মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)

৯- কুরআনের ফাযাঈল অধ্যায়

হাদীস নং: ২১৩৮
- কুরআনের ফাযাঈল অধ্যায়
দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ
২১৩৮। (তাবেয়ী) হারেস আ'ওয়ার (রঃ) বলেন, আমি (কুফার) মসজিদে পৌঁছিলাম, দেখিলাম, লোকেরা বাজে কথায় মশগুল। অতঃপর আমি হযরত আলী রাযিয়াল্লাহু আনহুর নিকট যাইয়া তাহাকে এই সংবাদ দিলাম। তিনি বলিলেন, তাহারা কি এইরূপ করিতেছে? আমি বলিলাম, হ্যাঁ। তিনি বলিলেন, শুন, আমি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-কে বলিতে শুনিয়াছি, সাবধান! শীঘ্রই দুনিয়াতে ফাসাদ (বিপর্যয়) আরম্ভ হইবে। আমি জিজ্ঞাসা করিলাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ্! উহা হইতে বাঁচিবার উপায় কি? তিনি বলিলেনঃ আল্লাহর কিতাব, উহাতে তোমাদের পূর্ববর্তীদের ও পরবর্তীদের খবর রহিয়াছে এবং তোমাদের মধ্যকার বিতর্কের মীমাংসা। উহা সত্য মিথ্যার প্রভেদকারী এবং নিরর্থক নহে। যে অহংকারী উহাকে ত্যাগ করিবে, আল্লাহ্ তাহার অহংকার চূর্ণ করিবেন; যে উহার বাহিরে হেদায়ত তালাশ করিবে, আল্লাহ্ তাহাকে গোমরাহ্ করিবেন। উহা হইল আল্লাহর মজবুত রশি, প্রজ্ঞাময় যিকর এবং সত্য-সরল পথ। উহার অবলম্বনে বিপথগামী হয় না প্রবৃত্তি, কষ্ট হয় না উহাতে জবানের। বিতৃষ্ণ হয় না উহা হইতে জ্ঞানীগণ। পুরাতন হয় না উহা বার বার পাঠে। অন্ত নাই উহার বিস্ময়কর তথ্যসমূহের। উহা শুনিয়া স্থির থাকিতে পারে নাই জিনরা, এমন কি বলিয়া উঠিয়াছে তাহারা, “শুনিয়াছি আমরা এমন এক বিস্ময়কর কোরআন, যাহা সন্ধান দেয় সৎপথের। অতএব, ঈমান আনিয়াছি আমরা উহার উপর।” যে উহা বলে— সত্য বলে, যে উহার সাথে আমল করে— পুরস্কার প্রাপ্ত হয়, যে উহার সাথে বিচার করে ন্যায় করে এবং যে উহার দিকে ডাকে—সত্য সরল পথের দিকে ডাকে। (সুতরাং তাহারা এইরূপ কোরআন ছাড়িয়া অন্যান্য আলোচনায় কেন মশগুল হইয়াছে ?) – তিরমিযী ও দারেমী। কিন্তু তিরমিযী বলিয়াছেন, ইহার সনদ মজহুল। আর হারেস আওয়ার সম্পর্কে বিতর্ক রহিয়াছে। (হাদীসটির বর্ণনাভঙ্গিই উহার দুর্বলতার সাক্ষ্য। তবে উহার মর্ম সত্য।)
كتاب فضائل القرآن
وَعَنِ الْحَارِثِ الْأَعْوَرِ قَالَ: مَرَرْتُ فِي الْمَسْجِدِ فَإِذَا النَّاسُ يَخُوضُونَ فِي الْأَحَادِيثِ فَدَخَلْتُ عَلَى عَلِيٍّ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ فَأَخْبَرْتُهُ قَالَ: أَوَقَدْ فَعَلُوهَا؟ قلت نعم قَالَ: أما إِنِّي قَدْ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُول: «أَلا إِنَّهَا سَتَكُون فتْنَة» . فَقلت مَا الْمَخْرَجُ مِنْهَا يَا رَسُولَ اللَّهِ قَالَ: «كتاب الله فِيهِ نبأ مَا كَانَ قبلكُمْ وَخبر مَا بعدكم وَحكم مَا بَيْنكُم وَهُوَ الْفَصْلُ لَيْسَ بِالْهَزْلِ مَنْ تَرَكَهُ مِنْ جَبَّارٍ قَصَمَهُ اللَّهُ وَمَنِ ابْتَغَى الْهُدَى فِي غَيْرِهِ أَضَلَّهُ اللَّهُ وَهُوَ حَبْلُ اللَّهِ الْمَتِينُ وَهُوَ الذِّكْرُ الْحَكِيمُ وَهُوَ الصِّرَاطُ الْمُسْتَقِيمُ هُوَ الَّذِي لَا تَزِيغُ بِهِ الْأَهْوَاءُ وَلَا تَلْتَبِسُ بِهِ الْأَلْسِنَةُ وَلَا يَشْبَعُ مِنْهُ الْعُلَمَاءُ وَلَا يَخْلِقُ على كَثْرَةِ الرَّدِّ وَلَا يَنْقَضِي عَجَائِبُهُ هُوَ الَّذِي لَمْ تَنْتَهِ الْجِنُّ إِذْ سَمِعَتْهُ حَتَّى قَالُوا (إِنَّا سَمِعْنَا قُرْآنًا عَجَبًا يَهْدِي إِلَى الرُّشْدِ فَآمَنا بِهِ)

مَنْ قَالَ بِهِ صَدَقَ وَمَنْ عَمِلَ بِهِ أُجِرَ وَمَنْ حَكَمَ بِهِ عَدَلَ وَمَنْ دَعَا إِلَيْهِ هُدِيَ إِلَى صِرَاطٍ مُسْتَقِيمٍ» . رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ وَالدَّارِمِيُّ وَقَالَ التِّرْمِذِيُّ: هَذَا حَدِيثٌ إِسْنَادُهُ مَجْهُولٌ وَفِي الْحَارِث مقَال

হাদীসের ব্যাখ্যা:

জিনরা তায়েফে এক রাতে হুযুরের নিকট কোরআন শুনিয়াছিল এবং তাহার উপর ঈমান আনিয়াছিল। ইহার বিবরণ নামায পর্বের এক হাদীসে গিয়াছে।
tahqiqতাহকীক:তাহকীক চলমান