মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)

১২- ক্রয় - বিক্রয়ের অধ্যায়

হাদীস নং: ২৮৪১
৫. প্রথম অনুচ্ছেদ - নিষিদ্ধ বস্তু ক্রয়-বিক্রয়
২৮৪১। হযরত জাবের (রাঃ) হইতে বর্ণিত আছে, রাসূলুল্লাহ্ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিষেধ করিয়াছেন (কোন বিশেষ বৃক্ষ বা বাগানের ফল) কয়েক বৎসরের জন্য অগ্রিম বিক্রি করা হইতে এবং তিনি পরামর্শ দিয়াছেন (বিক্রীত ফল-ফসল ক্রেতা কর্তৃক) আহরণের পূর্বে যাহা বিনষ্ট হয় উহার মূল্য কর্তন করিতে। -মুসলিম
وَعَنْ جَابِرٍ قَالَ: نَهَى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنْ بَيْعِ السِّنِينَ وَأَمَرَ بوضْعِ الجوائحِ. رَوَاهُ مُسلم

হাদীসের ব্যাখ্যা:

দ্বিতীয় বাক্যটির ব্যাখ্যা অনেকে এইরূপও করিয়াছেন যে, বাগানের বা খেতের উৎপন্ন হইতে যাকাতরূপে ‘ওশর’—দশম অংশ বা ট্যাক্সরূপে 'খারাজ'—নির্ধারিত ট্যাক্স উসুল করার জন্য শরীআতের নিয়ম রহিয়াছে। ফল বা ফসল পূর্ণ পাকিবার পূর্বে সরকারী পরিদর্শক আসিয়া প্রত্যেক বাগানের বা প্রত্যেক খেতের উৎপন্নের অনুমান করিয়া যাইবে। অতঃপর ঐ সব বাগানের বা খেতের ওশর ও খারাজ আদায়কালে উক্ত অনুমানের লক্ষ্য রাখা হইবে, যেন কেহ ফাঁকি দিতে না পারে। সেই সম্পর্কে নবী করীম (ﷺ) আদেশ করিয়াছেন যে, অনুমান লাগাইবার পরে ফল-ফসল কাটিয়া সংগ্রহ করা পর্যন্ত স্বাভাবিকরূপে যে পরিমাণ বিনষ্ট হইতে পারে বা সপ্রমাণিত কোন দুর্যোগে যাহা বিনষ্ট হইয়াছে, ওশর ও খারাজ আদায়কালে ঐ পরিমাণ কর্তন দিতে হইবে।
tahqiqতাহকীক:তাহকীক চলমান
মিশকাতুল মাসাবীহ - হাদীস নং ২৮৪১ | মুসলিম বাংলা