মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)
৯- কুরআনের ফাযাঈল অধ্যায়
হাদীস নং: ২১১৮
প্রথম অনুচ্ছেদ
২১১৮। হযরত আবু সায়ীদ ইবনে মুআল্লা (রাঃ) বলেন, আমি মসজিদে নামায পড়িতেছিলাম, এমন সময় নবী করীম ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে ডাকিলেন, আমি জবাব দিলাম না যাবৎ না নামায শেষ করিলাম। অতঃপর তাঁহার নিকট যাইয়া বলিলাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমি নামায পড়িতেছিলাম। তিনি বলিলেন : আল্লাহ্ কি বলেন নাই যে, “আল্লাহ্ এবং রাসুলের জবাব দাও, যখন তাহারা ডাকেন।" অতঃপর হুযুর ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিলেন, আমি কি তোমাকে শিখাইব না কোরআনের শ্রেষ্ঠতর সূর্য তোমার মসজিদ হইতে বাহির হইবার পূর্বেঃ অতঃপর তিনি আমার হাত ধরিলেন। তৎপর যখন আমরা বাহির হইতে ইচ্ছা করিলাম, আমি বলিলাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আপনি না বলিয়াছিলেন, আমি তোমাকে কোরআনের শ্রেষ্ঠতর সুরা শিখাইব ? তখন তিনি বলিলেন, উহা হইল সূরা "আলহামদু লিল্লাহি রাব্বিল আলামীন।” উহাই সেই সাতটি পুনরাবৃত্ত আয়াত এবং মহা কোরআন, যাহা আমাকে দেওয়া হইয়াছে। বুখারী
وَعَنْ أَبِي سَعِيدٍ بْنِ الْمُعَلَّى قَالَ: كُنْتُ أُصَلِّي فِي الْمَسْجِدِ فَدَعَانِي النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسلم فَلم أجبه حَتَّى صليت ثُمَّ أَتَيْتُهُ. فَقُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنِّي كنت أُصَلِّي فَقَالَ أَلَمْ يَقُلِ اللَّهُ (اسْتَجِيبُوا لِلَّهِ وَلِلرَّسُولِ إِذَا دعَاكُمْ)
ثمَّ قَالَ لي: «أَلَا أُعَلِّمُكَ أَعْظَمَ سُورَةٍ فِي الْقُرْآنِ قَبْلَ أَنْ تَخْرُجَ مِنَ الْمَسْجِدِ» . فَأَخَذَ بِيَدِي فَلَمَّا أَرَادَ أَن يخرج قلت لَهُ ألم تقل لأعلمنك سُورَة هِيَ أعظم سُورَةً مِنَ الْقُرْآنِ قَالَ: (الْحَمْدُ لِلَّهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ)
هِيَ السَّبْعُ الْمَثَانِي وَالْقُرْآنُ الْعَظِيمُ الَّذِي أُوتِيتهُ . رَوَاهُ البُخَارِيّ
ثمَّ قَالَ لي: «أَلَا أُعَلِّمُكَ أَعْظَمَ سُورَةٍ فِي الْقُرْآنِ قَبْلَ أَنْ تَخْرُجَ مِنَ الْمَسْجِدِ» . فَأَخَذَ بِيَدِي فَلَمَّا أَرَادَ أَن يخرج قلت لَهُ ألم تقل لأعلمنك سُورَة هِيَ أعظم سُورَةً مِنَ الْقُرْآنِ قَالَ: (الْحَمْدُ لِلَّهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ)
هِيَ السَّبْعُ الْمَثَانِي وَالْقُرْآنُ الْعَظِيمُ الَّذِي أُوتِيتهُ . رَوَاهُ البُخَارِيّ
হাদীসের ব্যাখ্যা:
কোরানে বলা হইয়াছেঃ وَلَقَدْ آتَيْنَاكَ سَبْعًا مِّنَ الْمَثَانِي وَالْقُرْآنَ الْعَظِيمَ আমি আপনাকে সাতটি পুনরাবৃত্ত (আয়াত) এবং মহা কোরআান দান করিয়াছি।
হযরত ওমর (রাঃ) হইতে বর্ণিত আছে; সাত আয়াত অর্থে কোরআন এখানে সূরা ফাতেহাকেই বুঝাইয়াছে। ইহাতে সাতটি আয়াত রহিয়াছে। ইহা নামাযের মধ্যে পুনঃ পুনঃ আবৃত্তি করা হইয়া থাকে এবং 'মহা কোরআন' – অর্থেও ইহাকেই বুঝাইয়াছে। কেননা, বলা হইয়া থাকে যে, সকল আসমানী কিতাবে যাহা আছে, তাহা কোরআনে আছে, আর যাহা কোরআনে আছে তাহা সূরা ফাতেহায় আছে।
হযরত ওমর (রাঃ) হইতে বর্ণিত আছে; সাত আয়াত অর্থে কোরআন এখানে সূরা ফাতেহাকেই বুঝাইয়াছে। ইহাতে সাতটি আয়াত রহিয়াছে। ইহা নামাযের মধ্যে পুনঃ পুনঃ আবৃত্তি করা হইয়া থাকে এবং 'মহা কোরআন' – অর্থেও ইহাকেই বুঝাইয়াছে। কেননা, বলা হইয়া থাকে যে, সকল আসমানী কিতাবে যাহা আছে, তাহা কোরআনে আছে, আর যাহা কোরআনে আছে তাহা সূরা ফাতেহায় আছে।
