মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)

১২- ক্রয় - বিক্রয়ের অধ্যায়

হাদীস নং: ২৯৯৩
১৫. প্রথম অনুচ্ছেদ - অনাবাদী জমিন আবাদ করা ও সেচের পালা
২৯৯৩। তাবেয়ী ওরওয়া (রঃ) বলেন, হাররা হইতে প্রবাহিত নালার পানি বণ্টন সম্পর্কে (আমার বাপ) যুবায়রের এক আনসারের সাথে বিবাদ হইল। তখন নবী করীম ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিলেন, যুবায়র, তুমি তোমার যমীনে পানি দাও, অতঃপর তোমার প্রতিবেশীর যমীনের দিকে ছাড়িয়া দাও। আনসারী বলিয়া উঠিল— আপনার ফুফাত ভাই, তাই তো। ইহাতে রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের চেহারা বিবর্ণ হইয়া গেল। এবার তিনি বলিলেন, যুবায়র, তুমি তোমার যমীনে পানি দাও, অতঃপর উহা আটকাইয়া রাখ যাহাতে পানি আইল পর্যন্ত পৌঁছে, অতঃপর তোমার প্রতিবেশীর যমীনের দিকে ছাড়িয়া দাও। এখন নবী করীম ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম স্পষ্ট নির্দেশ দ্বারা যুবায়রকে তাহার পূর্ণ হক দিয়া দিলেন, যখন আনসারী তাঁহাকে রাগান্বিত করিল, আর প্রথমে তাহাদেরকে এমন নির্দেশ দিয়াছিলেন যাহাতে উভয়ের সুবিধা ছিল। — মোত্তাঃ
وَعَنْ عُرْوَةَ قَالَ: خَاصَمَ الزُّبَيْرُ رَجُلًا مِنَ الْأَنْصَارِ فِي شِرَاجٍ مِنَ الْحَرَّةِ فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «اسْقِ يَا زُبَيْرُ ثُمَّ أَرْسِلِ الْمَاءَ إِلَى جَارِكَ» . فَقَالَ الْأَنْصَارِيُّ: أَنْ كَانَ ابْنَ عَمَّتِكَ؟ فَتَلَوَّنَ وَجْهُهُ ثُمَّ قَالَ: «اسْقِ يَا زُبَيْرُ ثُمَّ احْبِسِ الْمَاءَ حَتَّى يَرْجِعَ إِلَى الْجَدْرِ ثُمَّ أَرْسِلِ الْمَاءَ إِلَى جَارِكَ» فَاسْتَوْعَى النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِلزُّبَيْرِ حَقَّهُ فِي صَرِيحِ الْحُكْمِ حِينَ أحفظه الْأنْصَارِيّ وَكَانَ أَشَارَ عَلَيْهِمَا بِأَمْرٍ لَهُمَا فِيهِ سَعَةٌ

হাদীসের ব্যাখ্যা:

‘হাররা’–কাল প্রস্তরময় স্থান। মদীনা দুই হাররার মধ্যে অবস্থিত। যুবায়র হুযূরের ফুফু সফিয়্যার পুত্র। যুবায়রের যমীন উপরে ছিল বিধায় হুযূর প্রথমে তাঁহার জমিতে পানি দিতে বলেন। ‘আপনার ফুফাত ভাই তাই তো।'— লোকটা বোকা ছিল, অথবা মোনাফেক ছিল, তাই এইরূপ বলিয়াছে। ‘যাহাতে আইল পর্যন্ত পৌঁছে' —ইহাতে বুঝা গেল যে, এই পর্যন্ত পানি রাখার হক প্রথম ব্যক্তির রহিয়াছে। ইহার সীমা পায়ের ছোট গিরা ডুবা পর্যন্ত।
এখানে হুযূর রাগের অবস্থায় বিচার করিলেন, কিন্তু অন্য হাদীসে তিনি রাগের অবস্থায় বিচার করিতে নিষেধ করিয়াছেন। ইহা তাহার বিশেষত্ব। তিনি অপর হাদীসে বলিয়াছেন, এই মুখ হইতে (রাগে-অরাগে) কখনও হক কথা ছাড়া বাহির হয় না। (দারেমী)
tahqiqতাহকীক:তাহকীক চলমান