মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)
২৪- রোগব্যধি ও রুকইয়া,চিকিৎসা অধ্যায়
হাদীস নং: ৪৫৭৭
- রোগব্যধি ও রুকইয়া,চিকিৎসা অধ্যায়
১. প্রথম অনুচ্ছেদ - শুভ ও অশুভ লক্ষণ
৪৫৭৭। হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) হইতে বর্ণিত, তিনি বলেন: রাসুলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ রোগে সংক্রামী হওয়া বলিতে কিছুই নাই, কোন কিছুতে অশুভ নাই। পেঁচকের মধ্যে কু-লক্ষণ নাই এবং সফর মাসেও কোন অশুভ নাই। তবে কুষ্ঠরোগী হইতে পলায়ন কর, যেমন তুমি বাঘ হইতে পলায়ন করিয়া থাক। বুখারী
كتاب الطب والرقى
وَعَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَا عَدْوَى وَلَا طِيَرَةَ وَلَا هَامة وَلَا صقر وفر الْمَجْذُومِ كَمَا تَفِرُّ مِنَ الْأَسَدِ» . رَوَاهُ الْبُخَارِيُّ
হাদীসের ব্যাখ্যা:
هامة (হা-মাহ্) অর্থ, নিশাচর পাখী। জাহেলী যুগে লোকেরা এই আকীদা পোষণ করিত যে, যদি কোন ব্যক্তিকে অন্যায়ভাবে হত্যা করা হয়, আর তাহার প্রতিশোধ লওয়া না হয়, তখন সেই নিহত ব্যক্তির মাথার খুলি হইতে একটি পাখী বাহির হইয়া আসে এবং নিহত ব্যক্তির আপনজনদের ঘরের আশেপাশে আসিয়া আমাকে পানি পান করাও, বলিয়া ডাকিতে থাকে, এইভাবে চল্লিশ দিন পর্যন্ত ডাকে। আর যখনই উহার প্রতিশোধ লওয়া হয়, তখনই পাখীটি চলিয়া যায়। আবার কেহ কেহ ধারণা করিত, উক্ত পাখীটি নিহত ব্যক্তির কবরের পার্শ্বে বসিয়া চীৎকার করিতে থাকে। এই হাদীসে উক্ত আকীদাকে রদ করা হইয়াছে যে, ইহা ভিত্তিহীন। রোগের মধ্যে সংক্রামকতা নাই—তবুও দুর্বল ঈমানের লোকদিগকে কুষ্ঠরোগীর কাছে যাইতে নিষেধ করা হইয়াছে। কেননা, যদি সেও আক্রান্ত হইয়া পড়ে, তখন সে আল্লাহর হুকুমে হইয়াছে এই ধারণা না করিয়া রোগে সংক্রামী হইয়াছে এবং ঐ ব্যক্তির ছোঁয়াচে আসার দরুন সেও আক্রান্ত হইয়াছে, এমন ধারণা করিয়া বসিবে। অথচ সহীহ্ হাদীসে বর্ণিত আছে, হুযূর (ﷺ) এক কুষ্ঠরোগীকে সঙ্গে লইয়া খানা খাইয়াছেন।