মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)
২০- জিহাদের বিধানাবলী অধ্যায়
হাদীস নং: ৩৮০০
প্রথম অনুচ্ছেদ
৩৮০০। হযরত আবু সায়ীদ (রাঃ) হইতে বর্ণিত, একদা রাসূলুল্লাহ্ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হোযায়ল গোত্রের একটি শাখা- গোত্র বনী লেহ্ইয়ানের অভিযানে একদল সৈন্য পাঠাইবার সিদ্ধান্ত নিলেন। এই সময় তিনি ঘোষণা করিলেন, প্রত্যেক গোত্রের প্রতি দুইজনের মধ্য হইতে অবশ্যই একজন অভিযানে যাইতে হইবে। (অর্থাৎ, প্রত্যেক গোত্রের অর্ধেক লোক সেনাদলে যোগদান করিবে।) কিন্তু ইহার সওয়াব প্রত্যেকেই সমানভাবে লাভ করিবে।—মুসলিম
وَعَنْ أَبِي سَعِيدٍ: أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَعَثَ بَعْثًا إِلَى بَنِي لِحْيَانَ مِنْ هُذَيْلٍ فَقَالَ: «لينبعثْ مِنْ كلِّ رجلينِ أحدُهما والأجرُ بَينهمَا» . رَوَاهُ مُسلم
হাদীসের ব্যাখ্যা:
১. অর্থাৎ, শত্রুর মোকাবেলায় রণাঙ্গনে উপস্থিত হওয়া এবং তাহাদের পিছনে বাড়ীঘরে থাকিয়া তাহাদের মদদ ও সাহায্য করা এবং তাহাদের পরিবার-পরিজনের তত্ত্বাবধান ইত্যাদি করাও যুদ্ধে শামিল হওয়ার মধ্যে গণ্য। তাই উভয়ের সওয়াব সমান।
২. এ হাদীছে প্রতি দু'জন থেকে একজনকে জিহাদে যেতে এবং অন্যজনকে বাড়িতে থেকে যেতে বলা হয়েছে। এ দু'জন এক পরিবারেরও হতে পারে, দু' পরিবারেরও হতে পারে। কিংবা এমনও হতে পারে যে, পাশাপাশি কয়েক পরিবারে সক্ষম পুরুষ হয়তো দু'জনই আছে। সে ক্ষেত্রে জিহাদের ডাক আসলে একজন জিহাদে চলে যাবে, অন্যজন বাড়িতে থেকে সকলের তত্ত্বাবধান করবে। এর দ্বারা বোঝা যাচ্ছে সকল সক্ষম পুরুষের একসঙ্গে জিহাদে বা অন্য কোনও সফরে চলে যাওয়া উচিত নয়। নারী ও শিশুদের দেখাশোনার জন্য কারও না কারও অবশ্যই থেকে যাওয়া উচিত। পরিবারবর্গের খোঁজখবর রাখাও দীনী দায়িত্ব। এ ব্যাপারে অবহেলার কোনও সুযোগ নেই।
এ হাদীছে যে বলা হয়েছে ছাওয়াবে উভয়ে অংশীদার হবে, তার মানে এ নয় যে, যে ব্যক্তি জিহাদে যাবে তার ছাওয়াব অর্ধার্ধি ভাগ করে তাদের দু'জনকে দেওয়া হবে। বরং পূর্ণ ছাওয়াবই দু'জনকেই দেওয়া হবে।
হাদীস থেকে শিক্ষণীয়ঃ
ক. কেউ জিহাদে বা অন্য কোনও দীনী জরুরতে সফরে গেলে তার মহল্লায় এমন কোনও পুরুষ থাকা উচিত, যে তার অনুপস্থিতিতে তার পরিবারের দেখাশোনা করবে। গোটা মহল্লা পুরুষশূন্য হয়ে যাওয়া সমীচীন নয় ।
খ. মুমিন ব্যক্তির সর্বদা ছাওয়াব অর্জনের আকাঙ্ক্ষা থাকা উচিত। কাজেই সক্রিয়ভাবে কোনও দীনী কাজে অংশগ্রহণ করতে না পারলে এমন কোনও উপায় অবলম্বন করা উচিত, যাতে কোনও না কোনওভাবে সে কাজের সাথে তার সম্পর্ক স্থাপিত হয়ে যায়।
২. এ হাদীছে প্রতি দু'জন থেকে একজনকে জিহাদে যেতে এবং অন্যজনকে বাড়িতে থেকে যেতে বলা হয়েছে। এ দু'জন এক পরিবারেরও হতে পারে, দু' পরিবারেরও হতে পারে। কিংবা এমনও হতে পারে যে, পাশাপাশি কয়েক পরিবারে সক্ষম পুরুষ হয়তো দু'জনই আছে। সে ক্ষেত্রে জিহাদের ডাক আসলে একজন জিহাদে চলে যাবে, অন্যজন বাড়িতে থেকে সকলের তত্ত্বাবধান করবে। এর দ্বারা বোঝা যাচ্ছে সকল সক্ষম পুরুষের একসঙ্গে জিহাদে বা অন্য কোনও সফরে চলে যাওয়া উচিত নয়। নারী ও শিশুদের দেখাশোনার জন্য কারও না কারও অবশ্যই থেকে যাওয়া উচিত। পরিবারবর্গের খোঁজখবর রাখাও দীনী দায়িত্ব। এ ব্যাপারে অবহেলার কোনও সুযোগ নেই।
এ হাদীছে যে বলা হয়েছে ছাওয়াবে উভয়ে অংশীদার হবে, তার মানে এ নয় যে, যে ব্যক্তি জিহাদে যাবে তার ছাওয়াব অর্ধার্ধি ভাগ করে তাদের দু'জনকে দেওয়া হবে। বরং পূর্ণ ছাওয়াবই দু'জনকেই দেওয়া হবে।
হাদীস থেকে শিক্ষণীয়ঃ
ক. কেউ জিহাদে বা অন্য কোনও দীনী জরুরতে সফরে গেলে তার মহল্লায় এমন কোনও পুরুষ থাকা উচিত, যে তার অনুপস্থিতিতে তার পরিবারের দেখাশোনা করবে। গোটা মহল্লা পুরুষশূন্য হয়ে যাওয়া সমীচীন নয় ।
খ. মুমিন ব্যক্তির সর্বদা ছাওয়াব অর্জনের আকাঙ্ক্ষা থাকা উচিত। কাজেই সক্রিয়ভাবে কোনও দীনী কাজে অংশগ্রহণ করতে না পারলে এমন কোনও উপায় অবলম্বন করা উচিত, যাতে কোনও না কোনওভাবে সে কাজের সাথে তার সম্পর্ক স্থাপিত হয়ে যায়।
২. ব্যাখ্যা সূত্রঃ_ রিয়াযুস সালিহীন (অনুবাদ- মাওলানা আবুল বাশার মুহাম্মাদ সাইফুল ইসলাম হাফি.)
