মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)
২৪- রোগব্যধি ও রুকইয়া,চিকিৎসা অধ্যায়
হাদীস নং: ৪৬০০
২. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - জ্যোতিষীর গণনা
৪৬০০। হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) হইতে বর্ণিত, নবী (ﷺ) বলিয়াছেনঃ আল্লাহ্ তা'আলা আসমানে যখন কোন ফয়সালা করেন, তখন সেই নির্দেশে ফিরিশতাগণ ভীত-সন্ত্রস্ত অবস্থায় তাহাদের পাখাসমূহ নাড়াইতে থাকেন। আল্লাহ্ তা'আলার সেই নির্দেশটির আওয়াজ সেই শিকলের শব্দের মত যাহা কোন একটি সমতল পাথরের উপরে টানিয়া নেওয়া হইলে উহাতে সৃষ্টি হয়। অতঃপর যখন ফিরিশতাদের অন্তর হইতে সেই ভীতি দূর হইয়া যায়, তখন সাধারণ ফিরিশতা আল্লাহর নিকটতম ফিরিশতাকে জিজ্ঞাসা করেন, তোমাদের রবু কি নির্দেশ দিয়াছেন ? তাঁহারা বলেন, আমাদের প্রভু যাহা বলিয়াছেন, তাহা সম্পূর্ণ বরহকই বলিয়াছেন। (এবং সেই নির্দেশটি কি তাহা জানাইয়া দেন,) ইহার পর বলেন, আল্লাহ্ তা'আলা হইলেন সুমহান ও মর্যাদাসম্পন্ন।
আল্লাহর নবী আরো বলিয়াছেন, আল্লাহর ফয়সালাকৃত বিধান সম্পর্কে ফিরিশতাদের মধ্যে যে সব আলোচনা হইতে থাকে, জ্বিন শয়তানেরা চোরা পথে একজন আরেকজনের উপরে এইরূপ দাঁড়াইয়া শুনার চেষ্টা করে। বর্ণনাকারী হযরত সুফিয়ান নিজের হাতের অঙ্গুলীগুলি ফাঁক করিয়া শয়তানরা কিভাবে একজন আরেকজন হইতে কিছুটা ফাঁক এবং কাছাকাছি দাঁড়ায় তাহা অনুশীলন করিয়া দেখাইয়াছেন। অতঃপর যেই শয়তান প্রথমে নিকট হইতে শুনিতে পায় সে উহা তাহার নীচের শয়তানকে বলিয়া দেয় এবং সে তাহার নীচে ওয়ালাকে, এইভাবে সেই শুনা কথাটি জাদুকর ও গণকের কাছে পৌঁছাইয়া দেয়। অনেক সময় অবস্থা এমন হয় যে, ঐ শুনা কথাটি পৌঁছার পূর্বেই আগুনের ফুল্কি তাহাদের উপর নিক্ষেপ করা হয় (ফলে আর উহা গণকদের পর্যন্ত পৌঁছিতে পারে না)। আবার কখনো তারকা নিক্ষেপ হওয়ার পূর্বেই উহা তাহাদের কাছে পৌঁছাইয়া দেয়। অতঃপর তাহারা উর্ধ্ব জগতে শুনা সেই (সত্য) কথাটির সাথে (নিজেদের মনগড়া) শত শত মিথ্যার মিশ্রণ ঘটাইয়া মানুষের কাছে অলীক কথা বলে। আর যখন তাহাকে বলা হয় যে, অমুক দিন তুমি আমাদিগকে এই এই কথা বলিয়াছিলে, (উহা তো মিথ্যা প্রমাণিত হইয়াছে।) তখন ঐ একটি কথা দ্বারা তাহার সত্যতা প্রমাণ করা হয়, যাহা উর্ধ্ব জগত হইতে শ্রুত হইয়াছিল। —বুখারী
