মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)

১৪- বিবাহ-শাদী সম্পর্কিত অধ্যায়

হাদীস নং: ৩১৬৭
৪. প্রথম অনুচ্ছেদ - যে নারীদেরকে বিয়ে করা হারাম
৩১৬৭। বিবি আয়েশা (রাঃ) বলেন, কোরআনে যাহা নাযিল হইয়াছিল তাহা ছিল, নিশ্চিত জানা দশবার খাওয়া হারাম করে--অতঃপর নিশ্চিত জানা পাঁচবারের দ্বারা উহা মনসুখ (রহিত) হইয়া যায়। তারপর রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এন্তেকাল করেন, অথচ উহা কোরআনে পড়া হইত। মুসলিম
وَعَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ: كَانَ فِيمَا أُنْزِلَ مِنَ الْقُرْآنِ: «عَشْرُ رَضَعَاتٍ مَعْلُومَاتٍ يُحَرِّمْنَ» . ثُمَّ نُسِخْنَ بِخَمْسٍ مَعْلُومَاتٍ فَتُوُفِّيَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَهِيَ فِيمَا يُقْرَأُ مِنَ الْقُرْآنِ. رَوَاهُ مُسلم

হাদীসের ব্যাখ্যা:

উহা অর্থাৎ, পাঁচবারের কথা কোরআনে পড়া হইত।' অর্থাৎ, ইহা এত শেষ সময় মনসুখ হয় যে, সকলে উহা জানিয়াও সারে নাই। তাই কেহ কেহ হুযুরের পরেও কিছুদিন উহা কোরআনরূপে পড়িতে থাকে—বিবি আয়েশা এখানে ইহাই বুঝাইতেছেন। অন্যথায়, উহা রহিত হয় নাই অথচ উহা এখন কোরআনে নাই, এমন কথা হইতেই পারে না। কোরআন যেভাবে নাযিল হইয়াছে সেভাবেই উহার এক একটি অক্ষর রক্ষিত আছে। আল্লাহ্ তা'আলা বলেন, “আমি কোরআন নাযিল করিয়াছি এবং আমি উহা রক্ষা করিব।” মুহাক্কেক ইবনে হুমাম এখানে আরেকটি কথা বলিয়াছেন, তিনি বলিয়াছেন, হাদীসটি সনদগত সহীহ হইলেও ভাবগত সহীহ্ নহে (কেননা, উহা শেষোক্ত আয়াতের বিপরীত)। (মেরকাত)
tahqiqতাহকীক:তাহকীক চলমান