আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ

১- ঈমানের অধ্যায়

হাদীস নং:
আন্তর্জাতিক নং: ৪০
৩০. নামায ঈমানের অন্তর্ভুক্ত

আর আল্লাহর বাণীঃ (وَمَا كَانَ اللَّهُ لِيُضِيعَ إِيمَانَكُمْ) আল্লাহ এরূপ নন যে তোমাদের ঈমান ব্যর্থ করবেন- (সূরা আল-বাক্বারাঃ ১৪৩)। অর্থাৎ বায়তুল্লার নিকট (বায়তুল মুকাদ্দাসমুখী হয়ে) আদায় করা তোমাদের নামাযকে তিনি নষ্ট করবেন না।
৩৯। আমর ইবনে খালিদ (রাহঃ) ......... বারা ইবনে আযিব (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, রাসূল (ﷺ) মদীনায় হিজরত করে সর্বপ্রথম আনসারদের মধ্যে তাঁর নানাদের গোত্র [আবু ইসহাক (রাহঃ) বলেন] বা মামাদের গোত্রে এসে ওঠেন। তিনি ষোল-সতের মাস বায়তুল মুকাদ্দাসের দিকে নামায আদায় করেন। কিন্তু তাঁর পছন্দ ছিল যে, তাঁর কিবলা বায়তুল্লাহর দিকে হোক। আর তিনি (বায়তুল্লাহর দিকে) প্রথম যে নামায আদায় করেন, তা ছিল আসরের নামায এবং তাঁর সঙ্গে একদল লোক উক্ত নামায আদায় করেন। তাঁর সঙ্গে যাঁরা নামায আদায় করেছিলেন তাঁদের একজন লোক বের হয়ে এক মসজিদে মুসল্লীদের কাছ দিয়ে যাচ্ছিলেন, তাঁরা তখন রুকু’র অবস্থায় ছিলেন।
তখন তিনি বললেনঃ “আমি আল্লাহকে সাক্ষী রেখে বলছি যে, এইমাত্র আমি রাসূল (ﷺ) এর সঙ্গে মক্কার দিকে ফিরে নামায আদায় করে এসেছি। তখন তাঁরা যে অবস্থায় ছিলেন সে অবস্থায়ই বায়তুল্লাহর দিকে ঘুরে গেলেন। রাসূল (ﷺ) যখন বায়তুল মুকাদ্দাসের দিকে নামায আদায় করতেন তখন ইয়াহুদীদের ও আহলি কিতাবদের কাছে এটা খুব ভাল লাগত; কিন্তু তিনি যখন বায়তুল্লাহর দিকে (নামাযের জন্য) তাঁর মুখ ফিরালেন তখন তারা চরম অসন্তুষ্ট হল।

যুহাইর (রাহঃ) বলেন, আবু ইসহাক (রাহঃ) বারা (রাযিঃ) থেকে আমার কাছে যে হাদীস বর্ণনা করেছেন, তাতে এ কথাও রয়েছে যে, কিবলা পরিবর্তনের পূর্বে বেশ কিছু লোক ইন্‌তিকাল করেছিলেন এবং শহীদ হয়েছিলেন, তাঁদের ব্যাপারে আমরা কি বলব, বুঝতে পারছিলাম না, তখন আল্লাহ্ তাআলা নাযিল করেনঃ (وَمَا كَانَ اللَّهُ لِيُضِيعَ إِيمَانَكُمْ) “আল্লাহ্ তাআলা তোমাদের নামায-কে (যা বায়তুল মুকাদ্দাসের দিকে আদায় করা হয়েছিল) বিনষ্ট করবেন না।”
tahqiqতাহকীক:তাহকীক নিষ্প্রয়োজন