মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)

১৮- শরীআতের দন্ড বিধি অধ্যায়

হাদীস নং: ৩৬৩৮
৬. প্রথম অনুচ্ছেদ - মদের বর্ণনা ও মধ্যপায়ীকে ভীতিপ্রদর্শন করা
৩৬৩৮। হযরত ইবনে ওমর (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেন: প্রত্যেক নেশা সৃষ্টিকারী জিনিসই মদ এবং প্রত্যেক নেশা সৃষ্টিকারী জিনিসই হারাম। আর যে ব্যক্তি দুনিয়াতে বরাবরই মদ পান করিয়াছে এবং উহা হইতে তওবা না করিয়াই মৃত্যুবরণ করিয়াছে, সে পরকালে উহা পান করিতে পারিবে না। —মুসলিম
وَعَنِ ابْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «كُلُّ مُسْكِرٍ خَمْرٌ وَكُلُّ مُسْكِرٍ حَرَامٌ وَمَنْ شَرِبَ الْخَمْرَ فِي الدُّنْيَا فَمَاتَ وَهُوَ يُدْمِنُهَا لَمْ يَتُبْ لَمْ يَشْرَبْهَا فِي الْآخِرَةِ» . رَوَاهُ مُسلم

হাদীসের ব্যাখ্যা:

এই হাদীস হইতে সুস্পষ্টভাবে বুঝা যায় যে, মদ বা নেশা সৃষ্টিকারী সব জিনিসই হারাম, চাই উহার যে কোন নামই হউক না কেন ? আর মদের সামান্য পরিমাণও হারাম, যদিও উহাতে নেশা সৃষ্টি না-ই হয়। পূর্বের হাদীসে বলা হইয়াছে, যেই সময় মদ হারাম হওয়ার বিধান নাযিল হইয়াছে, তখন মদীনায় আঙ্গুরের মদ দুষ্প্রাপ্য ছিল। এই প্রসঙ্গে ইমামদের ঐকমত্য যে, أن عصير العنب إذا اشتد وعلى وقذف بالزبد فهو خمر وأن مستحله كافر অর্থঃ আঙ্গুরের রস যদি ঘন হইয়া ফেনাযুক্ত অবস্থায় পৌঁছে, তখন উহা মদ বলিয়া গণ্য হইবে। আর যে ব্যক্তি উহাকে পান করা হালাল মনে করিবে, সে কাফের হইয়া যাইবে। আমরা পূর্বেই বলিয়াছি, মদ হারাম হওয়া শুধুমাত্র আঙ্গুরের রসের উপর সীমাবদ্ধ নহে; বরং যে কোন জিনিস নেশা সৃষ্টি করে উহাই মদ এবং উহাই হারাম। 'সে পরকালে মদ পান করিবে না' মানে হইল, সে জান্নাতে প্রবেশ করিবে না।
tahqiqতাহকীক:তাহকীক চলমান
মিশকাতুল মাসাবীহ - হাদীস নং ৩৬৩৮ | মুসলিম বাংলা