মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)
২২- খাদ্যদ্রব্য-পানাহার সংক্রান্ত অধ্যায়
হাদীস নং: ৪২৯০
৪. প্রথম অনুচ্ছেদ - নাক্বী‘ ও নাবীয সম্পর্কীয় বর্ণনা
৪২৯০। হযরত আব্দুল্লাহ্ ইবনে ওমর (রাঃ) হইতে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কদুর খোলস, সবুজ মটকা, আলকাতরা লাগান পাত্র এবং খেজুর বৃক্ষের মূলের পাত্র ব্যবহার করিতে নিষেধ করিয়াছেন এবং চামড়ার মশকে নাবীয প্রস্তুত করিতে আদেশ করিয়াছেন। —মুসলিম
وَعَنِ ابْنِ عُمَرَ: أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نهى عَن الدُّبَّاء والحنتم والمرفت وَالنَّقِيرِ وَأَمَرَ أَنْ يُنْبَذَ فِي أَسْقِيَةِ الْأَدَمِ. رَوَاهُ مُسلم
হাদীসের ব্যাখ্যা:
দুব্বা—কদুর শুকনা খোলস দ্বারা তৈয়ারী পাত্র। হানতাম — মটকা জাতীয় সবুজ বর্ণের পাত্রবিশেষ। মুযাফ্ফাত—এমন ধরনের পাত্র যাহার ভিতরে কিংবা বাহিরে আলকাতরা লেপিয়া দেওয়া হয়। নাকীর— খেজুর গাছের মূলের দ্বারা নির্মিত পাত্র। মূলত এইগুলি তৎকালীন আরবরা মদ তৈয়ারীর পাত্র হিসাবে ব্যবহার করিত। ইসলামে মদ হারাম হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এই সমস্ত পাত্রগুলির ব্যবহারও নিষিদ্ধ করা হইয়াছে। কারণ, উল্লিখিত পাত্রসমূহে নাবী প্রস্তুত করিলে উহা খুব তাড়াতাড়ি মদে পরিণত হইয়া যাইত, ফলে অনেক সময় উহাকে নাবীয় ধারণা করিয়া পান করা হইত অথচ উহা মদে পরিণত হইয়া থাকিত। কিন্তু চামড়ার মশকে খুব সহজে নাবীয মদে পরিণত হয় না। অবশ্য পরবর্তী সময়ে নবী করীম (ﷺ) উল্লিখিত পাত্রগুলি ব্যবহারের অনুমতি দিয়াছেন।
