মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)

২৩- পোষাক-পরিচ্ছদের বর্ণনা

হাদীস নং: ৪৪৬০
- পোষাক-পরিচ্ছদের বর্ণনা
৩. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - চুল আঁচড়ানো
৪৪৬০। হযরত আয়েশা (রাঃ) হইতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি এবং রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) একই পাত্র হইতে গোসল করিতাম। তখন হুযূর (ﷺ)-এর মাথার চুল জুম্মার উপরে এবং ওয়াফরার নীচে ছিল। —তিরমিযী
كتاب اللباس
وَعَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ: كُنْتُ أَغْتَسِلُ أَنَا وَرَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْ إِنَاءٍ وَاحِدٍ وَكَانَ لَهُ شَعْرٌ فَوْقَ الْجُمَّةِ وَدُونَ الوفرة. رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ وَالنَّسَائِيّ

হাদীসের ব্যাখ্যা:

মাথার চুলের তিন অবস্থায় তিন নাম। (ক) কানের লতি পর্যন্ত পৌঁছিলে উহাকে বলা হয় ওয়াফরাহ্। (খ) ঘাড়ের মধ্যখান পর্যন্ত পৌঁছিলে বলা হয় লিম্মাহ্। (গ) ঘাড়ের নীচ পর্যন্ত পৌঁছিলে বলা হয় জুম্মাহ্। হুযূর (ﷺ) মাথার চুল সাধারণত লিম্মাহ্ অবস্থায় রাখিতেন, যাহা অত্র হাদীসে হযরত আয়েশা বর্ণনা করিয়াছেন। অবশ্য খুব বেশী লম্বা হইলে জুম্মাহ্ অবস্থায় পৌঁছিত। আর যখন কাটাইতেন তখন ওয়াক্বাহ্ পর্যায়ে পৌঁছিত।
বর্তমানে আমাদের সমাজে কিছু কিছু ভণ্ড ও বে-শরা ফকীর-দরবেশকে দেখা যায়, মাথায় জট বাঁধিয়া চুলকে খুব লম্বা করে। ইহা সম্পূর্ণ অবৈধ ও সুন্নত বিরোধী। বিভিন্ন পূণ্যবান লোকদের মাযারে ইহাদের আস্তানা গড়িয়া উঠে এবং গাঁজা তাড়ি ইত্যাদির আসর জমায়।
tahqiqতাহকীক:তাহকীক চলমান