আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ

১- ঈমানের অধ্যায়

হাদীস নং:
আন্তর্জাতিক নং: ৩৯
২৯. দ্বীন সহজ নবী (ﷺ) এর বাণীঃ আল্লাহর নিকট সবচাইতে পছন্দনীয় হল দ্বীন-ই হানীফিয়্যা যা সহজ সরল।
৩৮। আব্দুস সালাম ইবনে মুতাহহার (রাহঃ) ......... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, নবী করীম (ﷺ) ইরশাদ করেনঃ নিশ্চয়ই দ্বীন সহজ-সরল। দ্বীন নিয়ে যে কড়াকড়ি/বাড়াবাড়ি করে দ্বীন তার উপর বিজয়ী হয়। কাজেই তোমরা মধ্যপন্থা অবলম্বন কর এবং (মধ্যপন্থার) নিকটবর্তী থাক, আশান্বিত থাক এবং সকাল-সন্ধ্যায় ও রাতের কিছু অংশে (ইবাদতের মাধ্যমে) সাহায্য চাও।

হাদীসের ব্যাখ্যা:

এ হাদীছে প্রথমে বলা হয়েছে- إن الدين يسر “দীন সহজ'। অর্থাৎ ইসলাম ধর্ম অন্যান্য ধর্ম অপেক্ষা সহজ। ইসলামের বিধানাবলির প্রতি লক্ষ করলে এটা সহজেই বুঝে আসে। সর্বাপেক্ষা গুরুত্বপূর্ণ 'ইবাদত নামায। একে পাঁচ ওয়াক্তে ভাগ করে দেওয়া হয়েছে। প্রত্যেক ওয়াক্তের রাক'আত-সংখ্যাও এমন বেশি নয়, যা আদায় করা কঠিন। অল্প পরিমাণ তিলাওয়াত দ্বারাই নামায হয়ে যায়। রুকু-সিজদাও খুব অল্প সময়ের মধ্যেই আদায় হয়ে যায়। নামাযের আগে পবিত্রতার জন্য সারা শরীর ধোয়া ফরয করা হয়নি। চার অঙ্গের আমল দ্বারাই গোটা শরীর পাক হয়ে যায়। পানি না থাকলে বা পানি ব্যবহারে কষ্ট হলে বিকল্প হিসেবে তায়াম্মুমের ব্যবস্থা দেওয়া হয়েছ। এভাবে নামাযের প্রতি শর্ত ও রুকন চিন্তা করলে যে-কেউ সাক্ষ্য দেবে যে, নামায একটি সহজসাধ্য বিধান।
কেউ প্রশ্ন করতে পারে, কুরআন মাজীদে তো নামাযকে কঠিন বলা হয়েছে।

ইরশাদ হয়েছে-

وَإِنَّهَا لَكَبِيرَةٌ إِلَّا عَلَى الْخَاشِعِينَ

অর্থ : সালাতকে অবশ্যই কঠিন মনে হয়, কিন্তু তাদের পক্ষে (কঠিন) নয়, যারা খুশূ (অর্থাৎ ধ্যান ও বিনয়)-এর সাথে পড়ে।সূরা বাকারা, আয়াত ৪৫

