আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ
৫০- নবীজীর সাঃ যুদ্ধাভিযানসমূহ
হাদীস নং:
আন্তর্জাতিক নং: ৪২০৩
২২০২. খায়বারের যুদ্ধ
৩৮৮৯। আবুল ইয়ামান (রাহঃ) .... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমরা খায়বার যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলাম। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তখন তাঁর সঙ্গীদের মধ্য থেকে এক ব্যক্তি যে মুসলমান বলে দাবি করতো, তার সম্পর্কে বললেন, লোকটি জাহান্নামী। এরপর যুদ্ধ আরম্ভ হলে লোকটি ভীষণভাবে যুদ্ধ চালিয়ে গেল, এমনকি তার দেহের অনেক স্থান ক্ষত-বিক্ষত হয়ে গেল। এতে কারো কারো (রাসূলুল্লাহ (ﷺ)- এর ভবিষ্যতবাণীর উপর) সন্দেহের উপক্রম হল।
(কিন্তু তারপরেই দেখা গেল) লোকটি আঘাতের যন্ত্রণায় অসহ্য হয়ে তুণীরের ভিতর হাত ঢুকিয়ে দিয়ে সেখান থেকে তীর বের করে আনল। আর তীরটি নিজের বক্ষদেশে ঢুকিয়ে আত্মহত্যা করল। তা দেখে কতিপয় মুসলমান দ্রুত ছুটে এসে বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আল্লাহ আপনার কথা সত্য বলে প্রমাণিত করেছেন। ঐ লোকটি নিজেই নিজের বক্ষে আঘাত করে আত্মহত্যা করেছে। তখন তিনি বললেন, হে অমুক! দাঁড়াও, এবং ঘোষণা দাও যে, মু’মিন ব্যতীত কেউ জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না। অবশ্য আল্লাহ (কখনো কখনো) ফাসিক ব্যক্তি দ্বারাও দ্বীনের সাহায্য করে থাকেন।
মা‘মার (রাহঃ) যুহরী (রাহঃ) থেকে উক্ত হাদীস বর্ণনায় শুআয়ব (রাহঃ)- এর অনুসরণ করেছেন।
শাবীব (রাহঃ) .... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমরা নবী কারীম (ﷺ)- এর সাথে খায়বার যুদ্ধে অংশগ্রহণ করলাম ....। (আব্দুল্লাহ) ইবনে মুবারক হাদীসটি ইউনুস-যুহরী-সাঈদ [ইবনুল মুসাইয়্যাব (রাহঃ)] সূত্রে নবী কারীম (ﷺ) থেকে বর্ণনা করেছেন।
সালিহ (রাহঃ) যুহরী (রাহঃ) থেকে ইবনে মুবারক (রাযিঃ)-এর মতই বর্ণনা করেছেন। আর যুবায়দী (রাহঃ) হাদীসটি যুহরী, আব্দুর রহমান ইবনে কা‘ব, উবাইদুল্লাহ ইবনে কা‘ব (রাহঃ) নবী কারীম (ﷺ)- এর সাথে খায়বারে অংশগ্রহণকারী জনৈক সাহাবী থেকে বর্ণনা করেছেন। (যুবায়দী আরো বলেন) যুহরী (রাহঃ) এ হাদীসটিতে আব্দুল্লাহ ইবনে আব্দুল্লাহ এবং সাঈদ (ইবনুল মুসাইয়্যাব) (রাহঃ) সূত্রে নবী (ﷺ) থেকে বর্ণনা করেছেন।
(কিন্তু তারপরেই দেখা গেল) লোকটি আঘাতের যন্ত্রণায় অসহ্য হয়ে তুণীরের ভিতর হাত ঢুকিয়ে দিয়ে সেখান থেকে তীর বের করে আনল। আর তীরটি নিজের বক্ষদেশে ঢুকিয়ে আত্মহত্যা করল। তা দেখে কতিপয় মুসলমান দ্রুত ছুটে এসে বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আল্লাহ আপনার কথা সত্য বলে প্রমাণিত করেছেন। ঐ লোকটি নিজেই নিজের বক্ষে আঘাত করে আত্মহত্যা করেছে। তখন তিনি বললেন, হে অমুক! দাঁড়াও, এবং ঘোষণা দাও যে, মু’মিন ব্যতীত কেউ জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না। অবশ্য আল্লাহ (কখনো কখনো) ফাসিক ব্যক্তি দ্বারাও দ্বীনের সাহায্য করে থাকেন।
মা‘মার (রাহঃ) যুহরী (রাহঃ) থেকে উক্ত হাদীস বর্ণনায় শুআয়ব (রাহঃ)- এর অনুসরণ করেছেন।
শাবীব (রাহঃ) .... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমরা নবী কারীম (ﷺ)- এর সাথে খায়বার যুদ্ধে অংশগ্রহণ করলাম ....। (আব্দুল্লাহ) ইবনে মুবারক হাদীসটি ইউনুস-যুহরী-সাঈদ [ইবনুল মুসাইয়্যাব (রাহঃ)] সূত্রে নবী কারীম (ﷺ) থেকে বর্ণনা করেছেন।
সালিহ (রাহঃ) যুহরী (রাহঃ) থেকে ইবনে মুবারক (রাযিঃ)-এর মতই বর্ণনা করেছেন। আর যুবায়দী (রাহঃ) হাদীসটি যুহরী, আব্দুর রহমান ইবনে কা‘ব, উবাইদুল্লাহ ইবনে কা‘ব (রাহঃ) নবী কারীম (ﷺ)- এর সাথে খায়বারে অংশগ্রহণকারী জনৈক সাহাবী থেকে বর্ণনা করেছেন। (যুবায়দী আরো বলেন) যুহরী (রাহঃ) এ হাদীসটিতে আব্দুল্লাহ ইবনে আব্দুল্লাহ এবং সাঈদ (ইবনুল মুসাইয়্যাব) (রাহঃ) সূত্রে নবী (ﷺ) থেকে বর্ণনা করেছেন।
