মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)

১৯- রাষ্ট্রনীতি ও আদালত-বিচার অধ্যায়

হাদীস নং: ৩৭৬৬
- রাষ্ট্রনীতি ও আদালত-বিচার অধ্যায়
৪. প্রথম অনুচ্ছেদ - বিচারকার্য এবং সাক্ষ্যদান
৩৭৬৬। হযরত যায়দ ইবনে খালেদ (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেন: আমি কি তোমাদিগকে অবহিত করিব না যে, সকলের চেয়ে উত্তম সাক্ষ্য দানকারী কাহারা? সেই ব্যক্তিই উত্তম সাক্ষ্যদানকারী, যে চাহিবার আগে সাক্ষ্য দান করে। —মুসলিম
كتاب الإمارة والقضاء
وَعَنْ زَيْدِ بْنِ خَالِدٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «أَلَا أُخْبِرُكُمْ بِخَيْرِ الشُّهَدَاءِ؟ الَّذِي يَأْتِي بشهادتِه قبلَ أنْ يسْأَلهَا» . رَوَاهُ مُسلم

হাদীসের ব্যাখ্যা:

হানাফী ইমামদের মতে চাওয়ার পূর্বে সাক্ষ্য দান করা ওয়াজিব নহে। অবশ্য চাওয়ার পর সাক্ষ্য দান করা ওয়াজিব এবং শরয়ী হদ ও দণ্ড ব্যাপারে উহা গোপন করাই উত্তম। অন্য আরেক হাদীসে চাওয়ার আগে সাক্ষ্য দান করাকে কঠোরভাবে মন্দ কাজ বলা হইয়াছে। সুতরাং বর্ণিত হাদীসের ব্যাখ্যা দুই প্রকারে হইতে পারে। (ক) যেমন কোন ব্যক্তির সাক্ষীর প্রয়োজন অথচ অন্য এক ব্যক্তি ঘটনাটি সম্পর্কে পূর্ণ ওয়াকিফহাল আছে; কিন্তু বাদী ব্যক্তি এই লোকটি সম্পর্কে জ্ঞাত নহে। এমন ব্যাপারে না চাইতে সাক্ষ্য দেওয়া উত্তম। (খ) হক্কুল্লাহর ব্যাপারে প্রশাসক বা হাকিমের নিকট চাওয়ার আগে সাক্ষ্য দান করা, যেমন— যাকাত, কাফ্ফারা, চাঁদ দেখা ইত্যাদি। আর যেই হাদীসে ইহাকে মন্দ বলা হইয়াছে, তাহা মিথ্যা সাক্ষ্য দান করার প্রতি ইংগিত করা হইয়াছে, অথবা যে ব্যক্তি সাক্ষ্য দানের অনুপযোগী তেমন লোকের কথা বলা হইয়াছে।
tahqiqতাহকীক:তাহকীক চলমান