এর উত্তর এই যে, এ আয়াতে নামাযকে কঠিন বলা হয়েছে মূলত মানুষের মন ও নফসের দিক থেকে। একদিকে মানুষের মন বড় অস্থির। অপরদিকে নামায এমন একটি ‘ইবাদত, যাতে মনকে স্থির রাখতে হয়। নামাযের আগে নামাযের প্রস্তুতি গ্রহণ, তাতে পোশাক-আশাক ও শারীরিক পবিত্রতা অর্জন, ওয়াক্তের প্রতি খেয়াল রাখা, কিবলামুখী হয়ে নামাযের কার্যাবলিতে মনোনিবেশ এবং সবগুলো কাজ ধারাবাহিকভাবে আঞ্জাম দেওয়ার শৃঙ্খলা রক্ষা ইত্যাদি বিষয়গুলো অস্থির মনের পক্ষে কষ্টকর বোধ হয়। তাই মন সহজে নামায আদায়ে প্রবৃত্ত হতে চায় না। এদিকে লক্ষ করেই নামাযকে কঠিন বলা হয়েছে। না হয় এমনিতে নামায এমন কোনও কঠিন কাজ নয়। এর কষ্ট শারীরিক নয়, মানসিক। শারীরিক সামান্য যে কষ্ট হয় তা অত্যন্ত স্বাভাবিক। জাগতিক যে-কোনও কাজেই তা আছে। পানাহার করা ও পোশাকবদলের মত স্বভাবগত চাহিদা পূরণের কাজেও ওরকম কষ্ট স্বীকার করতে হয়। কিন্তু মন প্রস্তুত থাকে বলে সে কষ্টকে কেউ গ্রাহ্য করে না। নামাযের মন প্রস্তুত থাকলে কোনও কষ্ট বোধ হয় না। এজন্যই আয়াতে বলা হয়েছে, যাদের অন্তরে খুশূ' অর্থাৎ ধ্যান ও আল্লাহ অভিমুখিতা আছে তাদের পক্ষে নামায কঠিন নয়।

এমনিভাবে যাকাতও কঠিন কোনও বিধান নয়। এক তো সকলের উপর যাকাত ফরয নয়, এর জন্য নির্দিষ্ট নিসাব আছে। নিসাবওয়ালাদের উপরও আবার বছরে মাত্র একবার ফরয, তাও সম্পদের সামান্য একটা অংশ- মাত্র চল্লিশ ভাগের এক ভাগ।

রোযা ফরয বছরে মাত্র একমাস, তাও কেবল দিনের বেলা। তারপর সফর ও অসুস্থ অবস্থায় কাযা করার অবকাশ আছে। এভাবে শরীআতের প্রতিটি হুকুমই সহনীয় পর্যায়ের।

আমাদের এ দীনের বিধানাবলি অন্যান্য সব ধর্মের তুলনায়ও সহজ। যেমন, আমাদের তাওবা কেবল গুনাহ ছেড়ে দেওয়া, অনুতপ্ত হওয়া এবং ভবিষ্যতে আর না করার প্রতিশ্রুতি দ্বারাই হয়ে যায়। কিন্তু ইহুদী ধর্মে কোনও কোনও গুনাহের তাওবা পূর্ণ হত কতল ও হত্যা দ্বারা। তাদের কাপড়ে নাপাকী লাগলে নাপাকীর স্থান কেটে ফেলতে হত। কিন্তু আমাদের দীনে তা ধুয়ে ফেলাই যথেষ্ট। আমাদের দীনে হত্যার শাস্তিতে দিয়াত অর্থাৎ অর্থদণ্ডের অবকাশ আছে। কিন্তু তাওরাতের বিধানে হত্যার বদলে হত্যাই অবধারিত ছিল। তাদের 'সপ্তাদিবসে' কাজকর্ম করা জায়েয ছিল না। কিন্তু আমাদের জুমাবারে কাজকর্ম করা জায়েয। আমাদের নামায মসজিদের বাইরেও জায়েয। কিন্তু তাদের নামায উপাসনালয়ের বাইরে জায়েয হত না। এসব সহজতার দিকে ইঙ্গিত করে কুরআন মাজীদে ইরশাদ হয়েছে-

وَيَضَعُ عَنْهُمْ إِصْرَهُمْ وَالْأَغْلَالَ الَّتِي كَانَتْ عَلَيْهِمْ

অর্থ : এবং (উম্মী নবী) তাদের থেকে ভার ও গলার বেড়ি নামাবে (অর্থাৎ কঠোর বিধানসমূহ লাঘব করবে), যা তাদের উপর চাপানো ছিল। সূরা আ'রাফ, আয়াত ১৫৭
যাহোক, আমাদের প্রতি এটা আল্লাহ তা'আলার খাস মেহেরবানী যে, তিনি আমাদেরকে এমন এক দীন দিয়েছেন, যা পালন করা সহজ অথচ তার কল্যাণ অপরীসিম।

