মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)
৯- কুরআনের ফাযাঈল অধ্যায়
হাদীস নং: ২১৬৭
- কুরআনের ফাযাঈল অধ্যায়
তৃতীয় অনুচ্ছেদ
২১৬৭। (তাবেয়ী) হযরত ওসমান ইবনে আব্দুল্লাহ্ ইবনে আওস সাকাফী তাঁহার দাদা সাহাবী হযরত আওস (রাঃ) হইতে বর্ণনা করেন যে, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ কোন ব্যক্তির মাসহাফ ব্যতীত মুখস্থ কোরআন পড়া এক হাযার মর্যাদা রাখে, আর উহা মাসহাফে পড়া মুখস্থ পড়ার দুই গুণ — দুই হাজার পর্যন্ত মর্যাদা রাখে।
كتاب فضائل القرآن
وَعَنْ عُثْمَانَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَوْسٍ الثَّقَفِيِّ عَنْ جَدِّهِ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «قِرَاءَةُ الرَّجُلِ الْقُرْآنَ فِي غَيْرِ الْمُصْحَفِ أَلْفُ دَرَجَةٍ وَقِرَاءَتُهُ فِي الْمُصحف تضعف عل ذَلِك إِلَى ألفي دَرَجَة» . رَوَاهُ الْبَيْهَقِيّ فِي شعب الْإِيمَان
হাদীসের ব্যাখ্যা:
মাসহাফ – যাহাতে কোরআন লেখা হইয়াছে। কাগজে লেখা কোরআন, যাহাকে আমরা কোরআন বলি, আরব জাহানে উহাকে 'মাসহাফ' বলে। ইহাতে বুঝা গেল যে, হুযূরের পরেই যে কোরআন পাক 'মাসহাফ' রূপ ধারণ করিবে তাহা তাহাকে আল্লাহ্ তা'আলা জানাইয়া ছিলেন। তাঁহার যমানায় উহা বরাবর নাযিল হইতে থাকায় সম্ভবপর হয় নাই ।