মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)
১২- ক্রয় - বিক্রয়ের অধ্যায়
হাদীস নং: ২৯৬১
১২. প্রথম অনুচ্ছেদ - শুফ্আহ্
২৯৬১। হযরত জাবের (রাঃ) বলেন, নবী করীম ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম শোফার ফয়সালা করিয়াছেন সেসব ( স্থাবর সম্পত্তিতে, যাহা ভাগ করা হয় নাই। যখন সীমানা চিহ্নিত হয় ও পথ পৃথক করা হয় তখন শোফা নাই। বোখারী
بَابُ الشُّفْعَةِ: الْفَصْل الأول
عَنْ جَابِرٍ قَالَ: قَضَى النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِالشُّفْعَةِ فِي كُلِّ مَا لَمْ يُقْسَمْ فَإِذَا وَقَعَتِ الْحُدُودُ وَصُرِفَتِ الطُّرُقُ فَلَا شُفْعَة. رَوَاهُ البُخَارِيّ
হাদীসের ব্যাখ্যা:
শোফার হক
'শোফা' শব্দের অর্থ, মিলান, মিশান ও মিশ্রিত। শরীঅতে ইহার অর্থ, অংশীদার বা প্রতিবেশী হওয়ার কারণে স্থাবর সম্পত্তি বিক্রি হওয়ার ফলে উহা ক্রয়ের অগ্রাধিকার লাভ। তবে বিক্রি হওয়ার কালে উপস্থিত থাকিয়া বা উহার খবর শুনিয়া দাবী না করিলে এ অধিকার বাতিল হইয়া যায়। শরীঅত শোফার অধিকার দিয়াছে অংশীদারের ক্ষতি দমন করার উদ্দেশ্যে। অতএব, ইহা সীমাবদ্ধ থাকিবে স্থাবর সম্পত্তি, ঘর-বাড়ী ও জায়গা-জমিতে। অস্থাবর সম্পত্তি নাড়াচাড়া দ্বারা ক্ষতি দমন সম্ভবপর বলিয়া উহাতে (হককে শোফা বা) শোফার অধিকার নাই।
ইমাম শাফেয়ীর মতে কেবল অংশীদারেরই শোফার অধিকার লাভ হয়, আর ইমাম আ'যম আবু হানীফার মতে নিকট প্রতিবেশীরও এই অধিকার লাভ হয়। তফসীল ফেকাহর কিতাবে দ্রষ্টব্য। — অনুবাদক
যখন সীমানা চিহ্নিত হয় ও পথ পৃথক করা হয় তখন শোফা নাই। —ইহাতে বুঝা গেল যে, প্রতিবেশীর শোফার হক নাই। ইমাম শাফেয়ী (রঃ) ইহারই অনুসরণ করেন। পক্ষান্তরে ইমাম আবু হানীফা (রঃ) অপর হাদীস অনুসারে প্রতিবেশীরও শোফার হক রহিয়াছে বলিয়া বলেন। এ হাদীসের এ অংশটি হযরত জাবেরের কথা বলিয়াই তিনি মনে করেন।
নোটঃ সম্পত্তি চিহ্নিত এবং রাস্তাঘাটও পৃথক, কিন্তু জমা এজমালি, খাজনা এক সাথে দিতে হয়। একজনে না দিলে অন্যজন হইতে তাহা আদায় করা হয়, এইরূপ ক্ষেত্রেও শোফার হক থাকার কথা। কেননা, অন্যের ক্ষতি দমনই শোফার উদ্দেশ্য।
'শোফা' শব্দের অর্থ, মিলান, মিশান ও মিশ্রিত। শরীঅতে ইহার অর্থ, অংশীদার বা প্রতিবেশী হওয়ার কারণে স্থাবর সম্পত্তি বিক্রি হওয়ার ফলে উহা ক্রয়ের অগ্রাধিকার লাভ। তবে বিক্রি হওয়ার কালে উপস্থিত থাকিয়া বা উহার খবর শুনিয়া দাবী না করিলে এ অধিকার বাতিল হইয়া যায়। শরীঅত শোফার অধিকার দিয়াছে অংশীদারের ক্ষতি দমন করার উদ্দেশ্যে। অতএব, ইহা সীমাবদ্ধ থাকিবে স্থাবর সম্পত্তি, ঘর-বাড়ী ও জায়গা-জমিতে। অস্থাবর সম্পত্তি নাড়াচাড়া দ্বারা ক্ষতি দমন সম্ভবপর বলিয়া উহাতে (হককে শোফা বা) শোফার অধিকার নাই।
ইমাম শাফেয়ীর মতে কেবল অংশীদারেরই শোফার অধিকার লাভ হয়, আর ইমাম আ'যম আবু হানীফার মতে নিকট প্রতিবেশীরও এই অধিকার লাভ হয়। তফসীল ফেকাহর কিতাবে দ্রষ্টব্য। — অনুবাদক
যখন সীমানা চিহ্নিত হয় ও পথ পৃথক করা হয় তখন শোফা নাই। —ইহাতে বুঝা গেল যে, প্রতিবেশীর শোফার হক নাই। ইমাম শাফেয়ী (রঃ) ইহারই অনুসরণ করেন। পক্ষান্তরে ইমাম আবু হানীফা (রঃ) অপর হাদীস অনুসারে প্রতিবেশীরও শোফার হক রহিয়াছে বলিয়া বলেন। এ হাদীসের এ অংশটি হযরত জাবেরের কথা বলিয়াই তিনি মনে করেন।
নোটঃ সম্পত্তি চিহ্নিত এবং রাস্তাঘাটও পৃথক, কিন্তু জমা এজমালি, খাজনা এক সাথে দিতে হয়। একজনে না দিলে অন্যজন হইতে তাহা আদায় করা হয়, এইরূপ ক্ষেত্রেও শোফার হক থাকার কথা। কেননা, অন্যের ক্ষতি দমনই শোফার উদ্দেশ্য।
