মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)

৭- যাকাতের অধ্যায়

হাদীস নং: ১৯০৪
৬. প্রথম অনুচ্ছেদ - সদাক্বার মর্যাদা
১৯০৪। হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন, রাসুলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেন এক ব্যক্তি রাস্তায় পতিত একটি গাছের ডালের নিকট দিয়া যাওয়াকালে বলিল, অবশ্যই আমি ইহা মুসলমানদের পথ হইতে সরাইয়া ফেলিব যাহাতে ইহা তাহাদিগকে কষ্ট না দেয়, (অতঃপর সে উহাকে সরাইয়া ফেলিল) ফলে তাহাকে বেহেশতে দেওয়া হইল। —মোত্তাঃ
بَابُ فَضْلِ الصَّدَقَةِ
وَعَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: مَرَّ رَجُلٌ بِغُصْنِ شَجَرَةٍ عَلَى ظَهْرِ طَرِيقٍ فَقَالَ: لِأُنَحِّيَنَّ هَذَا عَنْ طَرِيقِ الْمُسلمين لَا يؤذيهم فَأدْخل الْجنَّة

হাদীসের ব্যাখ্যা:

১. ইহাতে বুঝা গেল যে, যে কাজ মানুষ বা প্রাণীর উপকার সাধন করে, তাহাই দান এমন কি, কাহাকেও কষ্ট না দেওয়াও দান।

২. এ হাদীছে বলা হয়েছে যে, এক ব্যক্তি রাস্তা থেকে একটি ডাল সরিয়ে দেওয়ার অছিলায় জান্নাত লাভ করেছে। নবী কারীম সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাকে জান্নাতে সানন্দে ঘুরে বেড়াতে দেখেছেন। তিনি তা কখন দেখেছেন তা এ হাদীছে উল্লেখ করা হয়নি। হতে পারে মি'রাজের সফরকালে দেখেছেন। এমনও হতে পারে যে, স্বপ্নে দেখেছেন। নবীদের স্বপ্ন ওহী হয়ে থাকে। সুতরাং এর সত্যতায় কোনও সন্দেহের অবকাশ নেই। এ লোকটি কোন কালের তাও বলা হয়নি। ধারণা করা যায় সে ছিল অতীতকালের কোনও নবীর উম্মত। সব কালের নবীদের ধর্মই ছিল ইসলাম এবং তার অনুসারীদেরও মুসলিমই বলা হত। কাজেই এ হাদীছে মুসলিম বলা হয়েছে দেখে এই উম্মতের লোক হওয়া অনিবার্য নয়।
এই লোকটির অন্তরে ছিল মানুষের প্রতি মমতা। রাস্তার উপর একটা গাছের ডাল ঝুলে আছে কিংবা কোনও কাঁটাদার ডাল পড়ে আছে। এ ডালে কারও মাথায় আঘাত লাগতে পারে কিংবা এর কাঁটা কারও পায়ে ফুটতে পারে। এভাবে আল্লাহর বান্দাগণ কষ্ট পাবে এ চিন্তা করে সে ডালটি কেটে ফেলেছিল কিংবা পড়ে থাকা কাঁটাদার ডালটি সরিয়ে ফেলেছিল। মানুষের প্রতি তার এ দরদী কাজটি আল্লাহ তা'আলা পসন্দ করলেন এবং এর অছিলায় তাকে জান্নাত দান করলেন। সুবহানাল্লাহ! মানুষের কষ্ট দূর করে দেওয়ার যে-কোনও পদক্ষেপ কতই না ফযীলতের কাজ!
এমনিতে কাজটি তো অতি সাধারণ। কিন্তু আল্লাহ তা'আলা তার বদলা দিলেন কত বিরাট! এর দ্বারা বোঝা যায় মানুষের কষ্টনিবারণ আল্লাহর কাছে কী মূল্য রাখে এবং মুসলিম সাধারণের উপকার হয় এমন কাজ আল্লাহ তা'আলার কত পসন্দ। তাই তো এরূপ কাজকে ঈমানের শাখা বলা হয়েছে।

