মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)

১২- ক্রয় - বিক্রয়ের অধ্যায়

হাদীস নং: ২৯৫৫
১১. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - কারো সম্পদে অন্যায় হস্তক্ষেপ, ঋণ ও ক্ষতিপূরণ
২৯৫৫। তাবেয়ী উমাইয়া ইবনে সাফওয়ান তাঁহার বাপ (সাফওয়ান) হইতে বর্ণনা করেন, হুনাইন যুদ্ধের তারিখে নবী করীম (ﷺ) তাঁহার লৌহবর্মসমূহ ধারে লইলেন। তখন সাফওয়ান বলিলেনঃ হে মুহাম্মাদ, জোর করিয়া লইলে ? হুযূর বলিলেন, না, বরং ধারে লইলাম, ফেরত দেওয়া হইবে। —আবু দাউদ
وَعَن أُميَّة بن صَفْوَان عَنْ أَبِيهِ: أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اسْتَعَارَ مِنْهُ أَدْرَاعَهُ يَوْمَ حُنَيْنٍ فَقَالَ: أَغَصْبًا يَا مُحَمَّدَ؟ قَالَ: «بَلْ عَارِيَةً مَضْمُونَةً» . رَوَاهُ أَبُو دَاوُد

হাদীসের ব্যাখ্যা:

সাফওয়ান কুরাইশদের সম্ভ্রান্ত ব্যক্তিদের অন্যতম ছিলেন। মক্কা বিজয়ের তারিখে হুযূর তাহাকে চারি মাসের জন্য আমান অর্থাৎ, জানের নিরাপত্তা দান করেন। অতঃপর তিনি কাফের অবস্থায় হুনাইন যুদ্ধে হুযুরের সাথী হন। হুযূর তাঁহাকে হুনাইন যুদ্ধের বহু মাল দান করেন। ইহাতে মুগ্ধ হইয়া তিনি বলিলেন, নবী ছাড়া এমন দান কেহ করিতে পারে না এবং মুসলমান হইয়া গেলেন।
‘ফেরত দেওয়া হইবে'—মূলে ‘মাজমূনা' শব্দ রহিয়াছে, যাহার অর্থ, দণ্ড দেওয়া হইবে। ইমাম শাফেয়ী ও আহমদ (রঃ) এই অর্থই গ্রহণ করিয়াছেন এবং বলিয়াছেন, ধারের জিনিস গ্রহীতার কাছে নষ্ট হইলে তার দণ্ড দিতে হইবে। পক্ষান্তরে ইমাম আযম ও ইমাম সাওরী (রঃ) বলেন, গ্রহীতার দোষ ব্যতীত নষ্ট হইলে দণ্ড দিতে হইবে না। তাঁহাদের মতে 'মাজমুনা' শব্দের অর্থ, ফেরত দেওয়া হইবে।
tahqiqতাহকীক:তাহকীক চলমান
মিশকাতুল মাসাবীহ - হাদীস নং ২৯৫৫ | মুসলিম বাংলা