মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)
১২- ক্রয় - বিক্রয়ের অধ্যায়
হাদীস নং: ২৮২৪
৪. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - সুদ
২৮২৪। হযরত উসামা ইবনে যায়দ (রাঃ) হইতে বর্ণিত আছে, নবী করীম (ﷺ) বলিয়াছেনঃ শুধু উধারের কারণেও (অনেক ক্ষেত্রে) সুদ হয়। অপর এক বর্ণনায় আছে—উপস্থিত আদান-প্রদান ক্ষেত্রে সুদ হয় না। —মোত্তাঃ
الْفَصْل الثَّالِث
عَنْ أُسَامَةُ بْنُ زَيْدٍ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «الرِّبَا فِي النَّسِيئَةِ» . وَفِي رِوَايَةٍ قَالَ: «لَا رِبًا فِيمَا كَانَ يدا بيد»
হাদীসের ব্যাখ্যা:
সুদ শব্দটি ‘অতিরিক্ত’কে বুঝায়; সেই সূত্রে ধারণা করা হইতে পারে যে, কমের বিনিময়ে বেশী গ্রহণেই শুধু সুদ হইতে পারে; সুদের অন্য কোন ক্ষেত্র নাই। অথচ এক জাতীয় কিম্বা মাপ-প্রণালীর হিসাবে এক শ্রেণীভুক্ত বস্তুদ্বয়ের মধ্যে বিনিময় করা হইলে সেই ক্ষেত্রে উভয় দিকের বস্তু পরিমাণে সমান হইয়া একদিকে উধার হইলে তাহাও সুদী লেনদেন সাব্যস্ত হইবে। এইরূপ ক্ষেত্রে একদিকে অপর দিক অপেক্ষা এক তিল পরিমাণ অতিরিক্ত বা বেশী না হইয়াও শুধু উধার হওয়ার কারণে সুদ সাব্যস্ত হইবে। মূল হাদীসটির তাৎপর্য ইহাই।
আর দ্বিতীয় বর্ণনায় যাহা বলা হইয়াছে, উহার উদ্দেশ্য এই যে, ভিন্ন ভিন্ন জাতীয় বস্তু, কিন্তু মাপ-প্রণালীতে এক শ্রেণীভুক্ত, যথা—স্বর্ণ ও রূপা, গম ও যব; এইরূপ বস্তুদ্বয়ের বিনিময়ে পরিমাণের ব্যবধান হইলেও সেই ক্ষেত্রে সুদ হইবে না। যদি উভয়পক্ষ হইতে উপস্থিত আদান প্রদান হয়।
আর দ্বিতীয় বর্ণনায় যাহা বলা হইয়াছে, উহার উদ্দেশ্য এই যে, ভিন্ন ভিন্ন জাতীয় বস্তু, কিন্তু মাপ-প্রণালীতে এক শ্রেণীভুক্ত, যথা—স্বর্ণ ও রূপা, গম ও যব; এইরূপ বস্তুদ্বয়ের বিনিময়ে পরিমাণের ব্যবধান হইলেও সেই ক্ষেত্রে সুদ হইবে না। যদি উভয়পক্ষ হইতে উপস্থিত আদান প্রদান হয়।
