আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ
৭- নামাযের অধ্যায়
হাদীস নং: ৩৭০
আন্তর্জাতিক নং: ৩৭৭
২৫৯। ছাদ, মিম্বর ও কাঠের উপর নামায আদায় করা।
আবু আব্দুল্লাহ (ইমাম বুখারী) (রাহঃ) বলেনঃ হাসান বসরী (রাহঃ) বরফ ও পুলের উপর নামায আদায় করা দূষণীয় মনে করতেন না-যদিও তার নীচ দিয়ে, উপর দিয়ে অথবা সামনের দিক দিয়ে পেশাব প্রবাহিত হয়; যদি উভয়ের মাঝে কোন ব্যবধান থাকে।
আবু হুরায়ারা (রাযিঃ) মসজিদের ছাদে ইমামের সাথে নামায আদায় করেছিলেন।
ইবনে উমর (রাযিঃ) বরফের উপর নামায আদায় করেছেন।
আবু আব্দুল্লাহ (ইমাম বুখারী) (রাহঃ) বলেনঃ হাসান বসরী (রাহঃ) বরফ ও পুলের উপর নামায আদায় করা দূষণীয় মনে করতেন না-যদিও তার নীচ দিয়ে, উপর দিয়ে অথবা সামনের দিক দিয়ে পেশাব প্রবাহিত হয়; যদি উভয়ের মাঝে কোন ব্যবধান থাকে।
আবু হুরায়ারা (রাযিঃ) মসজিদের ছাদে ইমামের সাথে নামায আদায় করেছিলেন।
ইবনে উমর (রাযিঃ) বরফের উপর নামায আদায় করেছেন।
৩৭০। আলী ইবনে আব্দুল্লাহ (রাহঃ) ..... আবু হাযিম (রাহঃ) থেকে বর্ণিত যে, লোকেরা সাহল ইবনে সা’দ (রাযিঃ)-কে জিজ্ঞাসা করলঃ (নবী (ﷺ) এর) মিম্বর কিসের তৈরী ছিল? তিনি বললেনঃ এ বিষয়ে আমার চাইতে জ্ঞাত আর কেউ নেই। তা ছিল গাবা নামক স্থানের ঝাউগাছের কাঠ দিয়ে তৈরী। অমুক মহিলার আযাদকৃত দাস অমুক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর জন্য তা তৈরী করেছিল। তা পুরোপুরি তৈরী ও স্থাপিত হওয়ার পর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তার উপর দাড়িয়ে কিবলার দিকে মুখ করে তাকবীর বললেন। লোকেরা তাঁর পেছনে দাঁড়িয়ে গেলেন। তারপর তিনি কিরাআত পড়লেন ও রুকূতে গেলেন। সকলেই তাঁর পেছনে রুকূতে গেলেন। তারপর তিনি মাথা তুলে পেছনে সরে গিয়ে মাটিতে সিজদা করলেন। আবার মিম্বরে ফিরে আসলেন এবং কিরাআত পড়ে রুকূতে গেলেন। তারপর তাঁর মাথা তুললেন এবং পেছনে সরে গিয়ে মাটিতে সিজদা করলেন। এ হল মিম্বরের ইতিহাস।
আবু আব্দুল্লাহ (ইমাম বুখারী) (রাহঃ) বলেনঃ আলী ইবনে আব্দুল্লাহ (রাহঃ) বলেছেন যে, আমাকে আহমদ ইবনে হাম্বল (রাহঃ) এ হাদীস সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেছিলেন এবং বলেছিলেনঃ আমার ধারণা, নবী (ﷺ) সবচাইতে উঁচু স্থানে ছিলেন। সুতরাং ইমামের মুক্তাদীরের চাইতে উঁচু স্থানে দাঁড়ানোতে কোন দোষ নেই।
আলী ইবনে আব্দুল্লাহ (রাহঃ) বলেনঃ আমি আহমদ ইবনে হাম্বল (রাহঃ)-কে বললামঃ সুফিয়ান ইবনে উয়াইনা (রাহঃ)-কে এ বিষয়ে বহুবার প্রশ্ন করা হয়েছে, আপনি তাঁর কাছে এ বিষয়ে কিছু শোনেন নি? তিনি জবাব দিলেনঃ না।
