মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)
১৮- শরীআতের দন্ড বিধি অধ্যায়
হাদীস নং: ৩৫৭০
- শরীআতের দন্ড বিধি অধ্যায়
দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ
৩৫৭০। হযরত আয়েশা (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ যথাসাধ্য মুসলমানদের উপর হইতে হদ মউকুফ রাখ, যদি সামান্য পরিমাণও তাহার জন্য অব্যাহতির উপায় বাহির হয়, তবে তাহাকে ছাড়িয়া দাও। কেননা, শাসকের পক্ষে ক্ষমা প্রদর্শনের ব্যাপারে ভুল করা, শাস্তি দেওয়ার ব্যাপারে ভুল করা হইতে অধিক উত্তম। —তিরমিযী, অনেকের মতে এই হাদীসটি হযরত আয়েশা (রাঃ) পর্যন্ত মউকুফ। আর ইহাই সহীহ্
كتاب الحدود
وَعَنْهَا قَالَتْ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسلم: «ادرؤا الْحُدُودَ عَنِ الْمُسْلِمِينَ مَا اسْتَطَعْتُمْ فَإِنْ كَانَ لَهُ مَخْرَجٌ فَخَلُّوا سَبِيلَهُ فَإِنَّ الْإِمَامَ أَنْ يُخْطِئَ فِي الْعَفْوِ خَيْرٌ مِنْ أَنْ يُخْطِئَ فِي الْعُقُوبَةِ» . رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ وَقَالَ: قَدْ رُوِيَ عَنْهَا وَلم يرفع وَهُوَ أصح
হাদীসের ব্যাখ্যা:
মূলতঃ দুনিয়াতে শাস্তি দেওয়াটা কেবলমাত্র আইন-শৃঙ্খলা ও শাস্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে হইয়া থাকে। অন্যথায় শাস্তি দেওয়ার জন্য আল্লাহ্ই যথেষ্ট। সুতরাং সন্দেহের অবকাশ থাকিলে শাস্তি প্রয়োগ এড়াইয়া যাওয়া বিচারকের কর্তব্য। এই জন্যই নবী (ﷺ) নিজেও মায়েয (রাঃ)-এর ঘটনায় বলিয়াছেন, তুমি কি পাগল? তুমি কি মদ পান করিয়াছ ইত্যাদি এবং অন্য হাদীসে জনসাধারণকে উদ্দেশ্য করিয়া বলিয়াছেন যে, হদের ব্যাপার বিচারকের নিকট উত্থাপনের পূর্বেই নিজেদের মধ্যে আপোষরফার চেষ্টা কর।