মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)

১৬- শপথ ও মান্নতের অধ্যায়

হাদীস নং: ৩৪২৬
১. প্রথম অনুচ্ছেদ - মান্নত
৩৪২৬। হযরত আবু হুরায়রা ও ইবনে ওমর (রাঃ) বলেন, রাসুলুল্লাহ্ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেন তোমরা মান্নত করিও না। কেননা, মান্নত তকদীরের কিছুই পরিবর্তন করিতে পারে না। অবশ্য ইহার দ্বারা কৃপণের কিছু ব্যয় হয় মাত্র। -মোত্তাঃ
بَابٌ فِى النُّذُوْرِ: الْفَصْل الأول
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ وَابْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمْ قَالَا: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَا تَنْذُرُوا فَإِنَّ النَّذْرَ لَا يُغْنِي مِنَ الْقَدَرِ شَيْئًا وَإِنَّمَا يُسْتَخْرَجُ بِهِ من الْبَخِيل»

হাদীসের ব্যাখ্যা:

মান্নত করা

নযর শব্দের অর্থ—মান্নত করা। ইমাম রাগেব বলেন, 'নযর'-এর অর্থ হইল, বিশেষ কোন সমস্যা দেখা দিলে তখন মানুষ এমন কোন বস্তু বা কাজকে নিজের উপর ওয়াজিব বা অনিবার্য করিয়া লয়, যাহা তাহার উপর আদৌ ওয়াজিব ছিল না। এই জন্য নবী (ﷺ) বলিয়াছেন, নযর বা মান্নত তদীরকে পাল্টাইতে পারে না। কাজেই মান্নত না করাই উত্তম। তবে মান্নত করিয়া বসিলে তখন উহা পূরণ করা ওয়াজিব হইয়া দাড়ায়।


মান্নতের দ্বারা তকদীর পরিবর্তিত হয়, এই বিশ্বাসে মান্নত করা নিষেধ। তাছাড়া সাধারণতঃ মানুষের অভ্যাস হইল, ক্ষতি হইতে আত্মরক্ষা ও লোভ-লালসাকৃত বস্তু হাসিল করিবার উদ্দেশ্যেই মান্নত করিয়া থাকে, যাহা হইল কার্পণ্য স্বভাবের পরিচায়ক। তাই এই ধরনের উদ্দেশ্যে মান্নত করিতে নিষেধ করা হইয়াছে। সুতরাং উক্ত আকীদা এবং কার্পণ্য মনোভাব হইতে মুক্ত থাকিয়া যদি কেহ সদকার খালেছ নিয়তে মান্নত করে, তবে উহা জায়েয রহিয়াছে।
tahqiqতাহকীক:তাহকীক চলমান
মিশকাতুল মাসাবীহ - হাদীস নং ৩৪২৬ | মুসলিম বাংলা