মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)
১৮- শরীআতের দন্ড বিধি অধ্যায়
হাদীস নং: ৩৬৩৩
৫. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - সাবধানতা অবলম্বনে শাস্তি প্রদান
৩৬৩৩। হযরত ওমর (রাঃ) হইতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ যদি তোমরা কোন লোককে আল্লাহর পথে খেয়ানত করিতে (অর্থাৎ, গনীমতের মাল আত্মসাৎ করিতে) পাও, তবে তাহার সমুদয় মাল পোড়াইয়া ফেল এবং তাহাকে প্রহার কর। — তিরমিযী ও আবু দাউদ। আর তিরমিযী বলিয়াছেন, এই হাদীসটি গরীব।
এ অধ্যায়ে তৃতীয় অনুচ্ছেদ নেই।
এ অধ্যায়ে তৃতীয় অনুচ্ছেদ নেই।
وَعَنْ عُمَرَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «إِذَا وَجَدْتُمُ الرَّجُلَ قَدْ غَلَّ فِي سَبِيلِ اللَّهِ فَاحْرُقُوا مَتَاعَهُ وَاضْرِبُوهُ» . رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ وَأَبُو دَاوُدَ وَقَالَ التِّرْمِذِيُّ: هَذَا حَدِيث غَرِيب
هَذَا الْبَاب خَال من الْفَصْل الثَّالِث
هَذَا الْبَاب خَال من الْفَصْل الثَّالِث
হাদীসের ব্যাখ্যা:
غل ‘গাল্লুন' অর্থ গনীমতের মাল চুরি করা। তবে সর্বপ্রকারের হারাম পথে উপার্জিত মালকেও ‘গাল্লুন' বা 'গুলুল' বলা হয়। ইসলামের প্রথম যুগে মদীনায় এই জাতীয় মালকে পোড়াইয়া দেওয়ার শাস্তি ছিল, পরে এই বিধান রহিত হইয়া গিয়াছে। ইমাম খাত্তাবী বলেন, আত্মসাৎকারীকে দৈহিক শাস্তি দেওয়ার মধ্যে কাহারও মতভেদ নাই। তবে, মাল-সম্পদ জ্বালানোর ব্যাপারে হাসান বস্ত্রী বলেন, কোন জানোয়ার বা কোরআন ব্যতীত অন্য মাল জ্বালাইয়া দেওয়া হইবে। তবে ওলামাদের এক জামাআত বলেন, আত্মসাৎকৃত মাল পোড়ান যাইবে না; বরং উহা মুজাহিদদেরে ফেরত দিতে হইবে। ইমাম শাফেয়ী বলেন, দৈহিক সাজা দেওয়া হইবে, মাল পোড়ান যাইবে না।
