মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)
৯- কুরআনের ফাযাঈল অধ্যায়
হাদীস নং: ২১১৬
প্রথম অনুচ্ছেদ
২১১৬। হযরত আবু সায়ীদ খুদরী (রাঃ) হইতে বর্ণিত আছে, সাহাবী উসাইদ ইবনে হুযাইর এক রাতে সূরা বাকারা পড়িতেছিলেন, তখন তাহার ঘোড়া বাঁধা ছিল তাহার কাছে। হঠাৎ ঘোড়া লাফাইয়া উঠিল। তিনি চুপ করিলেন, ঘোড়া শান্ত হইল। আবার তিনি পড়িতে লাগিলেন, আবার ঘোড়া লাফাইয়া উঠিল। তিনি চুপ করিলেন, ঘোড়া শান্ত হইল। পুনরায় তিনি পড়া আরম্ভ করিলেন, পুনরায় ঘোড়া লাফাইয়া উঠিল। এবার তিনি ক্ষান্ত দিলেন। কেননা, তাহার পুত্র ইয়াহ্ইয়া তাহার নিকটে শোয়ান ছিল। তিনি আশঙ্কা করিলেন পাছে তাহার কোন বিপদ হয়। যখন তিনি তাহাকে দূরে সরাইয়া আকাশের দিকে মাথা উঠাইলেন, তখন দেখিলেন— সামিয়ানার মত উহাতে বাতিসমূহের মত রহিয়াছে। যখন তিনি ভোরে উঠিলেন, নবী করীম ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে ইহা জানাইলেন। শুনিয়া তিনি বলিলেন পড়িতে থাকিলে না কেন ইবনে হুযাইর! পড়িতে থাকিলে না কেন ইবনে হুযাইর ইবনে হুযাইর বলিলেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ্! আমি আশঙ্কা করিলাম পাছে ঘোড়া ইয়াহ্ইয়াকে না মাড়ায়; আর সে ছিল ঘোড়ার নিকটে,—অতএব, আমি ক্ষান্ত দিয়া তাহার নিকটে গেলাম এবং আকাশের দিকে মাথা উঠাইলাম, দেখি——সামিয়ানার মত, উহাতে বাতিসমূহের মত রহিয়াছে। অতঃপর আমি তথা হইতে বাহির হইলাম আর দেখিতে দেখিতে উহা অদৃশ্য হইয়া গেল। শুনিয়া হুযূর (ছাঃ) বলিলেন, ইহা কি ছিল জান। উসাইদ বলিলেন, জি না। হুযুর (ছাঃ) বলিলেন, ইহা ছিল ফিরিশতাদের দল, তোমার স্বর শুনিয়া ইহারা আসিয়াছিলেন। যদি তুমি পড়িতে থাকিতে তাঁহারা ভোর পর্যন্ত তথায় থাকিতেন, আর মানুষ তাহাদের দেখিতে পাইত, তাহারা মানুষ হইতে ছাপিতেন না। -বুখারী ও মুসলিম, তবে পাঠ বুখারীর। মুসলিমের বর্ণনায় রহিয়াছে, 'সামিয়ানা শূন্যে উঠিয়া গেল'—'আমি বাহির হইলাম'-এর স্থলে।
وَعَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ أَنَّ أُسَيْدَ بنَ حُضَيْرٍ قَالَ: بَيْنَمَا هُوَ يَقْرَأُ مِنَ اللَّيْلِ سُورَةَ الْبَقَرَةِ وَفَرَسُهُ مَرْبُوطَةٌ عِنْدَهُ إِذْ جَالَتِ الْفرس فَسكت فَسَكَتَتْ فَقَرَأَ فجالت الْفرس فَسكت فَسَكَتَتْ الْفرس ثُمَّ قَرَأَ فَجَالَتِ الْفَرَسُ فَانْصَرَفَ وَكَانَ ابْنُهُ يحيى قَرِيبا مِنْهَا فأشفق أَن تصيبه فَلَمَّا أَخَّرَهُ رَفْعَ رَأْسَهُ إِلَى السَّمَاءِ فَإِذَا مِثْلُ الظُّلَّةِ فِيهَا أَمْثَالُ الْمَصَابِيحِ فَلَمَّا أَصْبَحَ حَدَّثَ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: «اقْرَأْ يَا ابْنَ حُضَيْرٍ اقْرَأْ يَا ابْنَ حُضَيْرٍ» . قَالَ فَأَشْفَقْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَنْ تَطَأَ يحيى وَكَانَ مِنْهَا قَرِيبا فَرفعت رَأْسِي فَانْصَرَفْتُ إِلَيْهِ وَرَفَعْتُ رَأْسِي إِلَى السَّمَاءِ فَإِذَا مِثْلُ الظُّلَّةِ فِيهَا أَمْثَالُ الْمَصَابِيحِ فَخَرَجَتْ حَتَّى لَا أَرَاهَا قَالَ: «وَتَدْرِي مَا ذَاكَ؟» قَالَ لَا قَالَ: «تِلْكَ الْمَلَائِكَةُ دَنَتْ لِصَوْتِكَ وَلَوْ قَرَأْتَ لَأَصْبَحَتْ يَنْظُرُ النَّاسُ إِلَيْهَا لَا تَتَوَارَى مِنْهُمْ» . مُتَّفَقٌ عَلَيْهِ. وَاللَّفْظُ لِلْبُخَارِيِّ وَفِي مُسْلِمٍ: «عرجت فِي الجو» بدل: «خرجت على صِيغَة الْمُتَكَلّم»