হাদীস থেকে শিক্ষণীয়ঃ

ক. এ হাদীছ দ্বারাও শিক্ষা পাওয়া যায় যে, কোনও নেক আমলকেই তুচ্ছ মনে করতে নেই।

খ. এর দ্বারা রাস্তা থেকে কষ্টদায়ক জিনিস সরিয়ে ফেলার ফযীলত জানা যায়।

গ. আরও জানা যায় মুসলিম সাধারণের কোনও উপকার করা এবং তাদের কোনও ক্ষতি লাঘব করার কাজ আল্লাহ তা'আলার কত প্রিয়। আল্লাহ তা'আলা আমাদেরকে এ জাতীয় কাজ বেশি বেশি করার তাওফীক দান করুন, আমীন।এ হাদীছে বলা হয়েছে যে, এক ব্যক্তি রাস্তা থেকে একটি ডাল সরিয়ে দেওয়ার অছিলায় জান্নাত লাভ করেছে। নবী কারীম সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাকে জান্নাতে সানন্দে ঘুরে বেড়াতে দেখেছেন। তিনি তা কখন দেখেছেন তা এ হাদীছে উল্লেখ করা হয়নি। হতে পারে মি'রাজের সফরকালে দেখেছেন। এমনও হতে পারে যে, স্বপ্নে দেখেছেন। নবীদের স্বপ্ন ওহী হয়ে থাকে। সুতরাং এর সত্যতায় কোনও সন্দেহের অবকাশ নেই। এ লোকটি কোন কালের তাও বলা হয়নি। ধারণা করা যায় সে ছিল অতীতকালের কোনও নবীর উম্মত। সব কালের নবীদের ধর্মই ছিল ইসলাম এবং তার অনুসারীদেরও মুসলিমই বলা হত। কাজেই এ হাদীছে মুসলিম বলা হয়েছে দেখে এই উম্মতের লোক হওয়া অনিবার্য নয়।
এই লোকটির অন্তরে ছিল মানুষের প্রতি মমতা। রাস্তার উপর একটা গাছের ডাল ঝুলে আছে কিংবা কোনও কাঁটাদার ডাল পড়ে আছে। এ ডালে কারও মাথায় আঘাত লাগতে পারে কিংবা এর কাঁটা কারও পায়ে ফুটতে পারে। এভাবে আল্লাহর বান্দাগণ কষ্ট পাবে এ চিন্তা করে সে ডালটি কেটে ফেলেছিল কিংবা পড়ে থাকা কাঁটাদার ডালটি সরিয়ে ফেলেছিল। মানুষের প্রতি তার এ দরদী কাজটি আল্লাহ তা'আলা পসন্দ করলেন এবং এর অছিলায় তাকে জান্নাত দান করলেন। সুবহানাল্লাহ! মানুষের কষ্ট দূর করে দেওয়ার যে-কোনও পদক্ষেপ কতই না ফযীলতের কাজ!
এমনিতে কাজটি তো অতি সাধারণ। কিন্তু আল্লাহ তা'আলা তার বদলা দিলেন কত বিরাট! এর দ্বারা বোঝা যায় মানুষের কষ্টনিবারণ আল্লাহর কাছে কী মূল্য রাখে এবং মুসলিম সাধারণের উপকার হয় এমন কাজ আল্লাহ তা'আলার কত পসন্দ। তাই তো এরূপ কাজকে ঈমানের শাখা বলা হয়েছে।

হাদীস থেকে শিক্ষণীয়ঃ

ক. এ হাদীছ দ্বারাও শিক্ষা পাওয়া যায় যে, কোনও নেক আমলকেই তুচ্ছ মনে করতে নেই।

খ. এর দ্বারা রাস্তা থেকে কষ্টদায়ক জিনিস সরিয়ে ফেলার ফযীলত জানা যায়।

গ. আরও জানা যায় মুসলিম সাধারণের কোনও উপকার করা এবং তাদের কোনও ক্ষতি লাঘব করার কাজ আল্লাহ তা'আলার কত প্রিয়। আল্লাহ তা'আলা আমাদেরকে এ জাতীয় কাজ বেশি বেশি করার তাওফীক দান করুন, আমীন।
২. ব্যাখ্যা সূত্রঃ_ রিয়াযুস সালিহীন (অনুবাদ- মাওলানা আবুল বাশার মুহাম্মাদ সাইফুল ইসলাম হাফি.)
tahqiqতাহকীক:তাহকীক চলমান