মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)
১২- ক্রয় - বিক্রয়ের অধ্যায়
হাদীস নং: ২৯৮১
১৪. প্রথম অনুচ্ছেদ - ভাড়ায় প্রদান ও শ্রম বিক্রি
২৯৮১। সাহাবী হযরত আব্দুল্লাহ্ ইবনে মুগাফফাল (রাঃ) বলেন, (সাহাবী) সাবেত ইবনে যাহ্হাক মনে করেন যে, রাসূলুল্লাহ্ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বর্গা নিষেধ করিয়াছেন এবং ইজারার আদেশ দিয়াছেন। সাবেত বলেন, ইজারাতে কোন আপত্তি নাই। —মুসলিম
بَابُ الْإِجَارَةِ: الْفَصْل الأول
عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مُغَفَّلٍ قَالَ: زَعَمَ ثَابِتُ بْنُ الضَّحَّاكِ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَهَى عَنِ الْمُزَارَعَةِ وَأَمَرَ بِالْمُؤَاجَرَةِ وَقَالَ: «لَا بَأْسَ بِهَا» . رَوَاهُ مُسْلِمٌ
হাদীসের ব্যাখ্যা:
ভাড়া ও শ্রম বিক্রি
‘ভাড়া’—মূলে ‘ইজারা’ শব্দ রহিয়াছে। যাহার অর্থ, কেরায়া দেওয়া, ভাড়া দেওয়া; মজুরিতে দেওয়া, ইজারা দেওয়া। ভাড়া, মজুরি বা ইজারা। শরীঅতে ইহার অর্থ, কিছুর বিনিময়ে কাহাকেও কোন জিনিসের লাভ বা উপকারের মালিকানা দেওয়া। যেমন, ঘর দ্বারা যে উপকার লাভ করা যায়, কিছু অর্থের বিনিময়ে কাহাকেও উহার মালিকানা দেওয়া। আর যেমন, মজুর নিজের কাজের দ্বারা যে উপকার লাভ করিতে পারিত, কিছু অর্থের বিনিময়ে উহা অন্যকে দেওয়া। অর্থের বিনিময়ে নির্দিষ্ট মেয়াদে যমীন ভাড়া দেওয়াও ইজারারই অন্তর্গত।
কিন্তু যমীন ইজারা নামে আমাদের দেশে যে পদ্ধতিটি প্রচলিত আছে, যেমন একশত টাকার বিনিময়ে কেহ এক গণ্ডা যমীন কাহারও নিকট ইজারা দিল, কিছুদিন পর দাতাকে ঐ একশত টাকা ফেরত দিয়া জমিটি খালাস করিল। ইহা জায়েয নহে। ইহা সম্পূর্ণ সুদী কারবার। আবার কোথাও কোথাও বাৎসরিক দুই চারি টাকা ক্ষয় বাদ দেওয়ারও প্রথা প্রচলিত আছে। ইহাতেও সুদ হইতে বাঁচা যাইবে না। কেননা, দুই-চারি টাকায় কেহ এক গণ্ডা যমীন এক বৎসরের জন্য ভাড়া দেয় না বা পায় না। ইহার জায়েয পদ্ধতি হইল এই যে, এক নির্দিষ্ট পরিমাণ যমীন এক নির্দিষ্ট ও মুনাসির পরিমাণ টাকার পরিবর্তে এক নির্দিষ্ট পরিমাণ সময় ভোগ করিতে দিবে। এসময়ের মধ্যে টাকা শোধবাদ হইয়া যাইবে এবং মেয়াদ অন্তে বিনা টাকায় যমীন ওয়াপেস পাইবে। —অনুবাদক
‘ভাড়া’—মূলে ‘ইজারা’ শব্দ রহিয়াছে। যাহার অর্থ, কেরায়া দেওয়া, ভাড়া দেওয়া; মজুরিতে দেওয়া, ইজারা দেওয়া। ভাড়া, মজুরি বা ইজারা। শরীঅতে ইহার অর্থ, কিছুর বিনিময়ে কাহাকেও কোন জিনিসের লাভ বা উপকারের মালিকানা দেওয়া। যেমন, ঘর দ্বারা যে উপকার লাভ করা যায়, কিছু অর্থের বিনিময়ে কাহাকেও উহার মালিকানা দেওয়া। আর যেমন, মজুর নিজের কাজের দ্বারা যে উপকার লাভ করিতে পারিত, কিছু অর্থের বিনিময়ে উহা অন্যকে দেওয়া। অর্থের বিনিময়ে নির্দিষ্ট মেয়াদে যমীন ভাড়া দেওয়াও ইজারারই অন্তর্গত।
কিন্তু যমীন ইজারা নামে আমাদের দেশে যে পদ্ধতিটি প্রচলিত আছে, যেমন একশত টাকার বিনিময়ে কেহ এক গণ্ডা যমীন কাহারও নিকট ইজারা দিল, কিছুদিন পর দাতাকে ঐ একশত টাকা ফেরত দিয়া জমিটি খালাস করিল। ইহা জায়েয নহে। ইহা সম্পূর্ণ সুদী কারবার। আবার কোথাও কোথাও বাৎসরিক দুই চারি টাকা ক্ষয় বাদ দেওয়ারও প্রথা প্রচলিত আছে। ইহাতেও সুদ হইতে বাঁচা যাইবে না। কেননা, দুই-চারি টাকায় কেহ এক গণ্ডা যমীন এক বৎসরের জন্য ভাড়া দেয় না বা পায় না। ইহার জায়েয পদ্ধতি হইল এই যে, এক নির্দিষ্ট পরিমাণ যমীন এক নির্দিষ্ট ও মুনাসির পরিমাণ টাকার পরিবর্তে এক নির্দিষ্ট পরিমাণ সময় ভোগ করিতে দিবে। এসময়ের মধ্যে টাকা শোধবাদ হইয়া যাইবে এবং মেয়াদ অন্তে বিনা টাকায় যমীন ওয়াপেস পাইবে। —অনুবাদক
