মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)
৮- রোযার অধ্যায়
হাদীস নং: ২০৪২
৬. প্রথম অনুচ্ছেদ - নফল সিয়াম প্রসঙ্গে
২০৪২। হযরত (ইবনে আব্বাসের মা) উম্মুল ফযল বিনতে হারেস (রাঃ) হইতে বর্ণিত আছে যে, আরাফার তারিখে কতক লোক তাহার নিকট রাসূলুল্লাহ্ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের রোযা সম্পর্কে বিতর্ক করিতে লাগিল— কেহ বলিল, তিনি রোযা রাখিয়াছেন আর কেহ বলিল, রাখেন নাই। উম্মুল ফযল বলেন, (ইহার মীমাংসার জন্য) আমি তাহার নিকট এক পেয়ালা দুধ পাঠাইলাম তখন তিনি আরাফার ময়দানে আপন উটের উপর ছিলেন। তিনি উহা পান করিলেন। মোত্তাঃ
وَعَنْ أُمِّ الْفَضْلِ بِنْتِ الْحَارِثِ: أَنَّ نَاسًا تَمَارَوْا عِنْدَهَا يَوْمَ عَرَفَةَ فِي صِيَامِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ بَعْضُهُمْ: هُوَ صَائِمٌ وَقَالَ بَعْضُهُمْ: لَيْسَ بِصَائِمٍ فَأَرْسَلْتُ إِلَيْهِ بقدح لبن وَهُوَ وَاقِف عل بعيره بِعَرَفَة فشربه
হাদীসের ব্যাখ্যা:
হযরত আবু বকর ও হযরত ওমরও আরাফার তারিখে অর্থাৎ, যিলহজ্জ মাসের নয় তারিখে হজ্জের দিনে আরাফার ময়দানে রোযা রাখেন নাই বলিয়াই জানা গিয়াছে। অতএব, ঐ তারিখে তথায় নফল রোযা না রাখাই শ্রেয়। তবে যে সকল মক্কাবাসী হজ্জের জন্য তথায় উপস্থিত হন নাই তাহাদের পক্ষে রোযা রাখাই উত্তম।
