মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)
৮- রোযার অধ্যায়
হাদীস নং: ২০২৫
৪. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - মুসাফিরের সওম
২০২৫। হযরত আনাস ইবনে মালেক কা'বী (রাঃ) (আনাস ইবনে মালেক নহেন) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ আল্লাহ্ তা'আলা মুসাফির হইতে (চিরতরে) অর্ধেক নামায এবং মুসাফির, স্তন্যদানকারিণী মাতা ও গর্ভবতী স্ত্রীলোক হইতে (আপাততঃ) রোযা উঠাইয়া দিয়াছেন। – আবু দাউদ, তিরমিযী, নাসায়ী ও ইবনে মাজাহ্
عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ الْكَعْبِيِّ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسلم: «إِن اللَّهَ وَضَعَ عَنِ الْمُسَافِرِ شَطْرَ الصَّلَاةِ وَالصَّوْمَ عَنِ الْمُسَافِرِ وَعَنِ الْمُرْضِعِ وَالْحُبْلَى» . رَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ وَالتِّرْمِذِيُّ وَالنَّسَائِيُّ وَابْنُ مَاجَهْ
হাদীসের ব্যাখ্যা:
অর্থাৎ, মুসাফিরকে চারি রাকাত নামাযের দুই রাকাত একেবারে মাফ করিয়া দিয়াছেন। এইরূপে স্তন্যদানকারিণীকে স্তন্যদান কালে এবং গর্ভবতীকে গর্ভধারণ কালে রোযা রাখার বাধ্যবাধকতা হইতেই অব্যাহতি দিয়াছেন যদি তাহাদের সন্তানের অথবা নিজেদের শরীরের ক্ষতির আশংকা থাকে। অবশ্য সকলেরই রোযা পরে কাযা রাখিতে হইবে।
