আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ
৫০- নবীজীর সাঃ যুদ্ধাভিযানসমূহ
হাদীস নং: ৩৮৩৭
আন্তর্জাতিক নং: ৪১৪৩
২১৯৮. ইফকের ঘটনা [ইমাম বুখারী (রাহঃ) বলেন] إِفْك শব্দটি نِجْس ও نَجَس এর মত إِفْك ও أَفك উভয়ভাবেই ব্যবহৃত হয়। তাই আরবীয় লোকেরা বলেন, أَفْكُهُمْ - إِفْكُهُمْ ও أَفْكَهُمْ
৩৮৩৭। মুসা ইবনে ইসমাঈল (রাহঃ) .... আয়েশা (রাযিঃ)- এর মা উম্মে রুমান (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি ও আয়েশা (রাযিঃ) বসা ছিলাম। এমতাবস্থায় একজন আনসারী মহিলা প্রবেশ করে বলতে লাগল আল্লাহ অমুক অমুককে ধ্বংস করুন। এ কথা শুনে উম্মে রুমান (রাযিঃ) বললেন, তুমি কি বলছ? সে বলল, যারা অপবাদ রটিয়েছে তাদের মধ্যে আমার ছেলেও আছে। উম্মে রুমান (রাযিঃ) পুনরায় জিজ্ঞাসা করলেন, কি অপবাদ রটিয়েছে? সে বলল এই অপবাদ রটিয়েছে। আয়িশা (রাযিঃ) বললেন। (এ কথা কি) রাসূলুল্লাহ (ﷺ) শুনেছেন? সে বলল, হ্যাঁ। আয়েশা (রাযিঃ) বললেন, আবু বকরও শুনেছেন? সে বল, হ্যাঁ। এ কথা শুনে আয়েশা (রাযিঃ) বেহুশ হয়ে পড়ে গেলেন। হুঁশ ফিরে আসার পর তাঁর কাঁপুনি দিয়ে জ্বর আসল। এরপর আমি একটি চাঁদর দিয়ে তাঁকে ঢেকে দিলাম। এরপর নবী কারীম (ﷺ) এসে জিজ্ঞাসা করলেন, তাঁর কি অবস্থা? আমি বললাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ! তাঁর কাঁপুনি দিয়ে জ্বর এসেছে।
রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, হয়তো সে অপবাদের ঘটনার কারণে। তিনি বললেন, হ্যাঁ। এ সময় আয়েশা (রাযিঃ) উঠে বসলেন এবং বললেন, আল্লাহর কসম! (আমার পবিত্রতার ব্যাপারে) আমি যদি কসম করি, তাহলেও আপানারা আমাকে বিশ্বাস করবেন না, আর যদি আমি ওযর পেশ করি তবুও আমার ওযর আপনারা কবুল করবেন না, আমার এবং আপনাদের উদাহরণ নবী ইয়াকুব (আলাইহিস সালাম) এবং তাঁর ছেলেদের উদাহরণের মতই। তিনি বলেছিলেন, “তোমরা যা বলেছ সে বিষয়ে আল্লাহই একমাত্র আমার সাহায্যস্থল।” উম্মে রুমান (রাযিঃ) বলেন, তখন নবী কারীম (ﷺ) আমাকে কিছু না বলেই চলে গেলেন। এরপর আল্লাহ তাআলা তাঁর [আয়েশা (রাযিঃ)] পবিত্রতা বর্ণনা করে আয়াত নাযিল করলেন। আয়েশা (রাযিঃ) বললেন, একমাত্র আল্লাহরই প্রশংসা করি আর কারো না, আপনারও না।
রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, হয়তো সে অপবাদের ঘটনার কারণে। তিনি বললেন, হ্যাঁ। এ সময় আয়েশা (রাযিঃ) উঠে বসলেন এবং বললেন, আল্লাহর কসম! (আমার পবিত্রতার ব্যাপারে) আমি যদি কসম করি, তাহলেও আপানারা আমাকে বিশ্বাস করবেন না, আর যদি আমি ওযর পেশ করি তবুও আমার ওযর আপনারা কবুল করবেন না, আমার এবং আপনাদের উদাহরণ নবী ইয়াকুব (আলাইহিস সালাম) এবং তাঁর ছেলেদের উদাহরণের মতই। তিনি বলেছিলেন, “তোমরা যা বলেছ সে বিষয়ে আল্লাহই একমাত্র আমার সাহায্যস্থল।” উম্মে রুমান (রাযিঃ) বলেন, তখন নবী কারীম (ﷺ) আমাকে কিছু না বলেই চলে গেলেন। এরপর আল্লাহ তাআলা তাঁর [আয়েশা (রাযিঃ)] পবিত্রতা বর্ণনা করে আয়াত নাযিল করলেন। আয়েশা (রাযিঃ) বললেন, একমাত্র আল্লাহরই প্রশংসা করি আর কারো না, আপনারও না।
باب حَدِيثُ الإِفْكِ الإِفْك وَالأَفَكِ، بِمَنْزِلَةِ النِّجْسِ وَالنَّجَسِ، يُقَالُ: إِفْكُهُمْ، وَأَفْكُهُمْ، وَأَفْكَهُمْ،
4143 - حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ، عَنْ حُصَيْنٍ، عَنْ أَبِي وَائِلٍ، قَالَ: حَدَّثَنِي مَسْرُوقُ بْنُ الأَجْدَعِ، قَالَ: حَدَّثَتْنِي أُمُّ رُومَانَ، وَهِيَ أُمُّ عَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا قَالَتْ بَيْنَا أَنَا قَاعِدَةٌ أَنَا وَعَائِشَةُ، إِذْ وَلَجَتْ امْرَأَةٌ [ص:121] مِنَ الأَنْصَارِ فَقَالَتْ: فَعَلَ اللَّهُ بِفُلاَنٍ وَفَعَلَ، فَقَالَتْ أُمُّ رُومَانَ: وَمَا ذَاكَ؟ قَالَتْ: ابْنِي فِيمَنْ حَدَّثَ الحَدِيثَ، قَالَتْ: وَمَا ذَاكَ؟ قَالَتْ: كَذَا وَكَذَا، قَالَتْ عَائِشَةُ: سَمِعَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ؟ قَالَتْ: نَعَمْ، قَالَتْ: وَأَبُو بَكْرٍ؟ قَالَتْ: نَعَمْ: فَخَرَّتْ مَغْشِيًّا عَلَيْهَا، فَمَا أَفَاقَتْ إِلَّا وَعَلَيْهَا حُمَّى بِنَافِضٍ، فَطَرَحْتُ عَلَيْهَا ثِيَابَهَا فَغَطَّيْتُهَا، فَجَاءَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: «مَا شَأْنُ هَذِهِ؟» . قُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ أَخَذَتْهَا الحُمَّى بِنَافِضٍ، قَالَ: «فَلَعَلَّ فِي حَدِيثٍ تُحُدِّثَ بِهِ» ، قَالَتْ: نَعَمْ، فَقَعَدَتْ عَائِشَةُ فَقَالَتْ: وَاللَّهِ لَئِنْ حَلَفْتُ لاَ تُصَدِّقُونِي، وَلَئِنْ قُلْتُ لاَ تَعْذِرُونِي، مَثَلِي وَمَثَلُكُمْ كَيَعْقُوبَ وَبَنِيهِ: {وَاللَّهُ المُسْتَعَانُ عَلَى مَا تَصِفُونَ} [يوسف: 18] قَالَتْ: وَانْصَرَفَ وَلَمْ يَقُلْ شَيْئًا، فَأَنْزَلَ اللَّهُ عُذْرَهَا، قَالَتْ: بِحَمْدِ اللَّهِ لاَ بِحَمْدِ أَحَدٍ وَلاَ بِحَمْدِكَ
