মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)
৯- কুরআনের ফাযাঈল অধ্যায়
হাদীস নং: ২১৩৩
দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ
২১৩৩। হযরত আব্দুর রহমান ইবনে আওফ (রাঃ) নবী করীম (ﷺ) হইতে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলিয়াছেনঃ তিন জিনিস কেয়ামতের দিন আল্লাহর আরশের নীচে থাকিবে। (১) কোরআন, উহা বান্দাদের (পক্ষে বা বিপক্ষে) আর্জি করিবে। উহার বাহির-ভিতর দুই-ই রহিয়াছে। (২) আমানত এবং (৩) আত্মীয়তা-বন্ধন। (ইহাদের প্রত্যেকে) ফরিয়াদ করিবে—ওহে! যে আমাকে রক্ষা করিয়াছে, আল্লাহ্ তাহাকে রক্ষা করুন এবং যে আমাকে ছিন্ন করিয়াছে, আল্লাহ্ তাহাকে ছিন্ন করুন। – বাগাবী — শরহুস সুন্নাহয়
اَلْفَصْلُ الثَّانِىْ
عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَوْفٍ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: ثَلَاثَةٌ تَحْتَ الْعَرْشِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ الْقُرْآنُ يُحَاجُّ الْعِبَادَ لَهُ ظَهْرٌ وَبَطْنٌ وَالْأَمَانَةُ وَالرَّحِمُ تُنَادِي: أَلَا مَنْ وَصَلَنِي وَصَلَهُ اللَّهُ وَمَنْ قَطَعَنِي قَطَعَهُ اللَّهُ . رَوَاهُ فِي شرح السّنة
হাদীসের ব্যাখ্যা:
‘বাহির দিক ও ভিতর দিক'—ইহার অর্থ সম্পর্কে অনেকে অনেক কথা বলিয়াছেন। আমার মতে 'বাহির দিক' অর্থে শব্দের দিক এবং ‘ভিতর দিক' অর্থে মর্মের দিকও হইতে পারে। সুতরাং যে ব্যক্তি কোরআন না বুঝিয়া পড়িবে সেও সওয়াব হইতে মাহরূম থাকিবে না, যদিও বুঝিয়া পড়ার সাথে উহার তুলনা চলে না। কোরআন বুঝা ও উহার মর্মানুধাবন করার জন্য কোরআনে বহু তাকীদ রহিয়াছে।
