মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)
২২- খাদ্যদ্রব্য-পানাহার সংক্রান্ত অধ্যায়
হাদীস নং: ৪২৭১
৩. প্রথম অনুচ্ছেদ - পানীয় দ্রব্যের বর্ণনা
৪২৭১। হযরত উম্মে সালামা (রাঃ) হইতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ্ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেন যে ব্যক্তি রৌপ্য পাত্রে পান করে, বস্তুত সে তাহার পেটের মধ্যে জাহান্নামের আগুনের ঢোক গিলিল। মোত্তাঃ আর মুসলিমের রেওয়ায়তে আছে, যে ব্যক্তি রৌপ্য ও স্বর্ণের পাত্রে পানাহার করে........
وَعَنْ أُمِّ سَلَمَةَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «الَّذِي يَشْرَبُ فِي آنِيَةِ الْفِضَّةِ إِنَّمَا يُجَرْجِرُ فِي بَطْنِهِ نَارَ جَهَنَّمَ» . مُتَّفَقٌ عَلَيْهِ. وَفِي رِوَايَةٍ لِمُسْلِمٍ: «إِنَّ الَّذِي يَأْكُلُ وَيَشْرَبُ فِي آنِية الْفضة وَالذَّهَب»
হাদীসের ব্যাখ্যা:
‘পেটে জাহান্নামের আগুন ঢোকায়’-এর অর্থ এটা তার জাহান্নামের আগুনে শাস্তিপ্রাপ্ত হওয়ার কারণ হবে। যেমন এতিমদের মাল খাওয়া সম্পর্কে কুরআন মাজীদে ইরশাদ-
إِنَّ الَّذِينَ يَأْكُلُونَ أَمْوَالَ الْيَتَامَىٰ ظُلْمًا إِنَّمَا يَأْكُلُونَ فِي بُطُونِهِمْ نَارًا
‘নিশ্চয়ই যারা এতিমদের সম্পদ অন্যায়ভাবে ভোগ করে, তারা নিজেদের পেটে কেবল আগুন ভরতি করে।’ (সূরা নিসা (৪), আয়াত ১০) এর মানে এতিমদের সম্পদ অন্যায়ভাবে ভোগ করলে আখিরাতে জাহান্নামের আগুনে পুড়তে হবে।
এ হাদীছেও সে কথাই বোঝানো উদ্দেশ্য। এটা কঠিন সতর্কবাণী। এর দ্বারা বোঝা যায় সোনা-রুপার পাত্র ব্যবহার করা কবীরা গুনাহ। কাজেই এর থেকে বিরত থাকা একান্ত জরুরি।
হাদীস থেকে শিক্ষণীয়ঃ
সোনা-রুপার যে-কোনও পাত্র ব্যবহার করা সম্পূর্ণ নাজায়েয ও হারাম।
إِنَّ الَّذِينَ يَأْكُلُونَ أَمْوَالَ الْيَتَامَىٰ ظُلْمًا إِنَّمَا يَأْكُلُونَ فِي بُطُونِهِمْ نَارًا
‘নিশ্চয়ই যারা এতিমদের সম্পদ অন্যায়ভাবে ভোগ করে, তারা নিজেদের পেটে কেবল আগুন ভরতি করে।’ (সূরা নিসা (৪), আয়াত ১০) এর মানে এতিমদের সম্পদ অন্যায়ভাবে ভোগ করলে আখিরাতে জাহান্নামের আগুনে পুড়তে হবে।
এ হাদীছেও সে কথাই বোঝানো উদ্দেশ্য। এটা কঠিন সতর্কবাণী। এর দ্বারা বোঝা যায় সোনা-রুপার পাত্র ব্যবহার করা কবীরা গুনাহ। কাজেই এর থেকে বিরত থাকা একান্ত জরুরি।
হাদীস থেকে শিক্ষণীয়ঃ
সোনা-রুপার যে-কোনও পাত্র ব্যবহার করা সম্পূর্ণ নাজায়েয ও হারাম।
ব্যাখ্যা সূত্রঃ_ রিয়াযুস সালিহীন (অনুবাদ- মাওলানা আবুল বাশার মুহাম্মাদ সাইফুল ইসলাম হাফি.)
