আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ
৫০- নবীজীর সাঃ যুদ্ধাভিযানসমূহ
হাদীস নং: ৩৮৬৭
আন্তর্জাতিক নং: ৪১৭৭
- নবীজীর সাঃ যুদ্ধাভিযানসমূহ
২১৯৯. হুদায়বিয়ার যুদ্ধ।
৩৮৬৭। আব্দুল্লাহ ইবনে ইউসুফ (রাহঃ) .... আসলাম (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাঁর কোন এক সফরে রাত্রিকালে চলছিলেন। এ সফরে উমর (রাযিঃ)ও তাঁর সাথে চলছিলেন। এক সময় উমর ইবনে খাত্তাব (রাযিঃ) তাঁকে কোন এক বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে তিনি কোন উত্তর করলেন না। তিনি আবার জিজ্ঞাসা করলেন, তবুও তিনি তাঁকে কোন জবাব দিলেন না। এরপর আবার তিনি তাঁকে জিজ্ঞাসা করলেন, এবারও তার কোন উত্তর দিলেন না। তখন উমর ইবনে খাত্তাব (রাযিঃ) নিজেকে লক্ষ করে মনে মনে বললেন, হে উমর! তোমাকে তোমার মা হারিয়ে ফেলুক। তুমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)- কে তিনবার পিড়াপীড়ি করলে। কিন্তু কোনবারই তিনি তোমাকে উত্তর দেননি।
উমর (রাযিঃ) বললেন, এরপর আমি আমার উটকে তাড়া দিয়ে মুসলমানদের সামনে চলে যাই। কারণ আমি আশঙ্কা করছিলাম যে, হয়ত আমার সম্পর্কে কুরআন শরীফের কোন আয়াত অবতীর্ণ হতে পারে। এ কথা বলে আমি বেশী দেরি করিনি এমতাবস্থায় শুনতে পেলাম এক ব্যক্তি চিৎকার করে আমাকে ডাকতে শুরু করলেন। উমর (রাযিঃ) বলেন, আমি বললাম, আমার সম্পর্কে হয়তো কুরআন নাযিল হয়েছে। এ মনে করে আমি ভীত হয়ে পড়লাম। এরপর আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)- এর নিকট এসে তাঁকে সালাম দিলাম। তখন তিনি বললেন, আজ রাতে আমার প্রতি এমন একটি সূরা নাযিল হয়েছে যা আমার কাছে সূর্য উদিত পৃথিবী থেকেও অধিক প্রিয়। তারপর তিনি إِنَّا فَتَحْنَا لَكَ فَتْحًا مُبِينًا তিলাওয়াত করলেন।
উমর (রাযিঃ) বললেন, এরপর আমি আমার উটকে তাড়া দিয়ে মুসলমানদের সামনে চলে যাই। কারণ আমি আশঙ্কা করছিলাম যে, হয়ত আমার সম্পর্কে কুরআন শরীফের কোন আয়াত অবতীর্ণ হতে পারে। এ কথা বলে আমি বেশী দেরি করিনি এমতাবস্থায় শুনতে পেলাম এক ব্যক্তি চিৎকার করে আমাকে ডাকতে শুরু করলেন। উমর (রাযিঃ) বলেন, আমি বললাম, আমার সম্পর্কে হয়তো কুরআন নাযিল হয়েছে। এ মনে করে আমি ভীত হয়ে পড়লাম। এরপর আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)- এর নিকট এসে তাঁকে সালাম দিলাম। তখন তিনি বললেন, আজ রাতে আমার প্রতি এমন একটি সূরা নাযিল হয়েছে যা আমার কাছে সূর্য উদিত পৃথিবী থেকেও অধিক প্রিয়। তারপর তিনি إِنَّا فَتَحْنَا لَكَ فَتْحًا مُبِينًا তিলাওয়াত করলেন।
كتاب المغازى
باب غَزْوَةِ الْحُدَيْبِيَةِ
4177 - حَدَّثَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ يُوسُفَ، أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، عَنْ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ يَسِيرُ فِي بَعْضِ أَسْفَارِهِ، وَعُمَرُ بْنُ الخَطَّابِ يَسِيرُ مَعَهُ لَيْلًا، فَسَأَلَهُ عُمَرُ بْنُ الخَطَّابِ عَنْ شَيْءٍ فَلَمْ يُجِبْهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، ثُمَّ سَأَلَهُ فَلَمْ يُجِبْهُ، ثُمَّ سَأَلَهُ فَلَمْ يُجِبْهُ، وَقَالَ عُمَرُ بْنُ الخَطَّابِ: ثَكِلَتْكَ أُمُّكَ يَا عُمَرُ، نَزَرْتَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ثَلاَثَ مَرَّاتٍ كُلُّ ذَلِكَ لاَ يُجِيبُكَ، قَالَ عُمَرُ: فَحَرَّكْتُ بَعِيرِي ثُمَّ تَقَدَّمْتُ أَمَامَ المُسْلِمِينَ، وَخَشِيتُ أَنْ يَنْزِلَ فِيَّ قُرْآنٌ، فَمَا نَشِبْتُ أَنْ سَمِعْتُ صَارِخًا يَصْرُخُ بِي، قَالَ: فَقُلْتُ: لَقَدْ خَشِيتُ أَنْ يَكُونَ نَزَلَ فِيَّ قُرْآنٌ، وَجِئْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَسَلَّمْتُ عَلَيْهِ، فَقَالَ: «لَقَدْ أُنْزِلَتْ عَلَيَّ اللَّيْلَةَ سُورَةٌ، لَهِيَ أَحَبُّ إِلَيَّ مِمَّا طَلَعَتْ عَلَيْهِ الشَّمْسُ» ثُمَّ قَرَأَ: {إِنَّا فَتَحْنَا لَكَ فَتْحًا مُبِينًا} [الفتح: 1]