হাদীছের দ্বিতীয় বাক্যে বলা হয়েছে- وَلَنْ يُشَادَّ الدِّينَ إِلاَ غَلَبَهُ 'যে-কেউ দীনকে কঠিন বানাবে, দীন তাকে অবশ্যই পরাস্ত করবে। দীনকে কঠিন বানানোর অর্থ নফল আমলসমূহে অতিরিক্ত গুরুত্ব দেওয়া। অর্থাৎ কোনও অবস্থায়ই তা ছাড়তে না চাওয়া, যতরকম নফল আছে একসঙ্গে সবগুলো পড়ার চেষ্টা করা এবং এত বেশি পরিমাণে করতে থাকা, যা বেশি দিন ধরে রাখা সম্ভব হয় না, একপর্যায়ে ক্লান্তি এসে যায়, শরীর ও মন বিরক্ত ও অবসন্ন হয়ে পড়ে। ফলে একেবারে সবটাই ছেড়ে দিতে হয়।

বলা হয়েছে যে, দীন তাকে অবশ্যই পরাস্ত করবে। অর্থাৎ মাত্রাতিরিক্ত গুরুত্ব দিলে একপর্যায়ে যেহেতু সবটাই ছেড়ে দিতে হয়, সেদিকে লক্ষ করে বলা হয়েছে দীন তাকে পরাস্ত করবে। এ বাক্যটিতে রূপকালঙ্কার আছে। আমলে বাড়াবাড়ি করাকে যুদ্ধ করার সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে। যুদ্ধে মানুষের শক্তিক্ষয় হয়। যে ব্যক্তি বাড়াবাড়ি করে সেও যেন দীনের অনুসরণ করতে গিয়ে বাড়তি শক্তি ক্ষয় করে। এভাবে কিছুদিন শক্তি ক্ষয় করার পর একপর্যায়ে সে নিস্তেজ হয়ে যায়। ওদিকে মাত্রাতিরিক্ত যেসব আমল সে শুরু করেছিল তা তো তার আপন জায়গায় আছেই, কিন্তু নিজে নিস্তেজ হয়ে যাওয়ার কারণে সেগুলো আর সামাল দিতে পারে না। পরিণামে দীন অর্থাৎ দীনের আমলসমূহের বিপরীতে সে হার মানতে বাধ্য হয়। তার পক্ষে আর সেগুলো পালন করা সম্ভব হয় না। একেই বলা হয়েছে দীন তাকে পরাস্ত করে ফেলে।

হাদীছে তারপর বলা হয়েছে- فَسَدِّدُوا 'তোমরা মধ্যপন্থা অবলম্বন কর।سَدِّدُوا শব্দটি السداد থেকে গঠিত। এর অর্থ ইস্তিকামাত। অর্থাৎ সঠিক ও বিশুদ্ধ হওয়া এবং স্থায়িত্বলাভ করা। বোঝানো হচ্ছে- তোমরা দীনের ব্যাপারে মধ্যপন্থা অবলম্বন কর ও তাতে স্থির থাক। কোনও অবস্থায়ই মধ্যপন্থা পরিত্যাগ করো না। কেউ কেউ বলেন, السداد অর্থ কথা, কাজ ও উদ্দেশ্য সঠিক হওয়া। এ তিনওটি সঠিক হলে তাকে বলা হয় ইস্তিকামাত। এগুলো সঠিক হওয়া মানে কুরআন-সুন্নাহ মোতাবেক হওয়া।