আবু আব্দুল্লাহ (ইমাম বুখারী) (রাহঃ) বলেনঃ আলী ইবনে আব্দুল্লাহ (রাহঃ) বলেছেন যে, আমাকে আহমদ ইবনে হাম্বল (রাহঃ) এ হাদীস সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেছিলেন এবং বলেছিলেনঃ আমার ধারণা, নবী (ﷺ) সবচাইতে উঁচু স্থানে ছিলেন। সুতরাং ইমামের মুক্তাদীরের চাইতে উঁচু স্থানে দাঁড়ানোতে কোন দোষ নেই।
আলী ইবনে আব্দুল্লাহ (রাহঃ) বলেনঃ আমি আহমদ ইবনে হাম্বল (রাহঃ)-কে বললামঃ সুফিয়ান ইবনে উয়াইনা (রাহঃ)-কে এ বিষয়ে বহুবার প্রশ্ন করা হয়েছে, আপনি তাঁর কাছে এ বিষয়ে কিছু শোনেন নি? তিনি জবাব দিলেনঃ না।
باب الصَّلاَةِ فِي السُّطُوحِ وَالْمِنْبَرِ وَالْخَشَبِ قَالَ أَبُو عَبْدِ اللَّهِ وَلَمْ يَرَ الْحَسَنُ بَأْسًا أَنْ يُصَلَّى عَلَى الْجَمْدِ وَالْقَنَاطِرِ، وَإِنْ جَرَى تَحْتَهَا بَوْلٌ أَوْ فَوْقَهَا أَوْ أَمَامَهَا، إِذَا كَانَ بَيْنَهُمَا سُتْرَةٌ. وَصَلَّى أَبُو هُرَيْرَةَ عَلَى ظَهْرِ الْمَسْجِدِ بِصَلاَةِ الإِمَامِ. وَصَلَّى ابْنُ عُمَرَ عَلَى الثَّلْجِ
377 - حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ: حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، قَالَ: حَدَّثَنَا أَبُو حَازِمٍ، قَالَ: سَأَلُوا سَهْلَ بْنَ سَعْدٍ: مِنْ أَيِّ شَيْءٍ المِنْبَرُ؟ فَقَالَ: مَا بَقِيَ بِالنَّاسِ أَعْلَمُ مِنِّي، هُوَ مِنْ أَثْلِ الغَابَةِ عَمِلَهُ فُلاَنٌ مَوْلَى فُلاَنَةَ لِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، «وَقَامَ عَلَيْهِ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حِينَ عُمِلَ وَوُضِعَ، فَاسْتَقْبَلَ القِبْلَةَ، كَبَّرَ وَقَامَ النَّاسُ خَلْفَهُ، فَقَرَأَ وَرَكَعَ وَرَكَعَ النَّاسُ، خَلْفَهُ ثُمَّ رَفَعَ رَأْسَهُ ثُمَّ رَجَعَ القَهْقَرَى، فَسَجَدَ عَلَى الأَرْضِ، ثُمَّ عَادَ إِلَى المِنْبَرِ، ثُمَّ رَكَعَ ثُمَّ رَفَعَ رَأْسَهُ، ثُمَّ رَجَعَ القَهْقَرَى حَتَّى سَجَدَ بِالأَرْضِ» ، فَهَذَا شَأْنُهُ، قَالَ أَبُو عَبْدِ اللَّهِ: قَالَ عَلِيُّ بْنُ المَدِينِيِّ: " سَأَلَنِي أَحْمَدُ بْنُ حَنْبَلٍ رَحِمَهُ اللَّهُ عَنْ هَذَا الحَدِيثِ، قَالَ: فَإِنَّمَا أَرَدْتُ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ أَعْلَى مِنَ النَّاسِ فَلاَ بَأْسَ أَنْ يَكُونَ الإِمَامُ أَعْلَى مِنَ النَّاسِ بِهَذَا الحَدِيثِ، قَالَ: فَقُلْتُ: إِنَّ سُفْيَانَ بْنَ عُيَيْنَةَ كَانَ يُسْأَلُ عَنْ هَذَا كَثِيرًا فَلَمْ تَسْمَعْهُ مِنْهُ قَالَ: لاَ "
