মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)

১৮- শরীআতের দন্ড বিধি অধ্যায়

হাদীস নং: ৩৫৬৮
- শরীআতের দন্ড বিধি অধ্যায়
দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ
৩৫৬৮। হযরত আমর ইবনে শোআয়ব তাঁহার পিতার মাধ্যমে তাঁহার দাদা আব্দুল্লাহ্ ইবনে আমর ইবনুল আস (রাঃ) হইতে বর্ণনা করেন যে, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ আমার কাছে পৌঁছিবার আগে তোমাদের সংঘটিত হৃদযোগ্য অপরাধ নিজেদের মধ্যে রফা দফা করিয়া ফেল। কেননা, যেই হদের ব্যাপার আমার কাছে পৌঁছিবে, উহা (সেই হদ্ কায়েম করা) ওয়াজিব হইয়া যাইবে। — আবু দাউদ ও নাসায়ী
كتاب الحدود
وَعَنْ عَمْرِو بْنِ شُعَيْبٍ عَنْ أَبِيهِ عَنْ جَدِّهِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو بْنِ الْعَاصِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «تَعَافَوُا الْحُدُودَ فِيمَا بَيْنَكُمْ فَمَا بَلَغَنِي مِنْ حَدٍّ فَقَدْ وَجَبَ» . رَوَاهُ أَبُو دَاوُد وَالنَّسَائِيّ

হাদীসের ব্যাখ্যা:

ইমাম বা শাসকের দায়িত্ব হইল, সমাজ হইতে অপরাধ, গুনাহ্ ইত্যাদি দূর করা। সামাজিক ও নাগরিক জীবনে সংঘটিত এমন অপরাধের প্রতিকার না করিলে একদিকে যেমন আল্লাহর হুকুমের অবমাননা হয়, অপর দিকে সামাজিক জীবনে অশান্তি ও রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থায় বিঘ্ন সৃষ্টি হয়। তাই বিচারকের কাছে অভিযোগ পৌঁছিলে উহার প্রতিকার হওয়া অপরিহার্য, তাঁহার জন্য উহা ক্ষমা করা জায়েয নহে।
tahqiqতাহকীক:তাহকীক চলমান