আল্লাহর নবী আরো বলিয়াছেন, আল্লাহর ফয়সালাকৃত বিধান সম্পর্কে ফিরিশতাদের মধ্যে যে সব আলোচনা হইতে থাকে, জ্বিন শয়তানেরা চোরা পথে একজন আরেকজনের উপরে এইরূপ দাঁড়াইয়া শুনার চেষ্টা করে। বর্ণনাকারী হযরত সুফিয়ান নিজের হাতের অঙ্গুলীগুলি ফাঁক করিয়া শয়তানরা কিভাবে একজন আরেকজন হইতে কিছুটা ফাঁক এবং কাছাকাছি দাঁড়ায় তাহা অনুশীলন করিয়া দেখাইয়াছেন। অতঃপর যেই শয়তান প্রথমে নিকট হইতে শুনিতে পায় সে উহা তাহার নীচের শয়তানকে বলিয়া দেয় এবং সে তাহার নীচে ওয়ালাকে, এইভাবে সেই শুনা কথাটি জাদুকর ও গণকের কাছে পৌঁছাইয়া দেয়। অনেক সময় অবস্থা এমন হয় যে, ঐ শুনা কথাটি পৌঁছার পূর্বেই আগুনের ফুল্কি তাহাদের উপর নিক্ষেপ করা হয় (ফলে আর উহা গণকদের পর্যন্ত পৌঁছিতে পারে না)। আবার কখনো তারকা নিক্ষেপ হওয়ার পূর্বেই উহা তাহাদের কাছে পৌঁছাইয়া দেয়। অতঃপর তাহারা উর্ধ্ব জগতে শুনা সেই (সত্য) কথাটির সাথে (নিজেদের মনগড়া) শত শত মিথ্যার মিশ্রণ ঘটাইয়া মানুষের কাছে অলীক কথা বলে। আর যখন তাহাকে বলা হয় যে, অমুক দিন তুমি আমাদিগকে এই এই কথা বলিয়াছিলে, (উহা তো মিথ্যা প্রমাণিত হইয়াছে।) তখন ঐ একটি কথা দ্বারা তাহার সত্যতা প্রমাণ করা হয়, যাহা উর্ধ্ব জগত হইতে শ্রুত হইয়াছিল। —বুখারী
الْفَصْل الثَّالِث
عَن أبي هُرَيْرَة أَنَّ نَبِيَّ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: إِذَا قَضَى اللَّهُ الْأَمْرَ فِي السَّمَاءِ ضَرَبَتِ الْمَلَائِكَةُ بِأَجْنِحَتِهَا خُضْعَانًا لِقَوْلِهِ كَأَنَّهُ سِلْسِلَةٌ عَلَى صَفْوَانٍ فَإِذَا فُزِّعَ عَنْ قُلُوبِهِمْ قَالُوا: مَاذَا قَالَ رَبُّكُمْ؟ قَالُوا: لِلَّذِي قَالَ الْحَقَّ وهوَ العليُّ الكبيرُ فَسَمعَهَا مُسترِقوا السَّمعِ ومُسترقوا السَّمْعِ هَكَذَا بَعْضُهُ فَوْقَ بَعْضٍ «وَوَصَفَ سُفْيَانُ بِكَفِّهِ فَحَرَّفَهَا وَبَدَّدَ بَيْنَ أَصَابِعِهِ» فَيَسْمَعُ الْكَلِمَةَ فَيُلْقِيهَا إِلَى مَنْ تَحْتَهُ ثُمَّ يُلْقِيهَا الْآخَرُ إِلَى مَنْ تَحْتَهُ حَتَّى يُلْقِيَهَا عَلَى لِسَانِ السَّاحِرِ أَوِ الْكَاهِنِ. فَرُبَّمَا أَدْرَكَ الشِّهَابُ قَبْلَ أَنْ يُلْقِيَهَا وَرُبَّمَا أَلْقَاهَا قَبْلَ أَنْ يُدْرِكَهُ فكذب مَعَهَا مِائَةَ كَذْبَةٍ فَيُقَالُ: أَلَيْسَ قَدْ قَالَ لَنَا يَوْمَ كَذَا وَكَذَا: كَذَا وَكَذَا؟ فَيَصْدُقُ بِتِلْكَ الْكَلِمَةِ الَّتِي سُمِعَتْ مِنَ السَّمَاءِ . رَوَاهُ البُخَارِيّ
হাদীসের ব্যাখ্যা:
গণকদের অলীক ভবিষ্যত গণনার বহু উপায়ের মাত্র একটি সূত্র অত্র হাদীসে উল্লেখ করা হইয়াছে। অন্যান্য সূত্রগুলিও অনুরূপ কাল্পনিক ও মিথ্যা। ইসলামের দৃষ্টিতে তাহাদের গণনায় বিশ্বাস করা ও আস্থা রাখা হারাম। গণনার জন্য তাহাদের কাছে যাওয়াও হারাম এবং তাহারা গায়েব জানে এমন কথা বিশ্বাস করা বা আকীদা পোষণ করা শিরক।
