মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)
৭- যাকাতের অধ্যায়
হাদীস নং: ১৮১৫
২. প্রথম অনুচ্ছেদ - ফিত্বরার বর্ণনা।
ফিতরা (ফিৎর) আসলে রোযার যাকাত। যাকাত যেমন মালকে পবিত্র করে ফিতরাও তেমন রোযাকে পবিত্র করে অর্থাৎ রোযায় যে সকল ত্রুটি-বিচ্যুতি ঘটে ফিরা সে সকলকে পুরণ করে এবং রোযা কবুল হইবার কারণ হয়।
এ ব্যাপারে হাদীসসমূহ আলোচনা করিয়া ইমামগণ যে সিদ্ধান্তে পৌঁছিয়াছেনঃ (ক) ইমাম শাফেয়ী ও আমদের মতে ফিতরা ফরয। ইমাম আবু হানীফার মতে ওয়াজিব এবং ইমাম মালেকের মতে সুন্নতে মোআক্কাদা। (খ) ইমাম আবু হানীফার মতে মালদার অথবা মালদার তো নহে; কিন্তু তাহার নিকট গৃহস্থালীর প্রয়োজনের অতিরিক্ত কিছু মাল আছে তাহার উপর তাহার নিজের ও তাহার পোষ্যদের পক্ষ হইতে 'সদকায়ে ফিতর' বা ফিতরা আদায় করা ওয়াজিব। কিন্তু ফিতরার জন্য মালের এক বৎসর পূর্ণ হওয়ার আবশ্যক নাই। ঈদের দিন সকালে ঐ পরিমাণ মালের অধিকারী হইলেও ফিতরা আদায় করিতে হইবে। পক্ষান্তরে ইমাম শাফেয়ীর মতে ঐ দিনে পরিবারের খোরাকীর অধিক কিছু মাল থাকিলেই তাহার উপর ফিতরা আদায় করা ফরয।
(গ) ইমাম আ'যমের মতে ফিতরার পরিমাণ হইল গমের অর্ধ সাআ বা এক সের সাড়ে বার ছটাক আর অন্যান্য খাদ্যদ্রব্যের পূর্ণ এক সাআ বা তিন সের নয় ছটাক। বিস্তারিত বিবরণ ফেকাহর কিতাবে দ্রষ্টব্য। —অনুবাদক
ফিতরা (ফিৎর) আসলে রোযার যাকাত। যাকাত যেমন মালকে পবিত্র করে ফিতরাও তেমন রোযাকে পবিত্র করে অর্থাৎ রোযায় যে সকল ত্রুটি-বিচ্যুতি ঘটে ফিরা সে সকলকে পুরণ করে এবং রোযা কবুল হইবার কারণ হয়।
এ ব্যাপারে হাদীসসমূহ আলোচনা করিয়া ইমামগণ যে সিদ্ধান্তে পৌঁছিয়াছেনঃ (ক) ইমাম শাফেয়ী ও আমদের মতে ফিতরা ফরয। ইমাম আবু হানীফার মতে ওয়াজিব এবং ইমাম মালেকের মতে সুন্নতে মোআক্কাদা। (খ) ইমাম আবু হানীফার মতে মালদার অথবা মালদার তো নহে; কিন্তু তাহার নিকট গৃহস্থালীর প্রয়োজনের অতিরিক্ত কিছু মাল আছে তাহার উপর তাহার নিজের ও তাহার পোষ্যদের পক্ষ হইতে 'সদকায়ে ফিতর' বা ফিতরা আদায় করা ওয়াজিব। কিন্তু ফিতরার জন্য মালের এক বৎসর পূর্ণ হওয়ার আবশ্যক নাই। ঈদের দিন সকালে ঐ পরিমাণ মালের অধিকারী হইলেও ফিতরা আদায় করিতে হইবে। পক্ষান্তরে ইমাম শাফেয়ীর মতে ঐ দিনে পরিবারের খোরাকীর অধিক কিছু মাল থাকিলেই তাহার উপর ফিতরা আদায় করা ফরয।
(গ) ইমাম আ'যমের মতে ফিতরার পরিমাণ হইল গমের অর্ধ সাআ বা এক সের সাড়ে বার ছটাক আর অন্যান্য খাদ্যদ্রব্যের পূর্ণ এক সাআ বা তিন সের নয় ছটাক। বিস্তারিত বিবরণ ফেকাহর কিতাবে দ্রষ্টব্য। —অনুবাদক
১৮১৫। হযরত আব্দুল্লাহ্ ইবনে ওমর (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মুসলমান কৃতদাস ও আযাদ, পুরুষ ও নারী এবং ছোট ও বড় সকলের উপর সদকায়ে ফিত্র এক সাআ খেজুর বা যব নির্ধারণ করিয়াছেন এবং মানুষ ঈদগাহে রওয়ানা হইবার পূর্বে আদায় করিতে নির্দেশ দিয়াছেন। —মোত্তাঃ
بَابُ صَدَقَةِ الْفِطْرِ
عَنِ ابْنِ عُمَرَ قَالَ: فَرَضَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ زَكَاةَ الْفِطْرِ صَاعًا مِنْ تَمْرٍ أَوْ صَاعًا مِنْ شَعِيرٍ عَلَى الْعَبْدِ وَالْحُرِّ وَالذَّكَرِ وَالْأُنْثَى وَالصَّغِيرِ وَالْكَبِيرِ مِنَ الْمُسْلِمِينَ وَأَمَرَ بِهَا أَنْ تُؤَدَّى قَبْلَ خُرُوجِ النَّاس إِلَى الصَّلَاة
হাদীসের ব্যাখ্যা:
'নির্ধারণ করিয়াছেন' – মূলে 'ফরয' শব্দ রহিয়াছে, যাহার অর্থ, অবশ্য অবশ্য করণীয়, করা, নির্ধারণ করা। ইমাম শাফেয়ী প্রথম অর্থ এবং ইমাম আ'যম ইহার দ্বিতীয় অর্থ গ্রহণ করিয়াছেন। (ক) কৃতদাস মালের অধিকারী নহে বিধায় তাহার ফিতরা তাহার মালিকের দিতে হয়। (খ) নাবালেগের ফিতরা তাহার অভিভাবকের দিতে হয়—যদি তাহার নিজস্ব মাল না থাকে। কিন্তু ইমাম মুহাম্মদের মতে তাহার মাল থাকিলেও অভিভাবকেরই দিতে হইবে। (গ) নামাযের পূর্বে (বরং আরও একদিন পূর্বে) ফিতরা আদায় করা মোস্তাহাব – যাহাতে গরীবরাও ঈদের খুশীতে শরীক হইতে পারে।
