মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)
৭- যাকাতের অধ্যায়
হাদীস নং: ১৮১২
১. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - যেসব জিনিসের যাকাত দিতে হয়
১৮১২। তাবেয়ী হযরত রবীয়া ইবনে আবু আব্দুর রহমান একাধিক সাহাবী হইতে বর্ণনা করেন যে, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বেলাল ইবনে হারেস মুযানীকে ‘ফুর’ -এর দিকের কাবালিয়া নামক স্থানের খনিসমূহ জায়গীররূপে দান করিয়াছিলেন। সে সকল খনির যাকাত ছাড়া আজ পর্যন্ত কিছুই উসূল করা হয় না (অর্থাৎ, খুমুস উসূল করা হয় না)। –আবু দাউদ
وَعَنْ رَبِيعَةَ بْنِ أَبِي عَبْدِ الرَّحْمَنِ عَنْ غَيْرِ وَاحِدٍ: أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَقْطَعَ لِبِلَالِ بْنِ الْحَارِثِ الْمُزَنِيِّ معادن الْقبلية وَهِيَ مِنْ نَاحِيَةِ الْفُرْعِ فَتِلْكَ الْمَعَادِنُ لَا تُؤْخَذُ مِنْهَا إِلَّا الزَّكَاةُ إِلَى الْيَوْمِ. رَوَاهُ أَبُو دَاوُد
হাদীসের ব্যাখ্যা:
খনির যাকাত সম্পর্কে ইমাম মালেক ও শাফেয়ীর ইহাই মত। পক্ষান্তরে ইমাম আবু হানীফার মতে খনিতে 'খুমুস' অর্থাৎ, এক পঞ্চমাংশ দিতে হইবে। তাঁহার মতের দলীল পূর্বে দেওয়া হইয়াছে। খনিটি আবাদ ছিল না। আবাদ করার জন্যই হুযূর তাঁহাকে উহা জায়গীররূপে দিয়াছিলেন। আবাদ খনি জায়গীররূপে দিতেন না বলিয়া অন্য হাদীসে আছে।