তারপর বলা হয়েছে-وقاربوا সাধ্যানুযায়ী আমল কর'। قاربوا এর উৎপত্তি قرب থেকে, যার অর্থ নৈকট্য। সুতরাং قاربوا এর আক্ষরিক অর্থ- কাছাকাছি থাক অর্থাৎ তোমরা বিশুদ্ধতার কাছাকাছি থাকতে চেষ্টা কর। অর্থাৎ তোমরা যতই চেষ্টা করো না কেন, শরী'আতের যাবতীয় বিধান ঠিক যেভাবে বলা হয়েছে শতভাগ সেভাবে মধ্যমপন্থায় পালন করতে পারবে না, কিছু না কিছু ত্রুটি হয়েই যাবে। হয়তো তাতে বাড়াবাড়ি ঘটবে, নয়তো শিথিলতা দেখা দেবে। ঠিক মাঝখানে অর্থাৎ শরী'আত যেভাবে বলেছে হুবহু সেভাবে পারবে না। তবে সতর্ক থাকবে যাতে হুবহু না পারলেও বেশি দূরে সরে না যাও। যথাসম্ভব বিশুদ্ধতার কাছাকাছি থাকার চেষ্টা করবে। মোটকথা, মানুষের প্রতি শরী'আতের আদেশ হচ্ছে- সকল বিধানে যথাসম্ভব কুরআন-সুন্নাহ মোতাবেক আমলের চেষ্টা করা, ইচ্ছাকৃতভাবে তাতে বাড়াবাড়ি ও শিথিলতা না করা।

তারপর বলা হয়েছে- وابشروا 'সুসংবাদ নাও'। অর্থাৎ আমল যদিও কম হয় কিন্তু স্থায়ী হয়, তবে সুসংবাদ নাও যে, তোমরা স্থায়ীভাবে ছাওয়াব পেতে থাকবে এবং নিয়মিত হাজিরার কারণে তোমাদের প্রতি আল্লাহর রহমতের দৃষ্টিও নিরবচ্ছিন্ন থাকবে।
সবশেষে ইরশাদ হয়েছে—

وَاسْتَعِينُوا بِالْغَدْوَةِ وَالرَّوْحَةِ، وَشَيْءٍ مِنْ الدُّلْجَةِ

এবং সকাল, সন্ধ্যা ও রাতের কিছু অংশ দ্বারা সাহায্য গ্রহণ কর'। الغَدْوَةِ এর অর্থ দিনের প্রথম অংশের যাত্রা। الرَّوْحَةِ এর অর্থ দিনের শেষভাগের যাত্রা। الدُّلْجَةِ এর অর্থ রাতের শেষভাগ। বলা হচ্ছে, তোমরা এই তিন বেলার 'ইবাদত-বন্দেগী দ্বারা বাকি সব 'ইবাদত-বন্দেগী নিয়মিতভাবে করে যাওয়ার পক্ষে সাহায্য গ্রহণ কর। অর্থাৎ এ সময়গুলোতে নিয়মিত ইবাদত করতে থাকাটা অন্যান্য ইবাদত চালিয়ে যাওয়ার জন্য সহায়ক হয়। কেননা এই তিনটি সময় পরিবেশ শান্ত থাকে, সেইসঙ্গে শরীর-মন থাকে চাঙ্গা। ফলে পূর্ণ আগ্রহ ও মনোনিবেশের সাথে 'ইবাদত করা সম্ভব হয়। এভাবে নিয়মিত করতে থাকলে 'ইবাদতের অভ্যাস গড়ে উঠে এবং তার প্রতি মহব্বত ও ভালোবাসার সৃষ্টি হয়। ইবাদতের প্রতি যখন মহব্বত সৃষ্টি হয়ে যায়, তখন আর সময়-কাল ও পরিবেশ-পরিস্থিতির প্রতিকূলতা তাতে বাধা সৃষ্টি করতে পারে না। বান্দা তখন সব বাধা অগ্রাহ্য করে সর্বপ্রকার ইবাদতে যত্নবান থাকতে পারে। 'ইবাদতের সঙ্গে বান্দার এ পর্যায়ের গভীর সম্পর্ক স্থাপনের পক্ষে যেহেতু উল্লিখিত তিন সময়ের 'ইবাদত সহায়ক হয়, সেজন্যই এর কথা বিশেষভাবে উল্লেখ করা হয়েছে।

