মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)

২৬- আদাব - শিষ্টাচার অধ্যায়

হাদীস নং: ৪৮০৬
৯. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - বক্তৃতা ও কবিতা আবৃত্তি
৪৮০৬। হযরত আনাস (রাঃ) বলেন, আনজাশা নামে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর একজন উট চালনার গায়ক ছিল। তাহার কণ্ঠস্বর ছিল খুব মধুর। একদা নবী (ﷺ) তাহাকে বলিলেনঃ হে আনজাশা! আরও ধীরে ধীরে। কাঁচগুলি ভাঙ্গিও না। হযরত কাতাদাহ্ (রাঃ) বলেনঃ ‘কাচ’ অর্থাৎ, নারীদের দুর্বলতা। — মোত্তাঃ
وَعَن أنسٍ قَالَ: كَانَ لِلنَّبِيِّ حَادٍ يُقَالُ لَهُ: أَنْجَشَةُ وَكَانَ حَسَنَ الصَّوْتِ. فَقَالَ لَهُ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «رُوَيْدَكَ يَا أَنْجَشَةُ لَا تَكْسِرِ الْقَوَارِيرَ» . قَالَ قَتَادَةُ: يَعْنِي ضَعْفَةَ النِّسَاءِ. مُتَّفق عَلَيْهِ

হাদীসের ব্যাখ্যা:

আরবদের নিয়ম ছিল উটের বহর লইয়া মরুভূমি অতিক্রম করার সময় এক শ্রেণীর গায়ক বিশেষ ধরনের গান (কবিতা) আবৃত্তি করিত। সেই কবিতার সুর ও ছন্দের তালে তালে উটের দল খুব দ্রুত চলিতে থাকে। ইহার গায়ক হইল ‘হাদী’। আর ছন্দ কবিতাকে বলা হয় 'হিদা'।
আনজাশার কণ্ঠস্বর ছিল সুমধুর। হুযূর (ﷺ)-এর উক্ত কাফেলায় মহিলারাও ছিল। হাদীর গানের তালে তালে উটগুলি এত দ্রুত চলিতেছিল যে, মহিলাগণ তাহাদের ‘হাওদা' হইতে নীচে পড়িয়া যাওয়ার আশংকা হইয়াছিল। তখন তিনি আনজাশাকে বলিলেন, ধীরে ধীরে আবৃত্তি কর, অন্যথায় নাজুক কাচ অর্থাৎ, মহিলারা ভাঙ্গিয়া যাইতে পারে। অথবা সুললিত কণ্ঠে গানের সুরের মধ্যে কুপ্রবৃত্তির প্রতি আকর্ষণ থাকে। সুতরাং তোমার গানের সুরে কোমল মহিলাদের অন্তরে এই জাতীয় মন্দ কিছুর উদ্রেক হইতে পারে। কাজেই তুমি গানের সুরে উটের গতি কিংবা নারীদের মনকে উত্তেজিত করিয়া তুলিও না ।
tahqiqতাহকীক:তাহকীক চলমান
মিশকাতুল মাসাবীহ - হাদীস নং ৪৮০৬ | মুসলিম বাংলা