মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)

১০- যাবতীয় দোয়া-যিক্‌র

হাদীস নং: ২৪২৮
৫. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - বিভিন্ন সময়ের পঠিতব্য দুআ
২৪২৮। হযরত তালহা ইবনে ওবায়দুল্লাহ্ (রাঃ) হইতে বর্ণিত আছে, নবী করীম (ﷺ) যখন নূতন চাঁদ দেখিতেন, বলিতেন, “আল্লাহ্ ! তুমি উহাকে উদয় কর আমাদের প্রতি নিরাপত্তা, ঈমান, শান্তি ও ইসলামের সাথে।” (হে চাঁদ!) আমার প্রভু ও তোমার প্রভু এক আল্লাহ্। -তিরমিযী। তিনি বলেন, হাদীসটি হাসান গরীব।
الْفَصْل الثَّانِي
عَن طلحةَ بنِ عبيدِ اللَّهِ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ إِذَا رَأَى الْهِلَالَ قَالَ: «اللَّهُمَّ أَهِلَّهُ عَلَيْنَا بِالْأَمْنِ وَالْإِيمَانِ وَالسَّلَامَةِ وَالْإِسْلَامِ رَبِّي وَرَبُّكَ اللَّهُ» . رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ. وَقَالَ: هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ

হাদীসের ব্যাখ্যা:

ইদানীং (২০শে জুলাই ১৯৬৯ ইং) মার্কিন বিজ্ঞানীদের চাঁদে পৌঁছার ফলে চাঁদ সম্পর্কে ইসলামী আকীদা-বিশ্বাসের কোন ইতর-বিশেষ ঘটে নাই। কারণ, আসমান, যমীন, চন্দ্র, সূর্য ও গ্রহ-নক্ষত্রকে কোরআন-হাদীসে আল্লাহর অস্তিত্বের বিশেষ নিদর্শন, সময় নিরূপণের উপায় ও মানুষের জন্য কর্মরত বলা হইয়াছে। উহাদের কোনটিতে মানুষ যাইতে পারিবে কি পারিবে না তাহা বলা হয় নাই। সূরা আররাহমানে যে বলা হইয়াছে, হে জিন ও মানবমণ্ডলী! তোমরা যদি আসমান ও যমীনের সীমা হইতে বাহির হইয়া যাইতে পার বাহির হইয়া যাও; কিন্তু ক্ষমতা ভিন্ন তোমরা যাইতে পারিবে না (আর ক্ষমতা তোমাদের নাই।) — তাহার অর্থ হইল, তোমরা আল্লাহর রাজ্যের বাহিরে যাইতে পারিলে যাও, আর তাহা কখনও পারিবে না।
tahqiqতাহকীক:তাহকীক চলমান
মিশকাতুল মাসাবীহ - হাদীস নং ২৪২৮ | মুসলিম বাংলা