মূলত এ বাক্যটি রূপকালঙ্কারস্বরূপ। এতে রূহানী ও আধ্যাত্মিক অভিযাত্রাকে বাহ্যিক সফরের সাথে তুলনা করা হয়েছে। মানুষ সফরের জন্য সাধারণত এ তিন সময়কে বেছে নিয়ে থাকে। কেননা এ সময় পরিবেশ অনুকূল হওয়ায় ও শরীর-মন চাঙ্গা থাকায় যাত্রা আনন্দদায়ক ও উপভোগ্য হয়। ইবাদত-বন্দেগী যেহেতু এক রূহানী সফর, যা দ্বারা বান্দা ধাপে ধাপে আল্লাহ তা'আলার নৈকট্যের স্তরসমূহ অতিক্রম করে থাকে, তাই এর জন্যও পরিবেশ অনুকূল ও শরীর-মন চাঙ্গা থাকা দরকার, যা এ তিন সময় হয়ে থাকে। ফলে এ সময়ের ইবাদত-বন্দেগীতে অনেক বেশি আস্বাদ পাওয়া যায় এবং এতে করে রূহানী সফর আনন্দদায়ক হয়ে ওঠে। এ কারণেই বিশেষভাবে ওই তিন সময়কে বেছে নিতে বলা হয়েছে।

বুখারী শরীফের অপর যে বর্ণনাটি এখানে উল্লেখ করা হয়েছে তার শেষবাক্য হচ্ছে- وَالْقَصْدَ الْقَصْدَ تَبْلُغُوا মধ্যপন্থা অবলম্বন কর, মধ্যপন্থা অবলম্বন কর, লক্ষ্যে পৌঁছতে পারবে'। অর্থাৎ তোমরা যদি মধ্যপন্থা রক্ষা করে আমল করতে থাক, তবে এই "ইবাদত-বন্দেগীতে নিরবচ্ছিন্ন থাকতে পারবে। ফলে আল্লাহ তা'আলার নৈকট্য ও সন্তুষ্টিলাভে সক্ষম হবে, যা কিনা মু'মিন বান্দার পরম লক্ষ্যবস্তু।

হাদীস থেকে শিক্ষণীয়ঃ

ক. দীন যেহেতু সহজ, তাই সহজভাবেই তার অনুসরণ বাঞ্ছনীয়। অহেতুক বাড়াবাড়ি করে কোনও আমলকে কঠিন করে তোলা উচিত নয়।

খ. নফল ইবাদত যতটুকু নিয়মিতভাবে চালিয়ে যাওয়া সম্ভব বলে মনে হবে ততটুকুই ধরা উচিত, তার বেশি নয়।

গ. ইবাদতে মধ্যপন্থা রক্ষায় সচেষ্ট থাকা উচিত। কোনও ক্ষেত্রে তা পুরোপুরি রক্ষা করতে না পারলেও সতর্ক থাকা উচিত যাতে বেশি দূরে সরে যাওয়া না হয়।

ঘ. ইবাদতকারীর মনে আশা রাখা উচিত যে, আল্লাহ নিজ মেহেরবানীতে তা কবুল করবেন এবং তার প্রতিশ্রুত ছাওয়াব ও প্রতিদানও নিজ রহমতে দান করবেন।

ঙ. হাদীছে বর্ণিত তিনটি সময়ের ব্যাপারে বিশেষ যত্ন নেওয়া উচিত, যাতে এ সময়ের করণীয় 'ইবাদত অবশ্যই আদায় করা হয় এবং কিছুতেই গাফলাতি না হয়ে যায়।
tahqiqতাহকীক:তাহকীক নিষ্প্রয়োজন