মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)
২৬- আদাব - শিষ্টাচার অধ্যায়
হাদীস নং: ৪৭৪৯
৭. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - হাসি
৪৭৪৯। হযরত কাতাদাহ্ (রাঃ) বলেন, একবার হযরত ইবনে উমর (রাঃ)-কে জিজ্ঞাসা করা হইল, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর সাহাবীগণ কি হাসিতেন ? তিনি বলিলেন হ্যাঁ, তবে তাঁহাদের অন্তরে পাহাড়ের চাইতেও প্রকাণ্ড ঈমান ছিল। হযরত বেলাল ইবনে সাদ (রাঃ) বলেন, আমি সাহাবীদিগকে এই অবস্থায় পাইয়াছি যে, তাঁহারা তীরের লক্ষ্যস্থলের মধ্যে দৌড়াইতেন এবং একে অপরের কথাবার্তায় হাসিতেন। আর যখন রাত্রি নামিত তখন তাঁহারা আল্লাহরর প্রতি অধিক ভীত ছিলেন। —শরহে সুন্নাহ্
الْفَصْل الثَّالِث
عَن قتادةَ قَالَ: سُئِلَ ابْنُ عُمَرَ: هَلْ كَانَ أَصْحَابُ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَضْحَكُونَ؟ قَالَ: نَعَمْ وَالْإِيمَانُ فِي قُلُوبِهِمْ أَعْظَمُ مِنَ الْجَبَلِ. وَقَالَ بِلَالُ بْنُ سَعْدٍ: أَدْرَكْتُهُمْ يَشْتَدُّونَ بَيْنَ الْأَغْرَاضِ وَيَضْحَكُ بَعْضُهُمْ إِلَى بَعْضٍ فَإِذَا كَانَ اللَّيْلُ كَانُوا رُهْبَانًا. رَوَاهُ فِي «شَرْحِ السّنة»
হাদীসের ব্যাখ্যা:
“তাঁহাদের ঈমান ছিল পাহাড় অপেক্ষা বিরাট।” অর্থাৎ, সাহাবায়ে কেরাম যদিও হাসিতেন, কিন্তু তাঁহাদের হাসি ঈমানের জ্যোতি নির্বাপণ করিত না। কারণ, পাহাড়ের চাইতেও অবিচল ছিল তাঁহাদের ঈমান।
এখানে ‘রোহবান' অর্থ সংসারত্যাগী, বৈরাগ্য ও সন্যাসব্রতী হওয়া নহে; বরং খোদার এবাদতে একনিষ্ঠ মনোযোগী হওয়া। অন্য কথায়, هم فرسان النهار وزهاد الليل অর্থাৎ, তাঁহারা ছিলেন দিনের বেলায় সৈনিক এবং রাত্রির বেলায় দরবেশ। ইহাই ছিল সাহাবায়ে কেরামদের চরিত্রের বৈশিষ্ট্য। কুরআনের বহু আয়াতে তাঁহাদের এই চরিত্র-বৈশিষ্ট্যের প্রশংসা বর্ণিত হইয়াছে।
এখানে ‘রোহবান' অর্থ সংসারত্যাগী, বৈরাগ্য ও সন্যাসব্রতী হওয়া নহে; বরং খোদার এবাদতে একনিষ্ঠ মনোযোগী হওয়া। অন্য কথায়, هم فرسان النهار وزهاد الليل অর্থাৎ, তাঁহারা ছিলেন দিনের বেলায় সৈনিক এবং রাত্রির বেলায় দরবেশ। ইহাই ছিল সাহাবায়ে কেরামদের চরিত্রের বৈশিষ্ট্য। কুরআনের বহু আয়াতে তাঁহাদের এই চরিত্র-বৈশিষ্ট্যের প্রশংসা বর্ণিত হইয়াছে।
