মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)

১১- হজ্জ্বের অধ্যায়

হাদীস নং: ২৫৪২
- হজ্জ্বের অধ্যায়
১. প্রথম অনুচ্ছেদ - ইহরাম ও তালবিয়াহ্
২৫৪২। হযরত ইবনে ওমর (রাঃ) বলেন, (বিদায় হচ্ছে) রাসূলুল্লাহ্ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন আপন পা মোবারক রেকাবে রাখিয়াছিলেন এবং তাহার উটনী তাহাকে লইয়া সোজা হইয়া দাড়াইয়াছিল, তখন তিনি তালবিয়া বলিয়াছিলেন ফুলহুলায়ফা মসজিদের নিকটে। মোত্তাঃ
كتاب المناسك
وَعَنْهُ قَالَ: كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذَا أَدْخَلَ رِجْلَهُ فِي الْغَرْزِ وَاسْتَوَتْ بِهِ نَاقَتُهُ قَائِمَةً أَهَلَّ منَ عندِ مسجدِ ذِي الحليفة

হাদীসের ব্যাখ্যা:

বিদায় হজ্জে রওয়ানাকালে হুযূর কোথায় এহরাম বাঁধিয়াছিলেন এ ব্যাপারে বিভিন্ন বর্ণনা পরিদৃষ্ট হয়। এক বর্ণনামতে যুলহুলায়ফায়, যেখানে তিনি আসরের নামায পড়িয়াছিলেন। নামাযের মোসল্লায় বসিয়াই এহরাম বাঁধিয়াছিলেন। ইবনে ওমরের এই বর্ণনায় রহিয়াছে, যখন তিনি নামাযের পর সামনে রওয়ানা হইতেছিলেন তখন উটে চড়িয়াই এহরাম বাঁধিয়াছিলেন। অপর এক বর্ণনায় আছে, তিনি আরও কিছুদূর অগ্রসর হইয়া বায়দা নামক স্থানে পৌঁছিয়াই এহরাম বাঁধিয়াছিলেন।
আসলে এ সকল বর্ণনার মধ্যে কোন বিরোধ নাই। হুযুরের ইহা ছিল একমাত্র হজ্জ। তাই তিনি হজ্জের কার্যক্রম মুসলমানদিগকে দেখাইবার ও শিক্ষা দিবার জন্য তালবিয়া বিভিন্ন জায়গায় পুনঃ পুনঃ বলিয়াছিলেন। প্রথমে মোসল্লায়, পরে উটে আরোহণ করিয়া, তৎপর বায়দায় পৌঁছিয়া। লোকের ভীড় ছিল অত্যধিক। যিনি যেখানে দেখিবার, শুনিবার সুযোগ পাইয়াছেন। তিনি সেখানের কথাই বলিয়াছেন। হুযূরের হজ্জের রকম সম্পর্কেও বিভিন্ন বর্ণনা পরিদৃষ্ট হওয়ার কারণ ইহাই। হুযূর আসলে 'কারেন' ছিলেন। সঙ্গীদের মধ্যে যিনি কেরানের (হজ্জ ও উমরার) উভয় শব্দ শুনিয়াছিলেন তিনি তাহা বর্ণনা করিয়াছেন, আর যিনি একটা শুনিয়াছিলেন তিনি তাহাই বলিয়াছেন।
tahqiqতাহকীক:তাহকীক চলমান
মিশকাতুল মাসাবীহ - হাদীস নং ২৫৪২ | মুসলিম বাংলা