মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)
২৬- আদাব - শিষ্টাচার অধ্যায়
হাদীস নং: ৪৭৪৫
৭. প্রথম অনুচ্ছেদ - হাসি
৪৭৪৫। হযরত আয়েশা (রাঃ) বলেন, আমি কখনও নবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে এমনভাবে হাসিতে দেখি নাই যে, অট্টহাসিতে তাঁহার মুখগহ্বর ও কণ্ঠতালু পর্যন্ত দেখিতে পাই; বরং তিনি কেবল মুচকি হাসিতেন। -বুখারী
بَابُ الضِّحْكِ: الْفَصْل الأول
عَن عائشةرضي اللَّهُ عَنْهَا قَالَتْ: مَا رَأَيْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مُسْتَجْمِعًا ضَاحِكًا حَتَّى أَرَى مِنْهُ لَهَوَاتِهِ إِنَّمَا كَانَ يتبسم. رَوَاهُ البُخَارِيّ
হাদীসের ব্যাখ্যা:
হাসির মাধ্যমেই মানুষ অন্তরের আভ্যন্তরীণ উৎফুল্লতা প্রকাশ করিয়া থাকে। মানব চরিত্রের ইহাও একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য। হাসি যদিও একটি ভাল জিনিস, তবুও ইহার একটা বৈধ সীমা রহিয়াছে। ইসলামী পরিভাষায় হাসি তিন প্রকার। القهقهة - الضحك - التبسم আল্লাহর কালামে প্রথম দুই প্রকারের হাসির কথা উল্লেখ আছে। যেমন— كَانُوا مِنَ الَّذِينَ آمَنُوا يَضْحَكُونَ ـ آمَنُوا مِنَ الْكُفَّارِ يَضْحَكُونَ - فَالْيَوْمَ الَّذِينَ - فَتَبَسَّمَ ضَاحِكًا - وَامْرَأَتُهُ قَائِمَةٌ فَضَحِكَتْ
তিন প্রকারের হাসির মধ্যে পার্থক্য আছে। যথা—
تبسم তাবাসসুমঃ ইহা মৃদু হাসি। রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর হাসি প্রায়শঃ এইরূপই হইত। এই হাসিতে শব্দ হয় না। মুখমণ্ডল ও চেহারায় হাসির ভাব পুরাপুরি প্রস্ফুটিত হয়। আল্লাওয়ালা বুযুর্গ ব্যক্তিদেরকে এইভাবেই হাসিতে দেখা যায়।
ضحك যিহকঃ এই হাসিতে দাঁত দেখা যায় এবং শব্দও হয়। এইভাবে হাসার সময় গণ্ডদেশ ও কপালে ভাঁজ পড়ে, চোখের কোণ সংকুচিত হয়। সম্ভ্রান্ত ও গাম্ভীর্যপূর্ণ ব্যক্তিদের এই ধরনের হাসা উচিত নয়। অনেক সময় এই প্রকারের হাসিতে সম্মানের লাঘব ঘটে এবং মর্যাদা ক্ষুণ্ণ হয়। এই হাসিতে নামায নষ্ট হয় ।
قهقهة কাহকাহাঃ ইহাকে বলা হয় অট্টহাসি। হাসার সময় মুখমণ্ডল ও চেহারার আকৃতির পরিবর্তন ঘটে। ইহা ফাসেক ও বদ লোকদের হাসি। ফলে এইরূপ হাসা নিষিদ্ধ। কেননা, ইহাতে অন্তর মরিয়া যায়। নামাযে হাসিলে নামায ও অযূ উভয়টি নষ্ট হইয়া যায়। অথচ আল্লাহর কালামে বলা হইয়াছে, তাহাদের কম হাসা ও অধিক কাঁদা উচিত। মোটকথা, অনেক সময় হাসির দরুনও লজ্জিত হইতে হয়। সুতরাং এই অধ্যায়ের হাদীসসমূহে হাসির বৈধ সীমা কি ? তৎসম্পর্কে বর্ণনা করা হইবে, যাহা শিষ্টাচারের একটি বিশেষ অঙ্গ।
তিন প্রকারের হাসির মধ্যে পার্থক্য আছে। যথা—
تبسم তাবাসসুমঃ ইহা মৃদু হাসি। রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর হাসি প্রায়শঃ এইরূপই হইত। এই হাসিতে শব্দ হয় না। মুখমণ্ডল ও চেহারায় হাসির ভাব পুরাপুরি প্রস্ফুটিত হয়। আল্লাওয়ালা বুযুর্গ ব্যক্তিদেরকে এইভাবেই হাসিতে দেখা যায়।
ضحك যিহকঃ এই হাসিতে দাঁত দেখা যায় এবং শব্দও হয়। এইভাবে হাসার সময় গণ্ডদেশ ও কপালে ভাঁজ পড়ে, চোখের কোণ সংকুচিত হয়। সম্ভ্রান্ত ও গাম্ভীর্যপূর্ণ ব্যক্তিদের এই ধরনের হাসা উচিত নয়। অনেক সময় এই প্রকারের হাসিতে সম্মানের লাঘব ঘটে এবং মর্যাদা ক্ষুণ্ণ হয়। এই হাসিতে নামায নষ্ট হয় ।
قهقهة কাহকাহাঃ ইহাকে বলা হয় অট্টহাসি। হাসার সময় মুখমণ্ডল ও চেহারার আকৃতির পরিবর্তন ঘটে। ইহা ফাসেক ও বদ লোকদের হাসি। ফলে এইরূপ হাসা নিষিদ্ধ। কেননা, ইহাতে অন্তর মরিয়া যায়। নামাযে হাসিলে নামায ও অযূ উভয়টি নষ্ট হইয়া যায়। অথচ আল্লাহর কালামে বলা হইয়াছে, তাহাদের কম হাসা ও অধিক কাঁদা উচিত। মোটকথা, অনেক সময় হাসির দরুনও লজ্জিত হইতে হয়। সুতরাং এই অধ্যায়ের হাদীসসমূহে হাসির বৈধ সীমা কি ? তৎসম্পর্কে বর্ণনা করা হইবে, যাহা শিষ্টাচারের একটি বিশেষ অঙ্গ।
