺ) করিয়াছেন।
tahqiqতাহকীক:তাহকীক চলমান